খসড়া আইনটি যেন আপসের কানাগলিতে না হারায়-বিকল্প শিশুখাদ্য নিয়ন্ত্রণ আইন
মায়ের দুধের বিকল্প শিশুখাদ্যের বাজারে যখন একধরনের নৈরাজ্য চলছিল, তখন বিকল্প শিশুখাদ্য নিয়ন্ত্রণে আইন কঠোর করার পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে অভিনন্দনযোগ্য। শিশুর সুস্থ বিকাশের স্বার্থে দেশি-বিদেশি শিশুখাদ্যপণ্যের গুণ ও মানের বিষয়টিতে নজর দেওয়া খুবই জরুরি ছিল।
সেই কাজ অতীতে যথাযথভাবে না হওয়ায় যে ক্ষতি হয়েছে, প্রস্তাবিত কঠোর আইন দিয়ে নতুন ক্ষতির সুযোগ সীমিত করায় এই আইন ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
প্রয়োজন থাকুক বা না থাকুক, শিশুখাদ্যের বাজার অতি রমরমা। আধুনিক জীবনযাপনে পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন দুর্লভ, তেমনি সেসব রান্না করে খাওয়ানোর অনেক সময়ও মায়েরা পান না। কর্মজীবী মায়েদের অনেকেই তাই কারখানায় তৈরি শিশুখাদ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। দুধ, সিরিয়াল, নুডলসসহ হরেক রকম পণ্য চমকদার মোড়কে মায়েদের এই বেকায়দা অবস্থাকে ব্যবহার করে মুনাফা করে থাকে। বিজ্ঞাপন, পুরস্কার, লটারি, গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতাসহ, চিকিৎসক ও পুষ্টিবিশেষজ্ঞদের বৃত্তি ও বিদেশ সফরের সুযোগ দিয়ে কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যকে ক্রেতাদের সামনে অপরিহার্য করে তোলার সুযোগ পায়। অথচ বাজারে থাকা পণ্যগুলোর কোনটা দরকারি, কোনটা অদরকারি কিংবা কোনটা নিরাপদ আর কোনটা অনিরাপদ, সেই প্রশ্ন প্রচারের জৌলুসে আর কৌশলের ভিড়ে হারিয়ে যায়। এসবের কারণে শিশুর খাদ্যাভ্যাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে এবং শিশুস্বাস্থ্যের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিও হতে পারে।
এসব বিষয়ে যথাযথ নজরদারি ও সৎ গবেষণা এসব কারণেই মাতৃদুগ্ধের বিকল্প শিশুখাদ্য বাজারজাত নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ (১৯৮৪) বিলুপ্ত করে নতুন আইনের খসড়া প্রণীত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এই খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছে। নতুন আইনে শিশুখাদ্য প্রচলন ও জনপ্রিয় করার যাবতীয় অসাধু কৌশলকে বেআইনি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইনে মায়ের দুধের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠার ধারাও রয়েছে। আইন ভঙ্গে শাস্তির বিধানও সন্তোষজনক। খসড়া আইনটি যাতে শিশুখাদ্য কোম্পানিগুলোর চাপে শিথিল করা না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক থাকতে হবে। শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষায় এ ধরনের আইন ও তা বাস্তবায়নে শামিল হওয়া আমাদের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।
প্রয়োজন থাকুক বা না থাকুক, শিশুখাদ্যের বাজার অতি রমরমা। আধুনিক জীবনযাপনে পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন দুর্লভ, তেমনি সেসব রান্না করে খাওয়ানোর অনেক সময়ও মায়েরা পান না। কর্মজীবী মায়েদের অনেকেই তাই কারখানায় তৈরি শিশুখাদ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। দুধ, সিরিয়াল, নুডলসসহ হরেক রকম পণ্য চমকদার মোড়কে মায়েদের এই বেকায়দা অবস্থাকে ব্যবহার করে মুনাফা করে থাকে। বিজ্ঞাপন, পুরস্কার, লটারি, গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতাসহ, চিকিৎসক ও পুষ্টিবিশেষজ্ঞদের বৃত্তি ও বিদেশ সফরের সুযোগ দিয়ে কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যকে ক্রেতাদের সামনে অপরিহার্য করে তোলার সুযোগ পায়। অথচ বাজারে থাকা পণ্যগুলোর কোনটা দরকারি, কোনটা অদরকারি কিংবা কোনটা নিরাপদ আর কোনটা অনিরাপদ, সেই প্রশ্ন প্রচারের জৌলুসে আর কৌশলের ভিড়ে হারিয়ে যায়। এসবের কারণে শিশুর খাদ্যাভ্যাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে এবং শিশুস্বাস্থ্যের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিও হতে পারে।
এসব বিষয়ে যথাযথ নজরদারি ও সৎ গবেষণা এসব কারণেই মাতৃদুগ্ধের বিকল্প শিশুখাদ্য বাজারজাত নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ (১৯৮৪) বিলুপ্ত করে নতুন আইনের খসড়া প্রণীত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এই খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছে। নতুন আইনে শিশুখাদ্য প্রচলন ও জনপ্রিয় করার যাবতীয় অসাধু কৌশলকে বেআইনি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইনে মায়ের দুধের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠার ধারাও রয়েছে। আইন ভঙ্গে শাস্তির বিধানও সন্তোষজনক। খসড়া আইনটি যাতে শিশুখাদ্য কোম্পানিগুলোর চাপে শিথিল করা না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক থাকতে হবে। শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষায় এ ধরনের আইন ও তা বাস্তবায়নে শামিল হওয়া আমাদের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।
No comments