বাঁধ মেরামতে ব্যর্থতার জবাবদিহি চাই-আইলার এক বছর পর
গত বছরের ২৫ মে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আইলা উপকূলে আঘাত হানে। সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ভোলা, বরগুনাসহ উপকূলের এক বিরাট অংশের বাঁধ ভেঙে ঘরবাড়ি ভেসে যায়। সর্বনাশা প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগেও হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
কিন্তু এবার দেখা গেল, এক বছর পরও হাজার হাজার মানুষ বাঁধের ওপর থাকতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ, যেসব এলাকায় বাঁধ ভেঙে সমুদ্রের পানি ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তার বেশির ভাগ অংশ মেরামত করা হলেও বেশ কয়েকটি এলাকার বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি আজও। তাই এখনো ওই ভাঙা বাঁধের অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ভেতরে ঢুকছে। ঘরবাড়িতে মানুষ ফিরতে পারছে না। বিশেষভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, খুলনার কয়রা, দাকোপসহ কয়েকটি এলাকার মানুষ বাঁধের ওপর মানবেতর জীবন যাপন করছে। কখনো নিজের বাড়িতে ফেরা সম্ভব হবে কি না, সে ব্যাপারে ওরা নিশ্চিত নয়।
কেন বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি, সেটা এক যৌক্তিক প্রশ্ন। কারণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ মোটামুটি দক্ষতা অর্জন করেছে বলে এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও বিভিন্ন উপলক্ষে স্বীকার করেছে। তাহলে এবার কেন সেই সাফল্য বাংলাদেশ দেখাতে পারল না? গত বছর বলা হয়েছিল, বর্ষায় যেহেতু জোয়ারের প্রবল ঢেউ থাকে, তাই শীতকাল ছাড়া কয়েকটি স্থানে বাঁধ মেরামত করা কঠিন। হয়তো এ কথায় যুক্তি ছিল। কিন্তু শীতও তো চলে গেল। বাঁধ মেরামতের কাজটি হলো না কেন?
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এ ক্ষেত্রে অবহেলা অনেকাংশে দায়ী। সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ব্যবস্থাপনায়ও ছিল ত্রুটি। কিন্তু তার চেয়েও বড় কারণ হলো অনিয়ম ও দুর্নীতি। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, কয়েকটি স্থানে বাঁধ নির্মাণ করা হলেও অমাবস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারে তা ভেসে গেছে।
এই ব্যর্থতার দুটি কারণ হতে পারে। হয়তো কারিগরি ত্রুটি ছিল, তাই নির্মিত বাঁধ কোনো কোনো স্থানে নিয়মিত জোয়ারে ভেসে গেছে, অথবা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে। কম টাকায় নির্মাণকাজ দায়সারাভাবে করা হলে তা না টেকারই কথা। চুরি-দুর্নীতির অভিযোগ এলাকায় গেলেই শোনা যায়, পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময় তা প্রকাশিতও হয়েছে। আবার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাঁধ নির্মাণের নকশায় ত্রুটিও থাকতে পারে। এর সঙ্গে যদি দুর্নীতি যুক্ত হয়, তাহলে রুদ্র প্রকৃতির ওপর দোষ দিয়ে তো লাভ নেই।
কারিগরি ত্রুটি বা দুর্নীতি, যেটাই হয়ে থাকুক, পুরো ব্যাপারটা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। জবাবদিহি না থাকলে কাজের সুষ্ঠু অগ্রগতি সম্ভব নয়। হাজার হাজার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। তাদের আশ্রয় নেই, কাজ নেই, খাদ্য নেই। বাচ্চাদের পড়াশোনা বন্ধ। অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পাশাপাশি কাজের গতি বাড়িয়ে ভাঙা বাঁধ দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। উপকূলের মানুষ যেন নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরতে পারে, সে ব্যবস্থা করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।
কেন বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি, সেটা এক যৌক্তিক প্রশ্ন। কারণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ মোটামুটি দক্ষতা অর্জন করেছে বলে এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও বিভিন্ন উপলক্ষে স্বীকার করেছে। তাহলে এবার কেন সেই সাফল্য বাংলাদেশ দেখাতে পারল না? গত বছর বলা হয়েছিল, বর্ষায় যেহেতু জোয়ারের প্রবল ঢেউ থাকে, তাই শীতকাল ছাড়া কয়েকটি স্থানে বাঁধ মেরামত করা কঠিন। হয়তো এ কথায় যুক্তি ছিল। কিন্তু শীতও তো চলে গেল। বাঁধ মেরামতের কাজটি হলো না কেন?
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এ ক্ষেত্রে অবহেলা অনেকাংশে দায়ী। সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ব্যবস্থাপনায়ও ছিল ত্রুটি। কিন্তু তার চেয়েও বড় কারণ হলো অনিয়ম ও দুর্নীতি। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, কয়েকটি স্থানে বাঁধ নির্মাণ করা হলেও অমাবস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারে তা ভেসে গেছে।
এই ব্যর্থতার দুটি কারণ হতে পারে। হয়তো কারিগরি ত্রুটি ছিল, তাই নির্মিত বাঁধ কোনো কোনো স্থানে নিয়মিত জোয়ারে ভেসে গেছে, অথবা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে। কম টাকায় নির্মাণকাজ দায়সারাভাবে করা হলে তা না টেকারই কথা। চুরি-দুর্নীতির অভিযোগ এলাকায় গেলেই শোনা যায়, পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময় তা প্রকাশিতও হয়েছে। আবার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাঁধ নির্মাণের নকশায় ত্রুটিও থাকতে পারে। এর সঙ্গে যদি দুর্নীতি যুক্ত হয়, তাহলে রুদ্র প্রকৃতির ওপর দোষ দিয়ে তো লাভ নেই।
কারিগরি ত্রুটি বা দুর্নীতি, যেটাই হয়ে থাকুক, পুরো ব্যাপারটা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। জবাবদিহি না থাকলে কাজের সুষ্ঠু অগ্রগতি সম্ভব নয়। হাজার হাজার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। তাদের আশ্রয় নেই, কাজ নেই, খাদ্য নেই। বাচ্চাদের পড়াশোনা বন্ধ। অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পাশাপাশি কাজের গতি বাড়িয়ে ভাঙা বাঁধ দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। উপকূলের মানুষ যেন নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরতে পারে, সে ব্যবস্থা করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।
No comments