এসো নীপবনে-‘তাল’ by আবুল হায়াত
আপনাদের ব্যস্ত নাগরিক জীবন থেকে কয়েক মুহূর্তের জন্য একটা অন্য রকম পরিবেশে নিয়ে যেতে চাই। কল্পনা করুন—শান্ত দুপুর, চারদিকে সুনসান। ভাপসা গরমে মানুষজন সব গৃহাভ্যন্তরে। গৃহস্থরা কর্মস্থলে, গৃহিণীরা দিবানিদ্রায় মগ্ন। ছোট ছোট ছেলেমেয়ে রোদের তাপে বাইরে বেরুচ্ছে না।
মৃদুমন্দ বাতাসে গাছগাছালির পাতার মর্মর ধ্বনি হঠাৎ হঠাৎ শোনা যায়। পুকুরের জলে মৃদু কম্পন। পাড়ের নিমগাছটায় ক্লান্ত ঘুঘু থেকে থেকে ডেকে উঠছে।
হ্যাঁ, গ্রামবাংলার কথাই বলছি। মনে করুন এমন একটা পরিবেশে পুকুরপাড়ে খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে চৌকির ওপর শীতল পাটিতে আপনি নাক ডেকে ঘুমুচ্ছেন। ঠিক সেই সময় ঘটনাটি ঘটল।
কী ঘটল? ধ-পা-স। বিশাল এক আওয়াজে আপনার মিষ্টিমধুর দিবানিদ্রাটি গেল ভেঙে। ঘটনা কী? ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি মেরে অলস নয়নে হয়তো তাকালেন একবার—
তাল পড়েছে পুকুরের জলে। ওপারের কুঁড়েঘরের হারু মণ্ডলের ছেলেটি জলে নেমে পড়েছে ততক্ষণে তালটি সংগ্রহ করতে।
ক্ষমা করবেন, কাব্য করলাম সামান্য। জিজ্ঞেস করতে পারেন, এই জেরবার করা জীবনে এত কাব্য আসে কোথা থেকে! তাও আবার তাল নিয়ে কাব্য। বয়ান করি শুনুন।
আজ সকালে বাজার করতে গিয়ে যে ফলটাই কিনতে যাই মনে পড়ে ওষুধ দিয়ে ফল পাকানোর কথা। পত্রিকায় সেই মণকে মণ পাকা আম রোড রোলারের নিচে পিষে ফেলার দৃশ্যটা বেশি করে মনে পড়তে লাগল। ফল আর হলো না কেনা। বিফল মনোরথে বাড়ির পথ ধরতেই চোখে পড়ল তাল। কাঁচা তালের কাঁদি নিয়ে রাস্তার ধারে বসে আছে পরিচিত এক ফল বিক্রেতা।
‘নেন স্যার’। খাওনের এই একটাই ফল আছে। ফ্রেশ। নো মেডিসিন।’
বেশ কটা ইংরেজি মিশ্রত শব্দটব্দ দিয়ে আসল কথাটা বলল ফল বিক্রেতা। মনেও ধরল আমার তার কথাটা। কিনে ফেললাম বেশ কটা। মনে মনে ভাবলাম, সকালে নাশতার সঙ্গে পেঁপে খাওয়া ছেড়েছি ওষুধের ভয়ে—আজ না হয় তালের শাঁস দিয়েই নাশতা সারব।
ওহ! শুনুন পেঁপের গল্প। শহরে পাকা পেঁপে কেনা তো বহু আগেই বাদ দিয়েছিলাম। গ্রামে শুটিংয়ে গেলে পাকা পেঁপে সেখান থেকেই আনতাম। তো একদিন পুবাইলের এক পেঁপে বাগানে গিয়ে পেঁপে চাইতেই বাগানের মালিক জানাল পাকা পেঁপে একটাও নেই।
‘তাহলে কাঁচাই দু-চারটে দেন, যেগুলো দু-একদিনেই পাকবে।’
‘এইগুলান দেওয়া যাইব না স্যার।’
‘কেন?’
‘একজনে সব গাছ কিন্যা নিছে।’
‘টাকাটা তাকে দিয়ে দেবেন, তাহলেই তো হলো।’
‘না স্যার, এইগুলান আপনেরে দেওয়া যাইব না, গাছের সবগুলো কাঁচা পেঁপেতে ইনজেকশন দিয়ে গেছে।’
সেই দিন থেকে পেঁপের থেকে যতটা দূরত্ব সম্ভব বজায় চলছি। খাব কী তাহলে? হ্যাঁ, তাল খাব তাল। কাঁচা তাল। আপাতত। পরে কী খাব জানি না।
এই তালের গাছ বাংলার গ্রামগঞ্জের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ আজ। অথচ এর জন্মভূমি হলো সুদূর আফ্রিকা। যেখান থেকেই এর আগমন ঘটুক, এর পাতার আকর্ষণীয় বিন্যাস যে কাউকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। বলিষ্ঠ এর কাণ্ড। ‘তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে’ হালকা সবুজ বড় বড় পাতার সমাহার তালগাছে। দেশের বৃহত্তম পামগাছ হচ্ছে তালগাছ। তবে দীর্ঘজীবী গাছ হলেও ফলতে লাগে ৩০ থেকে ৪০ বছর। খনার বচন—বাপে লাগায়/পুত্রে খায়/তার পুতে খায় বা না খায়।
আমি এ মুহূর্তে পূর্ব প্রজন্মের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— তালগাছ লাগানোর জন্য তাঁদেরই বদান্যতায় এ মুহূর্তে বিষমুক্ত তালের শাঁস আমরা খেতে পারছি, আরও কত প্রকারের সুবিধা যে নিচ্ছি আমরা তালগাছ থেকে তার ইয়ত্তা নেই। তালের নাকি আট শ এক রকম ব্যবহার আছে বলে কথিত। যেমন পুরুষ গাছের ফুল থেকে সুমিষ্ট রস হয়। ঘন, মধুর ও সুগন্ধি রস। তালমিছরি সুস্বাদু ও শিশুদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তালের তাড়ির কথা আর বললাম না না হয়। সিরকা, কাসুন্দি, আচারের উপকরণ। শাঁসের কথা তো আগেই বলেছি। পাকা তালের পিঠা খায়নি এমন বাঙালির জীবন বৃথা ষোল আনাই। সব খাওয়ার পর বীজ পুঁতে রেখে তার শাঁস খাওয়াটা আরও উপাদেয়।
ছোটবেলায় দেখেছি তালপাতা দিয়ে তৈরি হতো সেপাই। এককথায় তালপাতার সেপাই। একটা কাঠির আগায় থাকত লাগানো। কাঠিটি হাতের আঙুল দিয়ে ঘোরালেই সেপাই নানা কায়দায় নাড়ত হাত-পা। তো তালপাতার ব্যবহার বিভিন্ন রকম। হাত পাখার কথাটা বলা বাহুল্য। এ দিয়ে টুপি, ঝুড়ি, চাটাই, মাদুর, বেড়াসহ নানা খেলনা তৈরি হয়। কাঠও দারুণ শক্ত এবং আঁশযুক্ত। সহজে পচে না বা নষ্ট হয় না। ছোট ডিঙি নৌকা তো হয়ই, ছাতির বাঁট, লাঠি, বাক্স, পাপোশ, কয়ার ইত্যাদি জিনিসও তৈরি হয় ওই তালগাছ থেকে। গ্রামের বহু পুকুরের ঘাটলাও তৈরি করা হয় তালগাছের গুঁড়ি দিয়ে।
তালগাছের পাতার আকর্ষণে বহু পশুপক্ষী নিজেদের আশ্রয়স্থল নির্মাণ করে এ গাছে। বাবুই পাখিও মুগ্ধ হয়ে রচনা করে তার চমৎকার স্থাপত্য নিদর্শন বাসা। এ গাছে মুগ্ধ বাংলার কবিকুলও। তাঁরা তাঁদের গানে-কবিতায়, গদ্যে-পদ্যে তালকে দিয়েছেন খুবই মর্যাদার আসন।
আর-পারে আমবন তালবন চলে,/গাঁয়ের বামুনপাড়া তারি ছায়াতলে। কিংবা,
ঐ দেখা যায় তালগাছ ওই আমাদের গাঁ
ঐ খানেতে বাস করে কানাবগির ছাঁ।
চমৎকার না, বলুন? আমার আবার এই কবিতাটার প্যারোডি কাব্য করতে ইচ্ছা করছে, ক্ষমা করবেন পাঠককুল—
‘ওই শোনা যায় হরতাল ওই আমাদের গাঁ
ওই খানেতে বাস করে গিনিপিগের ছা।’
গিনিপিগের ছা’দের মুক্তি নেই, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে না ফেলতেই বিশাল তালপতনের মতন হরতালের ঘোষণা। তবে শত দুর্যোগেও যে গিনিপিগ রয়েল বেঙ্গল টাইগার হয়ে উঠতে পারে, তারই প্রমাণ আবার দিল এক গিনিপিগের ছা—নাম তার মুসা ইব্রাহীম।
গ্রামের পুকুরপাড়ের কুঁড়েঘরের সেই শিশুটি নির্জন দুপুরে তাল পড়ার শব্দে যে আনন্দে ছুটে গিয়েছিল—ইচ্ছে করছে তেমনি করে ছুটে চলে যাই এভারেস্টের কাছে, জড়িয়ে ধরে তোমায় বলি—
জয়তু মুসা ইব্রাহীম।
(তালের ইতিহাস নিসর্গ প্রেমিক দ্বিজেন শর্মা মহাশয়ের সৌজন্যে প্রাপ্ত)
আবুল হায়াত: নাট্যব্যক্তিত্ব।
হ্যাঁ, গ্রামবাংলার কথাই বলছি। মনে করুন এমন একটা পরিবেশে পুকুরপাড়ে খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে চৌকির ওপর শীতল পাটিতে আপনি নাক ডেকে ঘুমুচ্ছেন। ঠিক সেই সময় ঘটনাটি ঘটল।
কী ঘটল? ধ-পা-স। বিশাল এক আওয়াজে আপনার মিষ্টিমধুর দিবানিদ্রাটি গেল ভেঙে। ঘটনা কী? ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি মেরে অলস নয়নে হয়তো তাকালেন একবার—
তাল পড়েছে পুকুরের জলে। ওপারের কুঁড়েঘরের হারু মণ্ডলের ছেলেটি জলে নেমে পড়েছে ততক্ষণে তালটি সংগ্রহ করতে।
ক্ষমা করবেন, কাব্য করলাম সামান্য। জিজ্ঞেস করতে পারেন, এই জেরবার করা জীবনে এত কাব্য আসে কোথা থেকে! তাও আবার তাল নিয়ে কাব্য। বয়ান করি শুনুন।
আজ সকালে বাজার করতে গিয়ে যে ফলটাই কিনতে যাই মনে পড়ে ওষুধ দিয়ে ফল পাকানোর কথা। পত্রিকায় সেই মণকে মণ পাকা আম রোড রোলারের নিচে পিষে ফেলার দৃশ্যটা বেশি করে মনে পড়তে লাগল। ফল আর হলো না কেনা। বিফল মনোরথে বাড়ির পথ ধরতেই চোখে পড়ল তাল। কাঁচা তালের কাঁদি নিয়ে রাস্তার ধারে বসে আছে পরিচিত এক ফল বিক্রেতা।
‘নেন স্যার’। খাওনের এই একটাই ফল আছে। ফ্রেশ। নো মেডিসিন।’
বেশ কটা ইংরেজি মিশ্রত শব্দটব্দ দিয়ে আসল কথাটা বলল ফল বিক্রেতা। মনেও ধরল আমার তার কথাটা। কিনে ফেললাম বেশ কটা। মনে মনে ভাবলাম, সকালে নাশতার সঙ্গে পেঁপে খাওয়া ছেড়েছি ওষুধের ভয়ে—আজ না হয় তালের শাঁস দিয়েই নাশতা সারব।
ওহ! শুনুন পেঁপের গল্প। শহরে পাকা পেঁপে কেনা তো বহু আগেই বাদ দিয়েছিলাম। গ্রামে শুটিংয়ে গেলে পাকা পেঁপে সেখান থেকেই আনতাম। তো একদিন পুবাইলের এক পেঁপে বাগানে গিয়ে পেঁপে চাইতেই বাগানের মালিক জানাল পাকা পেঁপে একটাও নেই।
‘তাহলে কাঁচাই দু-চারটে দেন, যেগুলো দু-একদিনেই পাকবে।’
‘এইগুলান দেওয়া যাইব না স্যার।’
‘কেন?’
‘একজনে সব গাছ কিন্যা নিছে।’
‘টাকাটা তাকে দিয়ে দেবেন, তাহলেই তো হলো।’
‘না স্যার, এইগুলান আপনেরে দেওয়া যাইব না, গাছের সবগুলো কাঁচা পেঁপেতে ইনজেকশন দিয়ে গেছে।’
সেই দিন থেকে পেঁপের থেকে যতটা দূরত্ব সম্ভব বজায় চলছি। খাব কী তাহলে? হ্যাঁ, তাল খাব তাল। কাঁচা তাল। আপাতত। পরে কী খাব জানি না।
এই তালের গাছ বাংলার গ্রামগঞ্জের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ আজ। অথচ এর জন্মভূমি হলো সুদূর আফ্রিকা। যেখান থেকেই এর আগমন ঘটুক, এর পাতার আকর্ষণীয় বিন্যাস যে কাউকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। বলিষ্ঠ এর কাণ্ড। ‘তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে’ হালকা সবুজ বড় বড় পাতার সমাহার তালগাছে। দেশের বৃহত্তম পামগাছ হচ্ছে তালগাছ। তবে দীর্ঘজীবী গাছ হলেও ফলতে লাগে ৩০ থেকে ৪০ বছর। খনার বচন—বাপে লাগায়/পুত্রে খায়/তার পুতে খায় বা না খায়।
আমি এ মুহূর্তে পূর্ব প্রজন্মের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— তালগাছ লাগানোর জন্য তাঁদেরই বদান্যতায় এ মুহূর্তে বিষমুক্ত তালের শাঁস আমরা খেতে পারছি, আরও কত প্রকারের সুবিধা যে নিচ্ছি আমরা তালগাছ থেকে তার ইয়ত্তা নেই। তালের নাকি আট শ এক রকম ব্যবহার আছে বলে কথিত। যেমন পুরুষ গাছের ফুল থেকে সুমিষ্ট রস হয়। ঘন, মধুর ও সুগন্ধি রস। তালমিছরি সুস্বাদু ও শিশুদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তালের তাড়ির কথা আর বললাম না না হয়। সিরকা, কাসুন্দি, আচারের উপকরণ। শাঁসের কথা তো আগেই বলেছি। পাকা তালের পিঠা খায়নি এমন বাঙালির জীবন বৃথা ষোল আনাই। সব খাওয়ার পর বীজ পুঁতে রেখে তার শাঁস খাওয়াটা আরও উপাদেয়।
ছোটবেলায় দেখেছি তালপাতা দিয়ে তৈরি হতো সেপাই। এককথায় তালপাতার সেপাই। একটা কাঠির আগায় থাকত লাগানো। কাঠিটি হাতের আঙুল দিয়ে ঘোরালেই সেপাই নানা কায়দায় নাড়ত হাত-পা। তো তালপাতার ব্যবহার বিভিন্ন রকম। হাত পাখার কথাটা বলা বাহুল্য। এ দিয়ে টুপি, ঝুড়ি, চাটাই, মাদুর, বেড়াসহ নানা খেলনা তৈরি হয়। কাঠও দারুণ শক্ত এবং আঁশযুক্ত। সহজে পচে না বা নষ্ট হয় না। ছোট ডিঙি নৌকা তো হয়ই, ছাতির বাঁট, লাঠি, বাক্স, পাপোশ, কয়ার ইত্যাদি জিনিসও তৈরি হয় ওই তালগাছ থেকে। গ্রামের বহু পুকুরের ঘাটলাও তৈরি করা হয় তালগাছের গুঁড়ি দিয়ে।
তালগাছের পাতার আকর্ষণে বহু পশুপক্ষী নিজেদের আশ্রয়স্থল নির্মাণ করে এ গাছে। বাবুই পাখিও মুগ্ধ হয়ে রচনা করে তার চমৎকার স্থাপত্য নিদর্শন বাসা। এ গাছে মুগ্ধ বাংলার কবিকুলও। তাঁরা তাঁদের গানে-কবিতায়, গদ্যে-পদ্যে তালকে দিয়েছেন খুবই মর্যাদার আসন।
আর-পারে আমবন তালবন চলে,/গাঁয়ের বামুনপাড়া তারি ছায়াতলে। কিংবা,
ঐ দেখা যায় তালগাছ ওই আমাদের গাঁ
ঐ খানেতে বাস করে কানাবগির ছাঁ।
চমৎকার না, বলুন? আমার আবার এই কবিতাটার প্যারোডি কাব্য করতে ইচ্ছা করছে, ক্ষমা করবেন পাঠককুল—
‘ওই শোনা যায় হরতাল ওই আমাদের গাঁ
ওই খানেতে বাস করে গিনিপিগের ছা।’
গিনিপিগের ছা’দের মুক্তি নেই, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে না ফেলতেই বিশাল তালপতনের মতন হরতালের ঘোষণা। তবে শত দুর্যোগেও যে গিনিপিগ রয়েল বেঙ্গল টাইগার হয়ে উঠতে পারে, তারই প্রমাণ আবার দিল এক গিনিপিগের ছা—নাম তার মুসা ইব্রাহীম।
গ্রামের পুকুরপাড়ের কুঁড়েঘরের সেই শিশুটি নির্জন দুপুরে তাল পড়ার শব্দে যে আনন্দে ছুটে গিয়েছিল—ইচ্ছে করছে তেমনি করে ছুটে চলে যাই এভারেস্টের কাছে, জড়িয়ে ধরে তোমায় বলি—
জয়তু মুসা ইব্রাহীম।
(তালের ইতিহাস নিসর্গ প্রেমিক দ্বিজেন শর্মা মহাশয়ের সৌজন্যে প্রাপ্ত)
আবুল হায়াত: নাট্যব্যক্তিত্ব।
No comments