জনস্বাস্থ্য-ব্যবস্থায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করুন-সরকারি হাসপাতালের দুরবস্থা
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়েছে ২০০৬ সালে। অথচ এখানে নেই আঘাতজনিত বিভাগ ও অস্ত্রোপচার কক্ষ। হাসপাতালটিতে জরুরি চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারে ব্যাঘাত ঘটছে। এমন খবরে আমাদের বিস্মিত হতে হয়।
সরকারের কর্তাব্যক্তিদের নাকের ডগায় অবস্থিত একটি সরকারি হাসপাতালের যেখানে এমন অবস্থা, সেখানে সারা দেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি যে কতটা শোচনীয়, তা সহজেই অনুমেয়।
আঘাতজনিত বিভাগ ও অস্ত্রোপচার কক্ষের জন্য ১৩ বছর আগে যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছিল। ৩০ লাখ টাকায় কেনা সেসব যন্ত্রপাতির আজ কোনো হদিস নেই। এগুলো কোথায় গেল? আমরা সব সময় শুনে আসছি, চিকিৎসকেরা রাজধানীর বাইরে দায়িত্ব পালন করতে চান না। এ ব্যাপারে খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও সোচ্চার হতে দেখা গেছে। কিন্তু রাজধানীতে অবস্থিত হাসপাতালগুলোতে যাঁদের দায়িত্ব পালনের কথা, তাঁদেরও কেন সময়মতো পাওয়া যায় না? চিকিৎসক-সংকটের কারণে রাজধানীর কোনো হাসপাতালের জরুরি কার্যক্রম কেন অচল হয়ে পড়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হবে? চিকিৎসকদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। আবার কোনো কোনো চিকিৎসককে অন্য হাসপাতালে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করতে হতেই পারে। তাই বলে একটি হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটা কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না। হাসপাতালে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকলে এ অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়। এ থেকে সরকারের দুর্বলতা অথবা জনস্বাস্থ্য বিষয়ে অমনোযোগিতাই স্পষ্ট কয়ে ওঠে।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাব্যবস্থার দুরবস্থার যে চিত্র প্রায়ই দেখা যায়, তা সরকারি চিকিৎসা সম্পর্কে জনগণের হতাশাকেই শুধু বাড়ায়। বাংলাদেশের মতো এত জনবহুল একটি দেশে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি হাসপাতালের কোনো বিকল্প নেই। চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চিকিৎসাদান আর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে স্বল্পসংখ্যক মানুষই স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে।
সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলোর একটি হলো সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। আশার কথা, সরকারি স্বাস্থ্যসেবার উপজেলাভিত্তিক একটি অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। আর হতাশার, আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় এবং চিকিৎসক-সংকটের কারণে জনগণ দরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তার ওপর হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুর্নীতি তো আছেই। আমরা আশা করি, সরকার জনস্বাস্থ্য-ব্যবস্থায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে বিশেষ মনোযোগ দেবে এবং বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
আঘাতজনিত বিভাগ ও অস্ত্রোপচার কক্ষের জন্য ১৩ বছর আগে যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছিল। ৩০ লাখ টাকায় কেনা সেসব যন্ত্রপাতির আজ কোনো হদিস নেই। এগুলো কোথায় গেল? আমরা সব সময় শুনে আসছি, চিকিৎসকেরা রাজধানীর বাইরে দায়িত্ব পালন করতে চান না। এ ব্যাপারে খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও সোচ্চার হতে দেখা গেছে। কিন্তু রাজধানীতে অবস্থিত হাসপাতালগুলোতে যাঁদের দায়িত্ব পালনের কথা, তাঁদেরও কেন সময়মতো পাওয়া যায় না? চিকিৎসক-সংকটের কারণে রাজধানীর কোনো হাসপাতালের জরুরি কার্যক্রম কেন অচল হয়ে পড়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হবে? চিকিৎসকদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। আবার কোনো কোনো চিকিৎসককে অন্য হাসপাতালে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করতে হতেই পারে। তাই বলে একটি হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটা কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না। হাসপাতালে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকলে এ অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়। এ থেকে সরকারের দুর্বলতা অথবা জনস্বাস্থ্য বিষয়ে অমনোযোগিতাই স্পষ্ট কয়ে ওঠে।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাব্যবস্থার দুরবস্থার যে চিত্র প্রায়ই দেখা যায়, তা সরকারি চিকিৎসা সম্পর্কে জনগণের হতাশাকেই শুধু বাড়ায়। বাংলাদেশের মতো এত জনবহুল একটি দেশে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি হাসপাতালের কোনো বিকল্প নেই। চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চিকিৎসাদান আর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে স্বল্পসংখ্যক মানুষই স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে।
সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলোর একটি হলো সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। আশার কথা, সরকারি স্বাস্থ্যসেবার উপজেলাভিত্তিক একটি অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। আর হতাশার, আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় এবং চিকিৎসক-সংকটের কারণে জনগণ দরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তার ওপর হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুর্নীতি তো আছেই। আমরা আশা করি, সরকার জনস্বাস্থ্য-ব্যবস্থায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে বিশেষ মনোযোগ দেবে এবং বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
No comments