নির্ভুল গণনা হোক
আদমশুমারির কাজ শুরু হয়েছে। ১৫ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত এ গণনা চলবে। চূড়ান্ত ফল জানতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। চূড়ান্ত ফল জানার পর আমাদের দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা, খানা সংখ্যাসহ আরো কিছু তথ্য জানা যাবে। আর এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তীকালে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নসহ রাষ্ট্রীয় নানা কাজ সম্পন্ন হবে।
১০ বছর আগে বাংলাদেশের আদমশুমারি হয়েছে। ওই সময় জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশ হলেও পরবর্তীকালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর অনেক অভিযোগই আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে। চলতি আদমশুমারি শেষ হলে আমাদের সামনের সেই অস্বচ্ছতা দূর হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে আদমশুমারির কাজ চালানো হবে। তিন লাখ কর্মী এ কাজে নিয়োজিত হবে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। একই সময়ে বিশাল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে কিছু নেতিবাচক সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, আদমশুমারির জন্য যে প্রচার প্রয়োজন ছিল, এ বছর তেমনটা করা হয়নি। কিন্তু এসব যেমনই হোক না কেন, পদ্ধতিগত কিছু বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন হবে। যেমন ভাসমান মানুষের কথাই ধরা যাক। তাদের যদি আদমশুমারির আওতায় আনা না যায়, তাহলে প্রকৃত অর্থে আদমশুমারির সুফল পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোকে আদমশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত করতে বেশ অসুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তেমনি ছিটমহলবাসীর কথাও বিবেচনা করা যায়। দেশে নারী ও পুরুষ ছাড়া আরো কিছু মানুষ আছে, যাদের লিঙ্গ পরিচয়হীন হওয়ার কারণে আদমশুমারি থেকে বাদ থাকতে হয়। যেমন দেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীকে নারী কিংবা পুরুষ কোনো ক্যাটাগরিতেই ফেলা হচ্ছে না।
আদমশুমারির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা; কিন্তু এসব মানুষকে বাদ দিয়ে কি আর প্রকৃত অর্থে আদমশুমারি হয়েছে বলে মন্তব্য করা যাবে। তিন লক্ষাধিক কর্মীর একজনও যদি ভুল তথ্য সনি্নবেশিত করেন, তাহলেও এই আদমশুমারিকে পরিপূর্ণভাবে সঠিক বলার সুযোগ থাকবে না। তাই আদমশুমারির কাজে নিয়োজিত কর্মীদের অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে, যাতে কেউ গণনা থেকে বাদ না যায়।
২০০১ সালের আদমশুমারি চলাকালে একটা অভিযোগ শোনা গিয়েছিল যে গণনাকারী কর্মীরা নিজেদের ঘরে বসেই ফরম পূরণ করে দায়িত্ব শেষ করে দিচ্ছেন। এ বছর যেন এমন কোনো উদাহরণ তৈরি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাঁদের মনে রাখার প্রয়োজন আছে যে দেশের কল্যাণকর কিছু করতে হলে তাঁদের এ কাজটি মূল্যায়িত হবে। এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় এই গণনার কাজটি অন্যতম সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। তাই দেশের উন্নয়নের অনেকাংশ নির্ভর করে তাঁদের কাজের সততার ওপর। এর আগে যেভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে, আজ থেকেই যেন তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কারণ আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে, যারা সচেতন নয়। তারা হয়তো বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না-ও দিতে পারে। তা ছাড়া আমাদের দেশের অনেক মানুষ আছে, যারা নগদ প্রাপ্তিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এ ধরনের মানুষের কারণেও সরকারের মহতী এ উদ্যোগটিও ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই সাধারণ মানুষকে আওতায় আনার জন্য অবিলম্বে বেতার, টেলিভিশন এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা যায়।
আদমশুমারির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা; কিন্তু এসব মানুষকে বাদ দিয়ে কি আর প্রকৃত অর্থে আদমশুমারি হয়েছে বলে মন্তব্য করা যাবে। তিন লক্ষাধিক কর্মীর একজনও যদি ভুল তথ্য সনি্নবেশিত করেন, তাহলেও এই আদমশুমারিকে পরিপূর্ণভাবে সঠিক বলার সুযোগ থাকবে না। তাই আদমশুমারির কাজে নিয়োজিত কর্মীদের অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে, যাতে কেউ গণনা থেকে বাদ না যায়।
২০০১ সালের আদমশুমারি চলাকালে একটা অভিযোগ শোনা গিয়েছিল যে গণনাকারী কর্মীরা নিজেদের ঘরে বসেই ফরম পূরণ করে দায়িত্ব শেষ করে দিচ্ছেন। এ বছর যেন এমন কোনো উদাহরণ তৈরি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাঁদের মনে রাখার প্রয়োজন আছে যে দেশের কল্যাণকর কিছু করতে হলে তাঁদের এ কাজটি মূল্যায়িত হবে। এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় এই গণনার কাজটি অন্যতম সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। তাই দেশের উন্নয়নের অনেকাংশ নির্ভর করে তাঁদের কাজের সততার ওপর। এর আগে যেভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে, আজ থেকেই যেন তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কারণ আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে, যারা সচেতন নয়। তারা হয়তো বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না-ও দিতে পারে। তা ছাড়া আমাদের দেশের অনেক মানুষ আছে, যারা নগদ প্রাপ্তিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এ ধরনের মানুষের কারণেও সরকারের মহতী এ উদ্যোগটিও ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই সাধারণ মানুষকে আওতায় আনার জন্য অবিলম্বে বেতার, টেলিভিশন এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা যায়।
No comments