বুদ্ধপূর্ণিমা-বুদ্ধের মানবতাবাদী শিক্ষা by সুকোমল বড়ুয়া
আজ মহান বুদ্ধপূর্ণিমা। মানবের
ইতিহাসে এক পরম পবিত্র তিথি। খ্রিষ্টপূর্ব ৬২৪ অব্দের এই দিনেই জন্ম হয়েছিল
মহামানব গৌতম বুদ্ধের। দীর্ঘ ছয় বছর কঠোর তপস্যার পর তাঁর বুদ্ধত্ব লাভ
হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৫৮৯ অব্দে। সুদীর্ঘ ৪৫ বছর ধর্ম প্রচারের পর ৮০ বছর
বয়সে তাঁর মহাপরিনির্বাণ হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৫৪৪ অব্দে। গৌতম বুদ্ধের মহান
জীবনের এই প্রধান তিনটি ঘটনাকেই মানববিশ্বের ইতিহাসে বুদ্ধপূর্ণিমা নামে
অভিহিত করা হয়। এ দিন সমগ্র বিশ্বের বৌদ্ধরা এবং মানবতাবাদী দার্শনিক
চিন্তাবিদেরা বুদ্ধের জীবনদর্শনকে গভীরভাবে অনুধাবন করেন এবং ধর্মীয়
ভাবগাম্ভীর্যে ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করেন।
প্রতিবছর
মহান এই বুদ্ধপূর্ণিমা উদ্যাপনের মধ্য দিয়েই আমরা মহামানব গৌতম বুদ্ধের
মানবতাবাদী শিক্ষা, জীবনদর্শন এবং উত্তম মানবজীবন গঠনের লক্ষ্যে সুন্দর, সৎ
ও আলোকিত আদর্শের এক অপূর্ব শিক্ষা লাভ করি; যা ইহজাগতিক এবং পারমার্থিক
উভয় জীবনের জন্য অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ। বৌদ্ধমতে, প্রজ্ঞাময় জীবনের
মধ্য দিয়েই একজন মানুষের সর্বোত্তম জীবন গড়ে ওঠে; যেখানে তিনি হন
ন্যায়পরায়ণ, বিবেকবান ও আত্মসচেতন। আমি কে? আমার করণীয় কী? ভালো-মন্দ কী
কাজ আমার করা উচিত এবং অনুচিত? আমার কর্মে আমি নিজেই সন্তুষ্ট কি না?
সর্বোপরি আমার কর্মে মানবজাতি উপকৃত হচ্ছে কি না?—এসব বিষয় চিন্তা করাই হলো
বৌদ্ধ-ভাবনা। একজন মানুষ এসব চিন্তা করতে গেলেই তার জীবন সম্পর্কে, জীবনের
করণীয় সম্পর্কে এবং কর্মের শুভাশুভ সম্পর্কে অনায়াসে ভাবতে পারবে। এতে
আত্মজীবন যেমন বিশ্লেষণ করা যাবে, তেমনি জীবন-সচেতনতাও বৃদ্ধি পাবে।
তবে আমরা সহজে আত্মজীবন বিশ্লেষণ করতে চাই না। নিজের সম্পর্কে জানতেও চাই না। তাই আমাদের মানবতা ও বিবেকবোধ আজ এত বিপন্ন, মানবজাতির এত দুঃখ-দুর্দশা। এ জন্যই বুদ্ধ বলেছেন—উত্তিট্ঠ নপ্প মজ্জেয়্য, ধম্মং সুচরিতং চরে, অর্থাৎ তোমরা ওঠো! আত্মসচেতন হও। সুন্দররূপে ধর্মাচরণ করো। বুদ্ধ আরও বলেছেন, এহিপসি্সকো ধম্মো সন্দিটিঠকো পচ্চত্তং বেদিতব্বং, অর্থাৎ তুমি তোমাকে জানো, দেখো, সম্যকভাবে পর্যবেক্ষণ করো এবং তুমি তোমাকেই বিচার-বিশ্লেষণ করো। মহামতি বুদ্ধের এই জীবনদর্শন সক্রেটিস ও প্লেটোর জীবনেও দেখতে পাই।
বৌদ্ধমতে, তিনিই প্রজ্ঞাবান ও সর্বোত্তম, যিনি আত্মসচেতন, নীতিবোধসম্পন্ন, বিবেকবান এবং যিনি তাঁর ভালো-মন্দ কর্ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ পরিজ্ঞাত হন। ব্যক্তি বিবেকসচেতন হলেই মন্দ কর্ম থেকে বিরত থাকতে পারেন। তাই বৌদ্ধ মানস গঠনের লক্ষ্যে পঞ্চশীল বা পঞ্চনীতির কথা বলা হয়েছে, যেখানে একজন ব্যক্তি তাঁর জীবনের প্রথম থেকেই এই সদ্গুণ চর্চা করবে। এই পঞ্চনীতিতে আমি শুধু নিজেই নীতিপরায়ণ হব তা নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের অন্যকেও নীতিবান হতে অনুপ্রাণিত করব। বৌদ্ধ পঞ্চনীতিতে বলা হয়েছে—১. আমি কোনো প্রাণীকে হত্যা করব না, আঘাত করব না। অন্যকেও এ কাজ করার জন্য কখনো উৎসাহিত করব না। ২. আমি চৌর্যবৃত্তি করব না, অন্যকেও এ কাজে অনুপ্রাণিত করব না। ৩. আমি ব্যভিচার করব না, অন্যকেও এ কাজে উৎসাহ দেব না। ৪. আমি মিথ্যা বলব না, অন্যকেও তা করার জন্য উৎসাহিত করব না। ৫. আমি মাদকদ্রব্য সেবন করব না, অন্যকেও উৎসাহিত করব না।
এই নীতিগুলো যদি সবাই পালন করি তাহলে কখনো কি আমরা অনৈতিক কাজ করতে পারি? শীল পালনের গুরুত্বকে বৌদ্ধ ধর্ম সবিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। বৌদ্ধ নীতিবিজ্ঞান ও কার্যকারণ তত্ত্বে বলা হচ্ছে, একটি অনৈতিকতা আরেকটি অনৈতিকতার জন্ম দেয়। একটি সদিচন্তা আরেকটি সদিচন্তা সৃষ্টি করে। অশুভ চিন্তা থেকে কখনো শুভ ফল পাওয়া যায় না। ব্যক্তির কর্ম যদি কৃষ্ণ হয়, ফলও হবে কৃষ্ণ। কৃষ্ণকর্ম থেকে কখনো শুক্লফল আশা করা যায় না।
বৌদ্ধমতে, বিদ্যা ও সম্যক জ্ঞানের অভাবই হচ্ছে অবিদ্যা। অবিদ্যাই সব অজ্ঞানতার মূল কারণ। অশুভ, দুর্বিনীত এবং অজ্ঞানপ্রসূত সব কাজের জন্য ব্যক্তির অবিদ্যাই দায়ী। লোভ, দ্বেষ, মোহ, হিংসা, জিঘাংসা প্রভৃতি কুমানসিকতা অবিদ্যা ও অজ্ঞানতা থেকেই সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় নানা রকম মিথ্যা ও অসদাচরণ। সুতরাং আমাকে বুঝতে হবে, আমার বিপথগামী চিত্তই আমাকে প্রতি মুহূর্তে অশুভ পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাই বৌদ্ধশাস্ত্র বলছে, শত্রু যতটুকু ক্ষতি করতে পারবে না, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারবে ব্যক্তির নিজের বিপথগামী চিত্ত। নিজের পিতা-মাতা নিজ সন্তানসন্তুতির যতটুকু উপকার সাধন করতে পারবে না, তার চেয়ে বেশি উপকার করতে পারবে নিজের সুসংযত ও সুপথে পরিচালিত চিত্ত। তাই বৌদ্ধ ধর্মে সদ্জীবন গঠন ও পরিচালনার জন্য আটটি বিশুদ্ধ পথ বা মার্গের কথা বলা হয়েছে, যাকে বৌদ্ধ পরিভাষায় বলা হয় আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ। এগুলো হলো—সদ্দৃষ্টি, সদ্বাক্য, সদ্কর্ম, সদ্জীবিকা, সদ্সংকল্প, সদ্প্রচেষ্টা, সদ্স্মৃতি ও সদ্সমাধি। ব্যক্তির ব্যবহারিক জীবনে তো বটেই, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এসবের গুরুত্ব অনেক।
মানুষ হিসেবে আমি যদি উত্তম হই, সর্বশ্রেষ্ঠ হই, তাহলে আমার প্রতিটি কর্ম, চিন্তাও কি উত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ হবে না? এ জন্যই বৌদ্ধ ধর্ম বলছে—হীনধম্ম ন সেবেয়্য, পমাদেন ন সংবসো, অর্থাৎ তোমাদের জীবনে তোমরা কখনো হীন আচরণ করবে না, কখনো প্রমাদের বশবর্তী হয়ো না। কারণ হীনতা অধম চরিত্রের কাজ এবং প্রমাদই মৃত্যুর পথ।
অতএব চলুন, আমরা আজ চিত্তকে পরিশুদ্ধ করি। হিংসা, ক্রোধ পরিহার করি এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নৈরাজ্য ও নানা ধরনের অপকর্ম থেকে নিজকে বিরত রাখি। এভাবে যদি আমরা নিত্যসুন্দর ও সৎপথে পরিচালিত হই তাহলে আর কোনো রকম অন্যায়, অবিচার ও অপরাধ থাকবে না। সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বে আর কোনো রকম নৈরাজ্য ও অশান্তি থাকবে না। থাকবে না কোনো রকম অরাজকতা। অতএব চলুন, আমরা আজ সেই লক্ষ্যে মহামতি গৌতম বুদ্ধের মানবতাবাদী অহিংস জীবনদর্শনে উজ্জীবিত হই। সব্বে সত্তা সুখীতা ভবন্তু—জগতের সকল জীব সুখী হোক। ভবতু সব্ব মঙ্গলং—সকলের মঙ্গল হোক। বাংলাদেশ চির সমৃদ্ধময় হোক। বিশ্বে শান্তি বর্ষিত হোক।
ড. সুকোমল বড়ুয়া: সাবেক চেয়ারম্যান, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে আমরা সহজে আত্মজীবন বিশ্লেষণ করতে চাই না। নিজের সম্পর্কে জানতেও চাই না। তাই আমাদের মানবতা ও বিবেকবোধ আজ এত বিপন্ন, মানবজাতির এত দুঃখ-দুর্দশা। এ জন্যই বুদ্ধ বলেছেন—উত্তিট্ঠ নপ্প মজ্জেয়্য, ধম্মং সুচরিতং চরে, অর্থাৎ তোমরা ওঠো! আত্মসচেতন হও। সুন্দররূপে ধর্মাচরণ করো। বুদ্ধ আরও বলেছেন, এহিপসি্সকো ধম্মো সন্দিটিঠকো পচ্চত্তং বেদিতব্বং, অর্থাৎ তুমি তোমাকে জানো, দেখো, সম্যকভাবে পর্যবেক্ষণ করো এবং তুমি তোমাকেই বিচার-বিশ্লেষণ করো। মহামতি বুদ্ধের এই জীবনদর্শন সক্রেটিস ও প্লেটোর জীবনেও দেখতে পাই।
বৌদ্ধমতে, তিনিই প্রজ্ঞাবান ও সর্বোত্তম, যিনি আত্মসচেতন, নীতিবোধসম্পন্ন, বিবেকবান এবং যিনি তাঁর ভালো-মন্দ কর্ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ পরিজ্ঞাত হন। ব্যক্তি বিবেকসচেতন হলেই মন্দ কর্ম থেকে বিরত থাকতে পারেন। তাই বৌদ্ধ মানস গঠনের লক্ষ্যে পঞ্চশীল বা পঞ্চনীতির কথা বলা হয়েছে, যেখানে একজন ব্যক্তি তাঁর জীবনের প্রথম থেকেই এই সদ্গুণ চর্চা করবে। এই পঞ্চনীতিতে আমি শুধু নিজেই নীতিপরায়ণ হব তা নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের অন্যকেও নীতিবান হতে অনুপ্রাণিত করব। বৌদ্ধ পঞ্চনীতিতে বলা হয়েছে—১. আমি কোনো প্রাণীকে হত্যা করব না, আঘাত করব না। অন্যকেও এ কাজ করার জন্য কখনো উৎসাহিত করব না। ২. আমি চৌর্যবৃত্তি করব না, অন্যকেও এ কাজে অনুপ্রাণিত করব না। ৩. আমি ব্যভিচার করব না, অন্যকেও এ কাজে উৎসাহ দেব না। ৪. আমি মিথ্যা বলব না, অন্যকেও তা করার জন্য উৎসাহিত করব না। ৫. আমি মাদকদ্রব্য সেবন করব না, অন্যকেও উৎসাহিত করব না।
এই নীতিগুলো যদি সবাই পালন করি তাহলে কখনো কি আমরা অনৈতিক কাজ করতে পারি? শীল পালনের গুরুত্বকে বৌদ্ধ ধর্ম সবিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। বৌদ্ধ নীতিবিজ্ঞান ও কার্যকারণ তত্ত্বে বলা হচ্ছে, একটি অনৈতিকতা আরেকটি অনৈতিকতার জন্ম দেয়। একটি সদিচন্তা আরেকটি সদিচন্তা সৃষ্টি করে। অশুভ চিন্তা থেকে কখনো শুভ ফল পাওয়া যায় না। ব্যক্তির কর্ম যদি কৃষ্ণ হয়, ফলও হবে কৃষ্ণ। কৃষ্ণকর্ম থেকে কখনো শুক্লফল আশা করা যায় না।
বৌদ্ধমতে, বিদ্যা ও সম্যক জ্ঞানের অভাবই হচ্ছে অবিদ্যা। অবিদ্যাই সব অজ্ঞানতার মূল কারণ। অশুভ, দুর্বিনীত এবং অজ্ঞানপ্রসূত সব কাজের জন্য ব্যক্তির অবিদ্যাই দায়ী। লোভ, দ্বেষ, মোহ, হিংসা, জিঘাংসা প্রভৃতি কুমানসিকতা অবিদ্যা ও অজ্ঞানতা থেকেই সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় নানা রকম মিথ্যা ও অসদাচরণ। সুতরাং আমাকে বুঝতে হবে, আমার বিপথগামী চিত্তই আমাকে প্রতি মুহূর্তে অশুভ পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাই বৌদ্ধশাস্ত্র বলছে, শত্রু যতটুকু ক্ষতি করতে পারবে না, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারবে ব্যক্তির নিজের বিপথগামী চিত্ত। নিজের পিতা-মাতা নিজ সন্তানসন্তুতির যতটুকু উপকার সাধন করতে পারবে না, তার চেয়ে বেশি উপকার করতে পারবে নিজের সুসংযত ও সুপথে পরিচালিত চিত্ত। তাই বৌদ্ধ ধর্মে সদ্জীবন গঠন ও পরিচালনার জন্য আটটি বিশুদ্ধ পথ বা মার্গের কথা বলা হয়েছে, যাকে বৌদ্ধ পরিভাষায় বলা হয় আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ। এগুলো হলো—সদ্দৃষ্টি, সদ্বাক্য, সদ্কর্ম, সদ্জীবিকা, সদ্সংকল্প, সদ্প্রচেষ্টা, সদ্স্মৃতি ও সদ্সমাধি। ব্যক্তির ব্যবহারিক জীবনে তো বটেই, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এসবের গুরুত্ব অনেক।
মানুষ হিসেবে আমি যদি উত্তম হই, সর্বশ্রেষ্ঠ হই, তাহলে আমার প্রতিটি কর্ম, চিন্তাও কি উত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ হবে না? এ জন্যই বৌদ্ধ ধর্ম বলছে—হীনধম্ম ন সেবেয়্য, পমাদেন ন সংবসো, অর্থাৎ তোমাদের জীবনে তোমরা কখনো হীন আচরণ করবে না, কখনো প্রমাদের বশবর্তী হয়ো না। কারণ হীনতা অধম চরিত্রের কাজ এবং প্রমাদই মৃত্যুর পথ।
অতএব চলুন, আমরা আজ চিত্তকে পরিশুদ্ধ করি। হিংসা, ক্রোধ পরিহার করি এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নৈরাজ্য ও নানা ধরনের অপকর্ম থেকে নিজকে বিরত রাখি। এভাবে যদি আমরা নিত্যসুন্দর ও সৎপথে পরিচালিত হই তাহলে আর কোনো রকম অন্যায়, অবিচার ও অপরাধ থাকবে না। সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বে আর কোনো রকম নৈরাজ্য ও অশান্তি থাকবে না। থাকবে না কোনো রকম অরাজকতা। অতএব চলুন, আমরা আজ সেই লক্ষ্যে মহামতি গৌতম বুদ্ধের মানবতাবাদী অহিংস জীবনদর্শনে উজ্জীবিত হই। সব্বে সত্তা সুখীতা ভবন্তু—জগতের সকল জীব সুখী হোক। ভবতু সব্ব মঙ্গলং—সকলের মঙ্গল হোক। বাংলাদেশ চির সমৃদ্ধময় হোক। বিশ্বে শান্তি বর্ষিত হোক।
ড. সুকোমল বড়ুয়া: সাবেক চেয়ারম্যান, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments