মিডিয়া ভাবনা-সংবাদপত্র-শিল্পের জন্য অশনিসংকেত by মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর
টিভি চ্যানেলের পর এবার সংবাদপত্র সরকারের দমননীতির শিকার হলো। আমাদের অনেকের ধারণা ছিল, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ দুটি কালো আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এ দেশের আর কোনো সরকার একক ক্ষমতাবলে সংবাদপত্র বন্ধ করতে পারবে না।
কিন্তু আমার দেশ পত্রিকা সরকার বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের সে ধারণা ভেঙে গেল। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আবার প্রমাণ করেছে, ‘সরকার জঘন্য রকমের ক্ষমতাশালী। সরকার যা খুশি তা করতে পারে।’ দুটি কালো আইন না থাকা সত্ত্বেও সরকার কোন আইনে আমার দেশ বন্ধ করে দিতে পেরেছে, তার ব্যাখ্যা আইনজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন। আদালতে নিশ্চয় এই ইস্যুটা শিগগিরই উঠবে। তখন দেখা যাবে সরকারপক্ষ আইনের কী যুক্তি দেখায়। যে যুক্তিই দেখাক তা সব সংবাদপত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ বিবেচিত হবে। অর্থাৎ সংবাদপত্র বন্ধ ঘোষণা করার অস্ত্র এখনো সরকারের হাতে রয়ে গেছে।
‘প্রকাশক’-সংক্রান্ত একটা জটিলতার দোহাই দিয়ে সরকার আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার হয়তো পত্রিকাটির ডিক্লারেশন-সংক্রান্ত কোনো ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে। এ রকম ত্রুটি থাকা অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। যেমন—দেশের বহু সৎ ও সজ্জন লোকেরও আয়করসংক্রান্ত দুর্বলতা পাওয়া যাবে। তাই বলে এনবিআর সবাইকে ধরে ধরে জেলে ভরছে না। আমার দেশ পত্রিকার ‘প্রকাশক’-সংক্রান্ত কোনো দুর্বলতা থাকলে সরকার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে নোটিশ দিতে পারত। আমার দেশ কর্তৃপক্ষকে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। এটা ন্যূনতম দায়িত্বশীলতা। একটি সংবাদপত্র ও একটি সাধারণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে এক মানদণ্ডে দেখা উচিত নয়।
পাঠক জানেন, আমার দেশ একটি বিরোধী দল সমর্থিত পত্রিকা। শুরু থেকেই পত্রিকাটি সরকারের নানা সমালোচনা করছে। বিরোধী দলের পত্রিকা যেমনটি হয়। তা ছাড়া পত্রিকাটি একটি বিশেষ বিরোধী দলের মুখপত্রের মতো সাংবাদিকতা করে থাকে। সংবাদপত্রে এ ধরনের ‘দলীয় মুখপত্র’ কতটা সমর্থনযোগ্য, সেটা ভিন্ন প্রশ্ন। সেই বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু দেশে যখন বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু রয়েছে, তখন ভিন্নমতের সংবাদপত্রকে সহ্য করতে সরকার বাধ্য। ভিন্নমতের সংবাদপত্র ও টিভি গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। সরকার আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ ঘোষণা করে গণতন্ত্রের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের দুর্বলতাই প্রকাশ করেছে। আমার বিশ্বাস, সরকারের বহু সমর্থকও এই পদক্ষেপকে সমর্থন করতে পারছে না।
আমার দেশ পত্রিকার প্রেস সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া, মধ্যরাতে বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে পত্রিকার সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা, পত্রিকার প্রকাশককে তাঁর বাসা থেকে বিশেষ বাহিনী কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া ও দুটি সাদা কাগজে প্রকাশকের সই নেওয়া (সূত্র: সংবাদপত্র) এগুলো কোনোটাই গণতন্ত্রচর্চার লক্ষণ নয়। এ রকম আচরণকে আইনের শাসনও বলা যায় না। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক গ্রেপ্তার ও অন্যান্য ঘটনা আমাদের এক-এগারোর সেনাসমর্থিত বিশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কিছু নিন্দনীয় আচরণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। যে আচরণ আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা নাগরিক সমাজ কেউ সমর্থন করেনি। এখন নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারও যদি একই আচরণ করে, তাহলে জনগণ কার ওপর ভরসা করবে? আমাদের গণতন্ত্রের শৈশব অবস্থা কিছুতেই যেন কাটছে না।
বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের ব্যাপারে এত স্পর্শকাতর কেন তা বুঝতে আমরা অক্ষম। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব-মোনেম চক্রের পায়ের নিচে মাটি ছিল না বলে তাঁরা সংবাদপত্র দলননীতিতে বিশ্বাস করতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ তো ভুঁইফোড় সংগঠন নয়। তাদের কীসের ভয়?
সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেলের সমালোচনাকে একটি জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক সরকার এত ভয় পাবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। তাহলে কি বলতে হবে আওয়ামী লীগ বা সরকারের মধ্যে বড় কোনো দুর্বলতা রয়েছে? ভোটের মাধ্যমে এত জনসমর্থন পেয়েও তারা আত্মবিশ্বাসী হতে পারছে না কেন?
আমি আমার দেশ পত্রিকার পাঠক নই। পত্রিকাটি আওয়ামী লীগ, সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কী লিখেছে, আমি জানি না। যদি পত্রিকাটি অসত্য তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন লিখে থাকে, তার বিচার চাওয়ার ও পত্রিকাটিকে শায়েস্তা করার নানা আইনি পথ রয়েছে। আদালত তো আছেনই। এ ছাড়া রয়েছে প্রেস কাউন্সিল। (বর্তমান তথ্যমন্ত্রী প্রেস কাউন্সিলকে কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ এখনো নেননি।) যদিও প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা খুব সীমিত। তবু সরকার বা আওয়ামী লীগ আইনি পথে গেলেই ভালো করত। সংবাদপত্র থেকে জানতে পেরেছি, আমার দেশ-এর সম্পাদকের বিরুদ্ধে ৩১টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে সম্পাদককে নিশ্চয় আদালত দণ্ড দেবেন। আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করা কি ভালো হতো না?
সংবাদপত্র গণতন্ত্রের একটা স্তম্ভ। স্বাধীন সংবাদপত্র সরকারের নানা ভুল-ত্রুটি তুলে ধরবে, সেটাই স্বাভাবিক। বিরোধী দলের সংবাদপত্র সরকারের নানা সমালোচনা করবে, সেটাও স্বাভাবিক। এখন গণতান্ত্রিক সরকার যদি এসব সমালোচনা সহ্য করতে না পারে, তাহলে দেশে গণতন্ত্রচর্চা ব্যাহত হবে। স্বাধীন সংবাদপত্রের বিকাশও ব্যাহত হবে। নতজানু ও দলকানা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা প্রশ্রয় পাবে, কোনো সচেতন মানুষের এটা কাম্য হতে পারে না।
‘প্রকাশক’ ইস্যুতে আমার দেশ কর্তৃপক্ষ কোনো অন্যায় করে থাকলে তা আইনি প্রক্রিয়ায় মীমাংসা হতে পারে। পত্রিকাটিতে যদি অসত্য তথ্য দিয়ে সরকারবিরোধী প্রতিবেদন ছাপা হয়ে থাকে, তাহলে আদালত বা প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে তার বিচার হতে পারে। এভাবেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। গভীর রাতে পত্রিকার প্রেস সিলগালা করে, সম্পাদককে গ্রেপ্তার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না, গণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠিত হবে না। আমরা জানি সরকারের হাতে অগাধ ক্ষমতা। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার একদিন সরকারি দলের জন্য বুমেরাং হতে পারে। ‘ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।’ আশা করি, সংবাদপত্র ও টিভি প্রশ্নে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। শিগগিরই টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র অবমুক্ত করে সরকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর: সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক।
‘প্রকাশক’-সংক্রান্ত একটা জটিলতার দোহাই দিয়ে সরকার আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার হয়তো পত্রিকাটির ডিক্লারেশন-সংক্রান্ত কোনো ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে। এ রকম ত্রুটি থাকা অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। যেমন—দেশের বহু সৎ ও সজ্জন লোকেরও আয়করসংক্রান্ত দুর্বলতা পাওয়া যাবে। তাই বলে এনবিআর সবাইকে ধরে ধরে জেলে ভরছে না। আমার দেশ পত্রিকার ‘প্রকাশক’-সংক্রান্ত কোনো দুর্বলতা থাকলে সরকার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে নোটিশ দিতে পারত। আমার দেশ কর্তৃপক্ষকে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। এটা ন্যূনতম দায়িত্বশীলতা। একটি সংবাদপত্র ও একটি সাধারণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে এক মানদণ্ডে দেখা উচিত নয়।
পাঠক জানেন, আমার দেশ একটি বিরোধী দল সমর্থিত পত্রিকা। শুরু থেকেই পত্রিকাটি সরকারের নানা সমালোচনা করছে। বিরোধী দলের পত্রিকা যেমনটি হয়। তা ছাড়া পত্রিকাটি একটি বিশেষ বিরোধী দলের মুখপত্রের মতো সাংবাদিকতা করে থাকে। সংবাদপত্রে এ ধরনের ‘দলীয় মুখপত্র’ কতটা সমর্থনযোগ্য, সেটা ভিন্ন প্রশ্ন। সেই বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু দেশে যখন বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু রয়েছে, তখন ভিন্নমতের সংবাদপত্রকে সহ্য করতে সরকার বাধ্য। ভিন্নমতের সংবাদপত্র ও টিভি গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। সরকার আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ ঘোষণা করে গণতন্ত্রের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের দুর্বলতাই প্রকাশ করেছে। আমার বিশ্বাস, সরকারের বহু সমর্থকও এই পদক্ষেপকে সমর্থন করতে পারছে না।
আমার দেশ পত্রিকার প্রেস সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া, মধ্যরাতে বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে পত্রিকার সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা, পত্রিকার প্রকাশককে তাঁর বাসা থেকে বিশেষ বাহিনী কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া ও দুটি সাদা কাগজে প্রকাশকের সই নেওয়া (সূত্র: সংবাদপত্র) এগুলো কোনোটাই গণতন্ত্রচর্চার লক্ষণ নয়। এ রকম আচরণকে আইনের শাসনও বলা যায় না। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক গ্রেপ্তার ও অন্যান্য ঘটনা আমাদের এক-এগারোর সেনাসমর্থিত বিশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কিছু নিন্দনীয় আচরণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। যে আচরণ আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা নাগরিক সমাজ কেউ সমর্থন করেনি। এখন নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারও যদি একই আচরণ করে, তাহলে জনগণ কার ওপর ভরসা করবে? আমাদের গণতন্ত্রের শৈশব অবস্থা কিছুতেই যেন কাটছে না।
বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের ব্যাপারে এত স্পর্শকাতর কেন তা বুঝতে আমরা অক্ষম। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব-মোনেম চক্রের পায়ের নিচে মাটি ছিল না বলে তাঁরা সংবাদপত্র দলননীতিতে বিশ্বাস করতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ তো ভুঁইফোড় সংগঠন নয়। তাদের কীসের ভয়?
সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেলের সমালোচনাকে একটি জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক সরকার এত ভয় পাবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। তাহলে কি বলতে হবে আওয়ামী লীগ বা সরকারের মধ্যে বড় কোনো দুর্বলতা রয়েছে? ভোটের মাধ্যমে এত জনসমর্থন পেয়েও তারা আত্মবিশ্বাসী হতে পারছে না কেন?
আমি আমার দেশ পত্রিকার পাঠক নই। পত্রিকাটি আওয়ামী লীগ, সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কী লিখেছে, আমি জানি না। যদি পত্রিকাটি অসত্য তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন লিখে থাকে, তার বিচার চাওয়ার ও পত্রিকাটিকে শায়েস্তা করার নানা আইনি পথ রয়েছে। আদালত তো আছেনই। এ ছাড়া রয়েছে প্রেস কাউন্সিল। (বর্তমান তথ্যমন্ত্রী প্রেস কাউন্সিলকে কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ এখনো নেননি।) যদিও প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা খুব সীমিত। তবু সরকার বা আওয়ামী লীগ আইনি পথে গেলেই ভালো করত। সংবাদপত্র থেকে জানতে পেরেছি, আমার দেশ-এর সম্পাদকের বিরুদ্ধে ৩১টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে সম্পাদককে নিশ্চয় আদালত দণ্ড দেবেন। আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করা কি ভালো হতো না?
সংবাদপত্র গণতন্ত্রের একটা স্তম্ভ। স্বাধীন সংবাদপত্র সরকারের নানা ভুল-ত্রুটি তুলে ধরবে, সেটাই স্বাভাবিক। বিরোধী দলের সংবাদপত্র সরকারের নানা সমালোচনা করবে, সেটাও স্বাভাবিক। এখন গণতান্ত্রিক সরকার যদি এসব সমালোচনা সহ্য করতে না পারে, তাহলে দেশে গণতন্ত্রচর্চা ব্যাহত হবে। স্বাধীন সংবাদপত্রের বিকাশও ব্যাহত হবে। নতজানু ও দলকানা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা প্রশ্রয় পাবে, কোনো সচেতন মানুষের এটা কাম্য হতে পারে না।
‘প্রকাশক’ ইস্যুতে আমার দেশ কর্তৃপক্ষ কোনো অন্যায় করে থাকলে তা আইনি প্রক্রিয়ায় মীমাংসা হতে পারে। পত্রিকাটিতে যদি অসত্য তথ্য দিয়ে সরকারবিরোধী প্রতিবেদন ছাপা হয়ে থাকে, তাহলে আদালত বা প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে তার বিচার হতে পারে। এভাবেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। গভীর রাতে পত্রিকার প্রেস সিলগালা করে, সম্পাদককে গ্রেপ্তার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না, গণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠিত হবে না। আমরা জানি সরকারের হাতে অগাধ ক্ষমতা। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার একদিন সরকারি দলের জন্য বুমেরাং হতে পারে। ‘ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।’ আশা করি, সংবাদপত্র ও টিভি প্রশ্নে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। শিগগিরই টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র অবমুক্ত করে সরকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর: সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক।
No comments