জামায়াত কঠিন আন্দোলনের সুযোগ খুঁজছে by মোশতাক আহমদ
গুম-হত্যা, দমন-পীড়ন, মামলা-হামলা, গ্রেপ্তারসহ সরকারের হার্ডলাইন অবস্থান মোকাবিলায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী। এ বিষয়ে তারা বিএনপিকে কৌশলী হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে বলে দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতারা জানিয়েছেন। তবে এখনই নয়।
সময় ও সুযোগ বুঝে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জামায়াতের ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ কালের কণ্ঠকে জানান, রাজনৈতিকভাবে এখনই আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিরোধী দলকে মোকাবিলায় সরকার কঠোর হলে দেশের আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বিরোধী দলের ৩৩ শীর্ষ নেতাকে সরকার একসঙ্গে জেলে পাঠিয়ে চরম অন্যায় করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্রে জানা যায়, জোটের শীর্ষ নেতারা কারাগারে থাকায় কার্যত নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আন্দোলনের পূর্বঘোষিত রোডম্যাপ ধরে অগ্রসর হওয়ার মনোবল হারিয়ে ফেলেছে জোটের হাইকমান্ড। বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনে গতি আনতে এবং সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সরকারের শেষ সময়ে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছিল জামায়াত-শিবির। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে সে অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে দলটি। তাই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে সরকারকে দেওয়া ১০ জুনের আলটিমেটামের পরে যেকোনো সময়ে রাজপথে গর্জে ওঠার পরিকল্পনা নিচ্ছে জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
কী ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে- জানতে চাইলে জামায়াতের ঢাকা মহানগরীর এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সড়ক অবরোধসহ এমন কর্মসূচি নেওয়া হবে, যাতে দেশ ও সরকার অচল হয়ে পড়ে। এমনকি অসহযোগ আন্দোলনের পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। তবে এ কাজ জামায়াত-শিবির একার ঘাড়ে না নিয়ে ১৮ দলীয় জোটকে সম্পৃক্ত করতে চায় বলেও উল্লেখ করেন ওই নেতা।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দের কাছে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, জামায়াত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। ১৮ দলীয় জোটের যৌথ পরামর্শেই আন্দোলন এগিয়ে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধ মামলায় আইনি লড়াই ও রাজপথে গণতান্ত্রিকভাবেই সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে নিতে চায় জামায়াত।
যুদ্ধাপরাধের বিচার থেকে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মুক্ত করা ও ব্যাংক-বীমাসহ সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিরাপদ রাখতে জামায়াতের একটি অংশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় আসছে বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে। আর অত্যন্ত গোপনে এ কাজটি করছেন জামায়াতের একজন শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতা।
সূত্র জানায়, সমঝোতার কারণেই গাড়ি পোড়ানো মামলায় ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলেও এজাহারভুক্ত শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল জব্বারকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে সচিবালয়ে বোমা বিস্ফোরণ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানো মামলায় জোটের শীর্ষ ৩৩ নেতা কারাগারে আটক থাকলেও অভিযুক্ত জামায়াত-শিবিরের তিন নেতা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই তিন নেতা হলেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, মহানগরী সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বুলবুল ও ছাত্রশিবির সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন সাইদী। তবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁদের দাবি, জামায়াত সমঝোতার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।
জামায়াতের ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ কালের কণ্ঠকে জানান, রাজনৈতিকভাবে এখনই আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিরোধী দলকে মোকাবিলায় সরকার কঠোর হলে দেশের আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বিরোধী দলের ৩৩ শীর্ষ নেতাকে সরকার একসঙ্গে জেলে পাঠিয়ে চরম অন্যায় করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্রে জানা যায়, জোটের শীর্ষ নেতারা কারাগারে থাকায় কার্যত নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় আন্দোলনের পূর্বঘোষিত রোডম্যাপ ধরে অগ্রসর হওয়ার মনোবল হারিয়ে ফেলেছে জোটের হাইকমান্ড। বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনে গতি আনতে এবং সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সরকারের শেষ সময়ে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছিল জামায়াত-শিবির। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে সে অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে দলটি। তাই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে সরকারকে দেওয়া ১০ জুনের আলটিমেটামের পরে যেকোনো সময়ে রাজপথে গর্জে ওঠার পরিকল্পনা নিচ্ছে জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
কী ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে- জানতে চাইলে জামায়াতের ঢাকা মহানগরীর এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সড়ক অবরোধসহ এমন কর্মসূচি নেওয়া হবে, যাতে দেশ ও সরকার অচল হয়ে পড়ে। এমনকি অসহযোগ আন্দোলনের পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। তবে এ কাজ জামায়াত-শিবির একার ঘাড়ে না নিয়ে ১৮ দলীয় জোটকে সম্পৃক্ত করতে চায় বলেও উল্লেখ করেন ওই নেতা।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দের কাছে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, জামায়াত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। ১৮ দলীয় জোটের যৌথ পরামর্শেই আন্দোলন এগিয়ে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধ মামলায় আইনি লড়াই ও রাজপথে গণতান্ত্রিকভাবেই সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে নিতে চায় জামায়াত।
যুদ্ধাপরাধের বিচার থেকে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মুক্ত করা ও ব্যাংক-বীমাসহ সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিরাপদ রাখতে জামায়াতের একটি অংশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় আসছে বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে। আর অত্যন্ত গোপনে এ কাজটি করছেন জামায়াতের একজন শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতা।
সূত্র জানায়, সমঝোতার কারণেই গাড়ি পোড়ানো মামলায় ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলেও এজাহারভুক্ত শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল জব্বারকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে সচিবালয়ে বোমা বিস্ফোরণ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানো মামলায় জোটের শীর্ষ ৩৩ নেতা কারাগারে আটক থাকলেও অভিযুক্ত জামায়াত-শিবিরের তিন নেতা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই তিন নেতা হলেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, মহানগরী সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বুলবুল ও ছাত্রশিবির সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন সাইদী। তবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁদের দাবি, জামায়াত সমঝোতার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।
No comments