মামলা-পাল্টামামলায় জর্জরিত গফরগাঁও আওয়ামী লীগ by নিয়ামুল কবীর সজল
গফরগাঁওয়ের লংগাইর ইউনিয়নের বাঙ্গালকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান (৩২) পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ১৯৯৯ সালে ছিলেন গফরগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেই আসাদুজ্জামান এমন এক মামলার আসামি, যে মামলার বাদী তাঁরই দলের এমপির এপিএস।
মামলার কারণে তাঁর বিড়ম্বনার শেষ নেই। আসাদুজ্জামান জানান, এই সরকারের আমলেই দলীয় কোন্দলের জের ধরে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়েছে। তাঁর পরিবারের আরো চারজনকেও এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। শুধু আসাদুজ্জামান নন, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলীয় বিরোধে গফরগাঁওয়ে কয়েক বছর ধরেই মামলা-পাল্টামামলায় অসংখ্য নেতা-কর্মীর ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরই স্থানীয় বিরোধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। একের পর এক সহিংস ঘটনাও ঘটতে থাকে। এসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের সঙ্গে দলীয় প্রতিপক্ষকেও মামলার আসামি করা একটি কৌশলে পরিণত হয় গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। গফরগাঁও থানায় দলীয় বিরোধে মোট কতগুলো মামলা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও অনেকের মতে মামলার সংখ্যা ২৫-৩০টির মতো। আবার জমি নিয়ে বিরোধ, ব্যক্তিগত রেষারেষিসহ বিভিন্ন ঘটনায় দায়ের করা মামলাতেও দলীয় প্রতিপক্ষকে জড়িয়ে দেওয়ার নজিরও একেবারে কম নেই। এসব মামলায় অন্তত সহস্রাধিক নেতা-কর্মী বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মামলাগুলো হচ্ছে মূলত এলাকার সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলের গ্রুপের মধ্যকার নিরন্তর দ্বন্দ্ব ও রেষারেষির সূত্র ধরে।
জানা গেছে, গত বছরের ২৯ জুলাই এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থিত দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশন চত্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে উভয় গ্রুপের প্রায় ৫৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় গফরগাঁও থানার এসআই ওয়াহিদুজ্জামান বাদী হয়ে চার হাজার অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়াসহ ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় ৩১ মার্চ উভয় গ্রুপ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করে। এমপি গ্রুপের মামলার বাদী হন ডা. এস এম শফিক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের মামলার বাদী হন ওয়াশিকুল আজাদ।
ওয়াশিকুল আজাদ তাঁর মামলায় অজ্ঞাতসহ মোট ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করেন। এ মামলায় ১৮ নম্বর আসামি হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল উদ্দিন আকন্দ। আবার ডা. শফিকের করা মামলায় মোট ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ১ নম্বর আসামি হলেন সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আমীর হোসেন। উভয় মামলাতেই আসামিরা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সারির গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মী।
গত ৩১ মার্চ পৌর শহরে যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার দাবিতে আহূত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাধে। এতে এমপি সমর্থিতরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা, আসবাবপত্র, মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১৬ নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় প্রথমে দুই পক্ষ থেকেই থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে এমপি সমর্থক শ্রমিক লীগ নেতা সোহানুর রহমান সোহাগ বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় ৭৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ব্যাপারে সোহাগ বলেন, এ মামলায় আসামিদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগেরই নেতা-কর্মী।
দত্তের বাজার ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হাফিজ উদ্দিন (৫৫) দুঃখ করে বলেন, 'এমপির রোষানলে পড়ে এ পর্যন্ত সাতটি মামলার আসামি হয়েছি।' তিনি অভিযোগ করেন, এলাকায় এমপির লোক এবং ডাকাত হিসেবে পরিচিত জনৈক পরিতোষ তাঁর বিরুদ্ধে জমি নিয়ে বিরোধ, হুমকি দেওয়াসহ ইত্যাদি অভিযোগে একাধিক মামলা করেছেন। অথচ এই পরিতোষের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনার অভিযোগে মামলা রয়েছে। হাফিজ উদ্দিন আরো বলেন, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর জনৈক কালীপদের দায়ের করা মামলায়ও তিনি এবং স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী আসামি হয়েছেন। এই কালীপদও এমপির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।
সর্বশেষ গত ১৮ মে উপজেলার কান্দিপাড়া বাজারে এমপির গাড়িতে হামলার ঘটনায় পরের দিন গফরগাঁও থানায় দ্রুত বিচার আইনে সাংবাদিকসহ যে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়, তাঁদেরও প্রায় সবাই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এমপির এপিএস খায়রুল ইসলাম কামাল এ মামলার বাদী। মামলার আসামি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান জানান, দলীয় বিরোধে আর এমপির রোষানলে পড়ে একের পর এক মামলায় তিনি চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
গফরগাঁও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মামলা-পাল্টামামলা, পুলিশ দিয়ে হয়রানি- ইত্যাদি ঘটনায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কে কখন কোন মামলায় জড়িয়ে পড়েন, এমন আতঙ্ক এখন দলের অনেক পরিচিত ত্যাগী নেতা-কর্মীর মধ্যেই কাজ করছে। এমন অবস্থা সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন সরকার জানান, এসব বিষয় তাঁরা কেন্দ্রে জানিয়েছেন। এখন কেন্দ্রই গফরগাঁওয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান যা বলেন- গফরগাঁওয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মামলা করা প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল বলেন, এমপির অপকর্মের বিরুদ্ধে আ. লীগ নেতা-কর্মীদের কেউ কোনো কথা বললেই এমপি তাঁর অনুগত লোকদের দিয়ে মামলা করিয়ে তাঁদের হয়রানি করান।
অন্যদিকে এমপি গিয়াস উদ্দিন বলেন, তিনি কারো বিরুদ্ধে কোনো হয়রানিমূলক মামলা করেননি বা কাউকে করতেও বলেননি। যে মামলাগুলো হয়েছে সেগুলোর অভিযোগ যে সঠিক, তা যে কেউ তদন্ত করলেই প্রমাণ মিলবে। তিনি আরো জানান, জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে তিনি এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরবেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরই স্থানীয় বিরোধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। একের পর এক সহিংস ঘটনাও ঘটতে থাকে। এসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের সঙ্গে দলীয় প্রতিপক্ষকেও মামলার আসামি করা একটি কৌশলে পরিণত হয় গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। গফরগাঁও থানায় দলীয় বিরোধে মোট কতগুলো মামলা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও অনেকের মতে মামলার সংখ্যা ২৫-৩০টির মতো। আবার জমি নিয়ে বিরোধ, ব্যক্তিগত রেষারেষিসহ বিভিন্ন ঘটনায় দায়ের করা মামলাতেও দলীয় প্রতিপক্ষকে জড়িয়ে দেওয়ার নজিরও একেবারে কম নেই। এসব মামলায় অন্তত সহস্রাধিক নেতা-কর্মী বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মামলাগুলো হচ্ছে মূলত এলাকার সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলের গ্রুপের মধ্যকার নিরন্তর দ্বন্দ্ব ও রেষারেষির সূত্র ধরে।
জানা গেছে, গত বছরের ২৯ জুলাই এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থিত দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশন চত্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে উভয় গ্রুপের প্রায় ৫৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় গফরগাঁও থানার এসআই ওয়াহিদুজ্জামান বাদী হয়ে চার হাজার অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়াসহ ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় ৩১ মার্চ উভয় গ্রুপ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করে। এমপি গ্রুপের মামলার বাদী হন ডা. এস এম শফিক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের মামলার বাদী হন ওয়াশিকুল আজাদ।
ওয়াশিকুল আজাদ তাঁর মামলায় অজ্ঞাতসহ মোট ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করেন। এ মামলায় ১৮ নম্বর আসামি হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল উদ্দিন আকন্দ। আবার ডা. শফিকের করা মামলায় মোট ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ১ নম্বর আসামি হলেন সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আমীর হোসেন। উভয় মামলাতেই আসামিরা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সারির গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মী।
গত ৩১ মার্চ পৌর শহরে যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার দাবিতে আহূত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাধে। এতে এমপি সমর্থিতরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা, আসবাবপত্র, মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১৬ নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় প্রথমে দুই পক্ষ থেকেই থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে এমপি সমর্থক শ্রমিক লীগ নেতা সোহানুর রহমান সোহাগ বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় ৭৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ব্যাপারে সোহাগ বলেন, এ মামলায় আসামিদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগেরই নেতা-কর্মী।
দত্তের বাজার ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হাফিজ উদ্দিন (৫৫) দুঃখ করে বলেন, 'এমপির রোষানলে পড়ে এ পর্যন্ত সাতটি মামলার আসামি হয়েছি।' তিনি অভিযোগ করেন, এলাকায় এমপির লোক এবং ডাকাত হিসেবে পরিচিত জনৈক পরিতোষ তাঁর বিরুদ্ধে জমি নিয়ে বিরোধ, হুমকি দেওয়াসহ ইত্যাদি অভিযোগে একাধিক মামলা করেছেন। অথচ এই পরিতোষের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনার অভিযোগে মামলা রয়েছে। হাফিজ উদ্দিন আরো বলেন, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর জনৈক কালীপদের দায়ের করা মামলায়ও তিনি এবং স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী আসামি হয়েছেন। এই কালীপদও এমপির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।
সর্বশেষ গত ১৮ মে উপজেলার কান্দিপাড়া বাজারে এমপির গাড়িতে হামলার ঘটনায় পরের দিন গফরগাঁও থানায় দ্রুত বিচার আইনে সাংবাদিকসহ যে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়, তাঁদেরও প্রায় সবাই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এমপির এপিএস খায়রুল ইসলাম কামাল এ মামলার বাদী। মামলার আসামি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান জানান, দলীয় বিরোধে আর এমপির রোষানলে পড়ে একের পর এক মামলায় তিনি চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
গফরগাঁও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মামলা-পাল্টামামলা, পুলিশ দিয়ে হয়রানি- ইত্যাদি ঘটনায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কে কখন কোন মামলায় জড়িয়ে পড়েন, এমন আতঙ্ক এখন দলের অনেক পরিচিত ত্যাগী নেতা-কর্মীর মধ্যেই কাজ করছে। এমন অবস্থা সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন সরকার জানান, এসব বিষয় তাঁরা কেন্দ্রে জানিয়েছেন। এখন কেন্দ্রই গফরগাঁওয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান যা বলেন- গফরগাঁওয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মামলা করা প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল বলেন, এমপির অপকর্মের বিরুদ্ধে আ. লীগ নেতা-কর্মীদের কেউ কোনো কথা বললেই এমপি তাঁর অনুগত লোকদের দিয়ে মামলা করিয়ে তাঁদের হয়রানি করান।
অন্যদিকে এমপি গিয়াস উদ্দিন বলেন, তিনি কারো বিরুদ্ধে কোনো হয়রানিমূলক মামলা করেননি বা কাউকে করতেও বলেননি। যে মামলাগুলো হয়েছে সেগুলোর অভিযোগ যে সঠিক, তা যে কেউ তদন্ত করলেই প্রমাণ মিলবে। তিনি আরো জানান, জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে তিনি এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরবেন।
No comments