সিসিসি নির্বাচন-নিরুপদ্রব নির্বাচনী প্রচারণা by মশিউল আলম
সকাল আটটায় চট্টগ্রাম মহানগরের জুবিলি রোড প্রায় নির্জন। সড়কের দুই পাশের দোকানপাট এক-দুটি করে খুলতে শুরু করেছে। যানবাহন খুব কম। একটু প্রাণচাঞ্চল্য এনায়েতবাজারের মোড়ে, ওখানে দুটি হোটেল-রেস্টুরেন্ট আছে। স্থানীয় সংবাদপত্র বিক্রির কোনো স্টল নজরে পড়ে না।
একজনকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল, কাগজ কিনতে হলে চেরাগি পাহাড়ের মোড়ে যেতে হবে। ৩১ মে সকালে চট্টগ্রামের এনায়েতবাজারের মোড়ে কয়েকজন দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের কাছে গেলাম। তাঁদের কেউ রিকশাভ্যান চালান, কেউ কোনো দোকানে কাজ করেন, কেউ নির্মাণশ্রমিক, কেউবা ফল বিক্রেতা। জীবিকার কাজে নেমে পড়ার আগে তাঁরা রাস্তার ধারে বসে চা-বিড়ি খেতে খেতে গল্প করছিলেন। তাঁদের গল্পের বিষয় আসন্ন নির্বাচন নয়, আকাশের কালো হয়ে আসা মেঘ। তাঁরা মেঘের দিকে চেয়ে বৃষ্টির আশঙ্কার কথা বলাবলি করছিলেন। তাঁদের কাছে গিয়ে বসলে তাঁরা অবাক হয়ে হাসিমুখে প্রশ্নবোধক চোখে তাকান। নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুললে তাঁদের চোখমুখের প্রশ্নবোধক ভাবটি মিলিয়ে যায়, কারও কারও ঠোঁটে ফুটে ওঠে হাসির আভাস। একজন জিজ্ঞেস করেন: সাংবাদিক?
পেশার কাজে বেরিয়ে মানুষের মনের কথাটি বের করে আনার বেলায় এই পরিচয় প্রকাশ করার সুফল সবসময় মেলে না—অভিজ্ঞতা এ রকমই। কিন্তু ধরা যখন পড়েই গেছি, তখন আর লুকানোর চেষ্টা করে কী লাভ। মাথা নেড়ে সায় দিয়ে বলি ঢাকা থেকে এসেছি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভাবসাব বুঝতে। তাঁদের একজন বলেন, নির্বাচনের দেরি আছে। এখনই ভাবসাব বোঝা যাবে না।
তা বটে, নির্বাচনের আরও ১৬ দিন বাকি। কিন্তু প্রার্থীদের মধ্যে, তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এবং তাঁদের মনোনয়ননদাতা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও যে বেশ তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে, তা তো সংবাদমাধ্যমে জানা যাচ্ছে। দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাগরিক কমিটির মহিউদ্দিন চৌধুরী আর চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের মঞ্জুর আলম ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন। কিন্তু মহানগরের সাধারণ পরিবেশে তার কোনো আলামত নেই। প্রার্থীরা যখন যে মহল্লায় যাচ্ছেন, সেখানকার মানুষই কেবল জানতে পারছেন নির্বাচনী প্রচার-তৎপরতা। কোনো শোরগোল নেই, আড়ম্বর নেই কোথাও।
আগের দিন বিকেলে চট্টগ্রাম পৌঁছার পর থেকে নগরের জুবিলি রোড, এনায়েতবাজার, চেরাগি পাহাড়ের মোড় এলাকায় পায়ে হেঁটে ঘুরেছি সন্ধ্যার অনেক পর পর্যন্ত। কিন্তু কোথাও কোনো মিছিলের শব্দ পাইনি। মাঝেমধ্যে দুয়েকটি রিকশায় অমুক ভাইয়ের জন্য অমুক ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদে ভোটের প্রার্থনা ছাড়া আসন্ন নির্বাচনের আর কোনো আলামত নেই। দেয়ালে পোস্টার বা দেয়াল লিখন নেই, কোথাও নেই কোনো ব্যানার-ফেস্টুন। অপেক্ষা চলছে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের। আগামীকাল পয়লা জুন প্রার্থীদের মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পেরোবার পর প্রতীক বরাদ্দ হবে। তার পর সত্যিকার অর্থে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা। কিন্তু তাই বলে এতটাই নীরব? যেন এ নির্বাচনে জনসাধারণের কোনো আগ্রহ নেই, যেন এতে তাঁদের কিছু আসে যায় না।
তাই বলি, ‘নির্বাচনের কোনো আওয়াজ নেই কেন?’
এই প্রশ্নের উত্তরে একজন বলেন, ‘বেশি আওয়াজ করা নিষেধ।’ আরেকজন বলেন, ‘এইবার মিছিল করা যাইব না। মিছিল করলে মারপিট হয়, অশান্তি চলে আসে।’
অন্যজন যোগ করেন, ‘মাইক দিয়ে ভোট চাওন যাইব। কিন্তু মিছিল নিষেধ।’
একজন বললেন, এখন তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়া দোয়া চাচ্ছেন; হাতে ধরে ভোট চাচ্ছেন।
আরেকজনের পরিহাসপূর্ণ মন্তব্য: ‘এখন হাতে ধরে ভোট চায়। ভোটের পরে টিস্যু পেপার দিয়া হাত মুইছা নিব।’
এই মন্তব্যে অন্য সবাই হেসে উঠলেন।
আগের বক্তা বলেন, ‘এইটাই নিয়ম। ভোটের পর তারা আমাদের কথা ভুলে যায়। খালি মেয়র বলে কথা না, এমপি বলেন, মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন—সবাই ভোটের আগে ভালো মানুষ। যেই ভোট শেষ, তারা আকাশে ওঠে যায়, তাদের আর নাগালই পাওয়া যায় না।’
জানতে চাই, নতুন যিনি মেয়র হবেন, তাঁর কাছে আপনারা কী চাইবেন? বা যাঁকে ভোট দিয়ে মেয়র বানাবেন তাঁর কাছে আপনাদের দাবি কী? কেন ভোট দেবেন?
গরিব, খেটে খাওয়া মানুষগুলো এবার হাসিমুখে পরস্পরের দিকে তাকান? প্রশ্নটা আসলেই খুব সাংবাদিকসুলভ হয়ে গেল। এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে সাধারণ মানুষ কিছু গৎবাঁধা কথা বলেন; ‘যেমন শান্তি চাই, দেশের ভালো হোক চাই ইত্যাদি। কিন্তু এই কজন মানুষের মধ্যে কেউই সে ধরনের কিছু বললেন না। তাঁরা পরস্পরের দিকে চেয়ে বলাবলি করলেন যা বলাবলি করলেন তা এই: আমাদের আবার চাওয়া! ভোট দিতে হয় তাই দেই। আমরা ভোট না দিলে কি ইলেকশান হবে না? কেউ মেয়র হবে না?’
এতটাই হতাশ হয়ে গেছেন এই মানুষগুলো? ভোট যে তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার, তা প্রয়োগ করা বা না করা যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এবং তাঁদের ভোটে যাঁরা নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা পাবেন, জনগণের করের টাকায় গড়া টাঁকশাল ব্যবহারের দায়িত্ব পাবেন, তাঁদের কাছে কিছুই চাওয়ার নেই এসব মানুষের? তাই কি হয়?
কেন? আপনারা মেয়রের কাছে কাজ চাইবেন না? থাকার জন্য ঘর চাইবেন না? খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানি চাইবেন না? চোর-ডাকাতের উপদ্রব ছাড়া রাতে যেন শান্তিতে নিজের ঘরে ঘুমাতে পারেন, সে রকম নিরাপত্তা চাইবেন না?
তাঁরা সায় দিয়ে মাথা দোলান। একজন বলেন, ‘চাই তো, চাই। কিন্তু আমাদের চাওয়ার কি কোনো দাম আছে? আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কথা কে শোনে!
একজন বেশ জোর দিয়ে বললেন, ‘আগে শান্তি চাই। এই যে মিছিল নাই, হাউকাউ নাই, এইটা শান্তি। এই রকম শান্তির মধ্যে ইলেকশান হলে খুব ভালো। খালি মেয়র ইলেকশান না, সব ইলেকশান এই রকম হওয়া উচিত।’
আগের দিন বিকেল থেকে এ পর্যন্ত যত মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁরা সবাই এ বিষয়টির কথা উল্লেখ করলেন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণা। মিছিল নেই, মারামারি নেই, গালাগাল নেই; এমনকি প্রার্থীরা তো বটেই, তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরাও হয়ে গেছেন নিরেট ভালো মানুষ। সবার মন জয়ের চেষ্টা চলছে ভালো ব্যবহার দিয়ে।
নির্বাচনী প্রচারণা হিসেবে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার এই বিষয়টি আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আরও একটি দৃষ্টান্ত হয়তো স্থাপিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বললেন, মিছিল, বড় সমাবেশ বা যে ধরনের কর্মসূচি জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় বা সংহিসতার সম্ভাবনা থাকে আগামীতে জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সেগুলো নিষিদ্ধ করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইন সংশোধনের সুপারিশ করবে নির্বাচন কমিশন।
চট্টগ্রাম, ৩১ মে
মশিউল আলম: সাংবাদিক।
পেশার কাজে বেরিয়ে মানুষের মনের কথাটি বের করে আনার বেলায় এই পরিচয় প্রকাশ করার সুফল সবসময় মেলে না—অভিজ্ঞতা এ রকমই। কিন্তু ধরা যখন পড়েই গেছি, তখন আর লুকানোর চেষ্টা করে কী লাভ। মাথা নেড়ে সায় দিয়ে বলি ঢাকা থেকে এসেছি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভাবসাব বুঝতে। তাঁদের একজন বলেন, নির্বাচনের দেরি আছে। এখনই ভাবসাব বোঝা যাবে না।
তা বটে, নির্বাচনের আরও ১৬ দিন বাকি। কিন্তু প্রার্থীদের মধ্যে, তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এবং তাঁদের মনোনয়ননদাতা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও যে বেশ তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে, তা তো সংবাদমাধ্যমে জানা যাচ্ছে। দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাগরিক কমিটির মহিউদ্দিন চৌধুরী আর চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের মঞ্জুর আলম ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন। কিন্তু মহানগরের সাধারণ পরিবেশে তার কোনো আলামত নেই। প্রার্থীরা যখন যে মহল্লায় যাচ্ছেন, সেখানকার মানুষই কেবল জানতে পারছেন নির্বাচনী প্রচার-তৎপরতা। কোনো শোরগোল নেই, আড়ম্বর নেই কোথাও।
আগের দিন বিকেলে চট্টগ্রাম পৌঁছার পর থেকে নগরের জুবিলি রোড, এনায়েতবাজার, চেরাগি পাহাড়ের মোড় এলাকায় পায়ে হেঁটে ঘুরেছি সন্ধ্যার অনেক পর পর্যন্ত। কিন্তু কোথাও কোনো মিছিলের শব্দ পাইনি। মাঝেমধ্যে দুয়েকটি রিকশায় অমুক ভাইয়ের জন্য অমুক ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদে ভোটের প্রার্থনা ছাড়া আসন্ন নির্বাচনের আর কোনো আলামত নেই। দেয়ালে পোস্টার বা দেয়াল লিখন নেই, কোথাও নেই কোনো ব্যানার-ফেস্টুন। অপেক্ষা চলছে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের। আগামীকাল পয়লা জুন প্রার্থীদের মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পেরোবার পর প্রতীক বরাদ্দ হবে। তার পর সত্যিকার অর্থে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা। কিন্তু তাই বলে এতটাই নীরব? যেন এ নির্বাচনে জনসাধারণের কোনো আগ্রহ নেই, যেন এতে তাঁদের কিছু আসে যায় না।
তাই বলি, ‘নির্বাচনের কোনো আওয়াজ নেই কেন?’
এই প্রশ্নের উত্তরে একজন বলেন, ‘বেশি আওয়াজ করা নিষেধ।’ আরেকজন বলেন, ‘এইবার মিছিল করা যাইব না। মিছিল করলে মারপিট হয়, অশান্তি চলে আসে।’
অন্যজন যোগ করেন, ‘মাইক দিয়ে ভোট চাওন যাইব। কিন্তু মিছিল নিষেধ।’
একজন বললেন, এখন তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়া দোয়া চাচ্ছেন; হাতে ধরে ভোট চাচ্ছেন।
আরেকজনের পরিহাসপূর্ণ মন্তব্য: ‘এখন হাতে ধরে ভোট চায়। ভোটের পরে টিস্যু পেপার দিয়া হাত মুইছা নিব।’
এই মন্তব্যে অন্য সবাই হেসে উঠলেন।
আগের বক্তা বলেন, ‘এইটাই নিয়ম। ভোটের পর তারা আমাদের কথা ভুলে যায়। খালি মেয়র বলে কথা না, এমপি বলেন, মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন—সবাই ভোটের আগে ভালো মানুষ। যেই ভোট শেষ, তারা আকাশে ওঠে যায়, তাদের আর নাগালই পাওয়া যায় না।’
জানতে চাই, নতুন যিনি মেয়র হবেন, তাঁর কাছে আপনারা কী চাইবেন? বা যাঁকে ভোট দিয়ে মেয়র বানাবেন তাঁর কাছে আপনাদের দাবি কী? কেন ভোট দেবেন?
গরিব, খেটে খাওয়া মানুষগুলো এবার হাসিমুখে পরস্পরের দিকে তাকান? প্রশ্নটা আসলেই খুব সাংবাদিকসুলভ হয়ে গেল। এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে সাধারণ মানুষ কিছু গৎবাঁধা কথা বলেন; ‘যেমন শান্তি চাই, দেশের ভালো হোক চাই ইত্যাদি। কিন্তু এই কজন মানুষের মধ্যে কেউই সে ধরনের কিছু বললেন না। তাঁরা পরস্পরের দিকে চেয়ে বলাবলি করলেন যা বলাবলি করলেন তা এই: আমাদের আবার চাওয়া! ভোট দিতে হয় তাই দেই। আমরা ভোট না দিলে কি ইলেকশান হবে না? কেউ মেয়র হবে না?’
এতটাই হতাশ হয়ে গেছেন এই মানুষগুলো? ভোট যে তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার, তা প্রয়োগ করা বা না করা যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এবং তাঁদের ভোটে যাঁরা নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা পাবেন, জনগণের করের টাকায় গড়া টাঁকশাল ব্যবহারের দায়িত্ব পাবেন, তাঁদের কাছে কিছুই চাওয়ার নেই এসব মানুষের? তাই কি হয়?
কেন? আপনারা মেয়রের কাছে কাজ চাইবেন না? থাকার জন্য ঘর চাইবেন না? খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানি চাইবেন না? চোর-ডাকাতের উপদ্রব ছাড়া রাতে যেন শান্তিতে নিজের ঘরে ঘুমাতে পারেন, সে রকম নিরাপত্তা চাইবেন না?
তাঁরা সায় দিয়ে মাথা দোলান। একজন বলেন, ‘চাই তো, চাই। কিন্তু আমাদের চাওয়ার কি কোনো দাম আছে? আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কথা কে শোনে!
একজন বেশ জোর দিয়ে বললেন, ‘আগে শান্তি চাই। এই যে মিছিল নাই, হাউকাউ নাই, এইটা শান্তি। এই রকম শান্তির মধ্যে ইলেকশান হলে খুব ভালো। খালি মেয়র ইলেকশান না, সব ইলেকশান এই রকম হওয়া উচিত।’
আগের দিন বিকেল থেকে এ পর্যন্ত যত মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁরা সবাই এ বিষয়টির কথা উল্লেখ করলেন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণা। মিছিল নেই, মারামারি নেই, গালাগাল নেই; এমনকি প্রার্থীরা তো বটেই, তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরাও হয়ে গেছেন নিরেট ভালো মানুষ। সবার মন জয়ের চেষ্টা চলছে ভালো ব্যবহার দিয়ে।
নির্বাচনী প্রচারণা হিসেবে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার এই বিষয়টি আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আরও একটি দৃষ্টান্ত হয়তো স্থাপিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বললেন, মিছিল, বড় সমাবেশ বা যে ধরনের কর্মসূচি জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় বা সংহিসতার সম্ভাবনা থাকে আগামীতে জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সেগুলো নিষিদ্ধ করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইন সংশোধনের সুপারিশ করবে নির্বাচন কমিশন।
চট্টগ্রাম, ৩১ মে
মশিউল আলম: সাংবাদিক।
No comments