নিরাপদে ফিরুন তাঁরা
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। ছিনতাই হওয়ার সময় জাহাজটিতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৫ কর্মকর্তা ও নাবিক। ভারত মহাসাগরে পণ্যবাহী জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল।
ছিনতাই করার পর ১১ ডিসেম্বর সোমালিয়ার উপকূলীয় গ্রাম গারাকাডের কাছাকাছি জাহাজটি নোঙর করে জলদস্যুরা। জাহাজটিতে অবস্থানরত কর্মকর্তা ও নাবিকদের পরিবার-পরিজন স্বাভাবিকভাবেই এতগুলো দিন কাটিয়েছে চরম উৎকণ্ঠায়। কারণ, এর আগে বাংলাদেশের কোনো জাহাজ কোথাও জলদস্যুকবলিত হয়নি। বাংলাদেশের জন্য এটা ছিল একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন সংকট। বাংলাদেশের জাহাজ সমুদ্রপথে বিভিন্ন জায়গায়ই চলছে। বাংলাদেশের নাবিকরা শুধু দেশের নয়, বিদেশের অনেক জাহাজেই সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। সোমবার জাহাজের মালিকপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা। এটি এখন ওমানের পথে রয়েছে। ওমানের সালালা বন্দরে যাবে। ১৭ মার্চ জাহাজটি সালালা বন্দরে পেঁৗছাবে। সেখানে নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন হলে নাবিকরা ২২ মার্চ দেশে ফিরে আসবেন বলে জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে।
কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, যেকোনো সময় মুক্তি পাবে জাহান মণি। এর আগে জাহান মণিতে অবস্থানরত নাবিকদের মুক্তি নিয়ে তাঁদের পরিবারের লোকজন জাহাজের মালিক পক্ষের সঙ্গে অনেক দেনদরবার করেছেন। জাহাজের মালিক পক্ষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, মুক্তিপণ দিয়েই জাহাজটি মুক্ত করা হচ্ছে। তবে কত টাকা মুক্তিপণ বা প্রক্রিয়াটি কিভাবে চালানো হচ্ছে, তা স্পষ্ট করেনি তারা। মালিক কর্তৃপক্ষ এটাও নিশ্চিত করেছে যে নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। মুক্তির পর নাবিকদের ফিরে আসতে আরো ১০-১২ দিন সময় লেগে যেতে পারে। কয়েক বছর ধরে ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের উৎপাত চলছে। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম সংগঠনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমালি জলদস্যুরা ২০১০ সালে বিভিন্ন দেশের মোট ৫৩টি জাহাজ ছিনতাই এবং এক হাজার ১৮১ জন নাবিককে জিম্মি করে। মুক্তিপণের দাবিতে এ সময় অন্তত আটজনকে হত্যা করে তারা। গত ডিসেম্বরে জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার মাসে দুই বাংলাদেশি নাবিক সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান। তাঁরা জার্মানির একটি জাহাজে কর্মরত ছিলেন। গত মে মাসে তাঁদের জাহাজটি ছিনতাই হয়। মুক্তির পর ওই দুই নাবিক এরই মধ্যে দেশেও ফিরেছেন। আরেকটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালে এই জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হওয়া প্রতিটি জাহাজ ছাড়িয়ে আনতে গড়ে ৯০ দিন সময় লাগে। কিন্তু ২০১০ সালে এই সময় বেড়ে ১৪৩ দিনে দাঁড়ায়। জাহান মণি মুক্তি পেল ১০০ দিন পর।
১০০ দিন পর হলেও জাহান মণি মুক্তি পেয়েছে_এটা অত্যন্ত সুখের খবর। জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহান মণি মুক্তি পেয়েছে মূলত কূটনৈতিক তৎপরতায়। মুক্তিপণ দিতে হয়েছে, কিন্তু জাহাজের মুক্তির ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতাও সফল হয়েছে। যাঁরা এই কূটনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদেরও ধন্যবাদ দিতে হবে। জাহান মণি মুক্তি পাওয়ায় জাহাজের নাবিকদের পাশাপাশি তাঁদের স্বজনরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। এখন ফিরে আসার অপেক্ষা। তাঁরা সবাই সুস্থ দেহে ও নিরাপদে দেশে ফিরে আসবেন_এটাই আমরা আশা করব।
কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, যেকোনো সময় মুক্তি পাবে জাহান মণি। এর আগে জাহান মণিতে অবস্থানরত নাবিকদের মুক্তি নিয়ে তাঁদের পরিবারের লোকজন জাহাজের মালিক পক্ষের সঙ্গে অনেক দেনদরবার করেছেন। জাহাজের মালিক পক্ষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, মুক্তিপণ দিয়েই জাহাজটি মুক্ত করা হচ্ছে। তবে কত টাকা মুক্তিপণ বা প্রক্রিয়াটি কিভাবে চালানো হচ্ছে, তা স্পষ্ট করেনি তারা। মালিক কর্তৃপক্ষ এটাও নিশ্চিত করেছে যে নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। মুক্তির পর নাবিকদের ফিরে আসতে আরো ১০-১২ দিন সময় লেগে যেতে পারে। কয়েক বছর ধরে ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের উৎপাত চলছে। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম সংগঠনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমালি জলদস্যুরা ২০১০ সালে বিভিন্ন দেশের মোট ৫৩টি জাহাজ ছিনতাই এবং এক হাজার ১৮১ জন নাবিককে জিম্মি করে। মুক্তিপণের দাবিতে এ সময় অন্তত আটজনকে হত্যা করে তারা। গত ডিসেম্বরে জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার মাসে দুই বাংলাদেশি নাবিক সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান। তাঁরা জার্মানির একটি জাহাজে কর্মরত ছিলেন। গত মে মাসে তাঁদের জাহাজটি ছিনতাই হয়। মুক্তির পর ওই দুই নাবিক এরই মধ্যে দেশেও ফিরেছেন। আরেকটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালে এই জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হওয়া প্রতিটি জাহাজ ছাড়িয়ে আনতে গড়ে ৯০ দিন সময় লাগে। কিন্তু ২০১০ সালে এই সময় বেড়ে ১৪৩ দিনে দাঁড়ায়। জাহান মণি মুক্তি পেল ১০০ দিন পর।
১০০ দিন পর হলেও জাহান মণি মুক্তি পেয়েছে_এটা অত্যন্ত সুখের খবর। জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহান মণি মুক্তি পেয়েছে মূলত কূটনৈতিক তৎপরতায়। মুক্তিপণ দিতে হয়েছে, কিন্তু জাহাজের মুক্তির ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতাও সফল হয়েছে। যাঁরা এই কূটনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদেরও ধন্যবাদ দিতে হবে। জাহান মণি মুক্তি পাওয়ায় জাহাজের নাবিকদের পাশাপাশি তাঁদের স্বজনরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। এখন ফিরে আসার অপেক্ষা। তাঁরা সবাই সুস্থ দেহে ও নিরাপদে দেশে ফিরে আসবেন_এটাই আমরা আশা করব।
No comments