আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অপরাধীমুক্ত করা জরুরি-ডাকাত-পুলিশ!
সংবাদটা এ রকমও হতে পারত: মধ্যরাতে একদল ডাকাত দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ডাকাতি করছিল। সে সময় গৃহস্থের ফোন পেয়ে স্থানীয় থানার ওসি দ্রুত সাদা পোশাকে টহলরত পুলিশের দলকে সেখানে পাঠালে ডাকাতদল ধরা পড়ে। এতে কৃতজ্ঞ গ্রামবাসী পুলিশ দলের নামে জয়ধ্বনি দেয়।
কিন্তু যা হওয়ার কথা তা হয়নি, বরং যা হওয়ার কথা নয়, তা-ই হয়েছে। দিনাজপুরের কাহারোলের তাঁতীপাড়া গ্রামে স্থানীয় থানার একদল পুলিশ সাদা পোশাকে ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আটক হয়। সেই আট পুলিশ গণপিটুনির শিকার হলে বিজিবি ও র্যাব এসে তাদের উদ্ধার করে।
ইতিমধ্যে ছয় পুলিশকে বরখাস্ত এবং অভিযুক্ত বীরগঞ্জ থানার সব সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এগুলো প্রশাসনিক শাস্তি, আদালতের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাই বলা যাবে না যে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ডাকাতি-ছিনতাই ইত্যাদিতে জড়িত হওয়া বিরল নয়। তবে সব ক্ষেত্রে তাঁরা ধরা পড়েন না। ঘটনার সাক্ষ্য-প্রমাণ ও অন্যান্য আলামত বলে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভেতরে ‘গভীর গভীরতর অসুখ’ দেখা দিয়েছে। এ অসুখ সারাতে হলে তাদের নৈতিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হওয়া এবং পেশাগত সততার বিকল্প নেই। আইনের প্রতি অটল নিষ্ঠা ও জনসেবার মানসিকতাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মূলমন্ত্র হওয়া উচিত। কিন্তু সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো তাদের মধ্যেও অপরাধ ও দুর্নীতি গেড়ে বসেছে। সেই সঙ্গে পেশাগত অসততা ও অদক্ষতার বিষয়টি তো আছেই। তারা আসল অপরাধীকে ধরতে পারে না, অথচ নকল নিয়ে টানাটানি করে।
বীরগঞ্জের ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর নীতিনির্ধারকদের চৈতন্যোদয় ঘটবে বলে আশা করি। এ ঘটনা প্রমাণ করে, সাধারণ মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সজাগ এবং অন্যায়-অপরাধ মুখ বুজে মেনে নেবে না। ডাকাতির দায়ে অভিযুক্ত সদস্যদের রক্ষায় গ্রামবাসীকে অযথা হয়রানি না করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আমরা বিশ্বাস করি, সব পুলিশই অপরাধপ্রবণ নয়। এ বাহিনীর বিলীয়মান ভাবমূর্তি উদ্ধারে দরকার শুদ্ধিকরণ অভিযান। ডাকাত-পুলিশকে শাস্তিদান এবং পুলিশ-র্যাবের অপরাধপ্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানই পারে সেই অভিযানকে এগিয়ে নিতে।
ইতিমধ্যে ছয় পুলিশকে বরখাস্ত এবং অভিযুক্ত বীরগঞ্জ থানার সব সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এগুলো প্রশাসনিক শাস্তি, আদালতের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাই বলা যাবে না যে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ডাকাতি-ছিনতাই ইত্যাদিতে জড়িত হওয়া বিরল নয়। তবে সব ক্ষেত্রে তাঁরা ধরা পড়েন না। ঘটনার সাক্ষ্য-প্রমাণ ও অন্যান্য আলামত বলে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভেতরে ‘গভীর গভীরতর অসুখ’ দেখা দিয়েছে। এ অসুখ সারাতে হলে তাদের নৈতিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হওয়া এবং পেশাগত সততার বিকল্প নেই। আইনের প্রতি অটল নিষ্ঠা ও জনসেবার মানসিকতাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মূলমন্ত্র হওয়া উচিত। কিন্তু সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো তাদের মধ্যেও অপরাধ ও দুর্নীতি গেড়ে বসেছে। সেই সঙ্গে পেশাগত অসততা ও অদক্ষতার বিষয়টি তো আছেই। তারা আসল অপরাধীকে ধরতে পারে না, অথচ নকল নিয়ে টানাটানি করে।
বীরগঞ্জের ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর নীতিনির্ধারকদের চৈতন্যোদয় ঘটবে বলে আশা করি। এ ঘটনা প্রমাণ করে, সাধারণ মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সজাগ এবং অন্যায়-অপরাধ মুখ বুজে মেনে নেবে না। ডাকাতির দায়ে অভিযুক্ত সদস্যদের রক্ষায় গ্রামবাসীকে অযথা হয়রানি না করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আমরা বিশ্বাস করি, সব পুলিশই অপরাধপ্রবণ নয়। এ বাহিনীর বিলীয়মান ভাবমূর্তি উদ্ধারে দরকার শুদ্ধিকরণ অভিযান। ডাকাত-পুলিশকে শাস্তিদান এবং পুলিশ-র্যাবের অপরাধপ্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানই পারে সেই অভিযানকে এগিয়ে নিতে।
No comments