অন্যায়ের পক্ষে কর্তৃপক্ষের সাফাই গ্রহণযোগ্য নয়-অভিনব স্বাস্থ্য পরীক্ষা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৪ জন শিক্ষকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যে দায়িত্বহীনতার নজির দেখিয়েছেন, তার তুলনা মেলা ভার। চাকরিতে নিয়োগের আগে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিধান প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই আছে। এর মাধ্যমে শারীরিকভাবে তিনি চাকরি করতে সামর্থ্যবান কি না, সেটিই যাচাই করা
হয়। সেদিক থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৪ জন শিক্ষকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি ব্যতিক্রম নয়, ব্যতিক্রমী হলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তিনি কোনো পরীক্ষা ছাড়াই সবার হাতে একটি করে সনদপত্র ধরিয়ে দিয়েছেন, যাতে লেখা ছিল ‘সাধারণ শারীরিক পরীক্ষায় তাহার কোনো রোগ বা বৈকল্য ধরা পড়ে নাই’।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য যে কৈফিয়ত দিয়েছেন, তা-ও যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ-সুবিধা আমাদের নেই। তাই দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলে আসছে।’ সুযোগ-সুবিধা নেই বলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে প্রহসন চলতে পারে না। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সরঞ্জাম না থাকা যেমন অস্বাভাবিক, স্বাস্থ্য পরীক্ষার ন্যূনতম সরঞ্জাম না থাকলে সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র রাখারই বা কী যুক্তি? তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সরঞ্জাম না থাকলে বাইরে পরীক্ষা করানোয় তো বাধা নেই।
চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান বলেছেন, সেখানে শারীরিক পরীক্ষার সরঞ্জাম নেই। তাঁরা দেখলেই বুঝতে পারেন কার কী সমস্যা। চিকিৎসাশাস্ত্র সম্পর্কে এ রকম আজগুবি কথা কখনো শোনা যায়নি। খালি চোখেই যদি রোগীর রোগ নির্ণয় করা যায়, তাহলে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এত চিকিৎসা-সরঞ্জাম কেনা কেন? স্বাস্থ্য সনদ নিয়ে নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির কথা আমরা জানি। অফিসে অনুপস্থিতির জন্য হরহামেশা ভুয়া স্বাস্থ্য সনদ নেওয়ার ঘটনাও আমাদের অজানা নয়। এবার পরীক্ষা না করে স্বাস্থ্য সনদ দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষকেরা স্বাস্থ্য সনদ নিয়েছেন, তাঁদের কোনো দোষ নেই। চাকরির শর্ত হিসেবে তাঁরা এটি নিয়েছেন। কিন্তু প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া সনদ দিয়ে দিয়ে তাঁর পেশাগত ও নৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করেছেন। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অসত্য সনদপত্র বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নতুন করে স্বাস্থ্য সনদ নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য যে কৈফিয়ত দিয়েছেন, তা-ও যুক্তিযুক্ত নয়। তিনি বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ-সুবিধা আমাদের নেই। তাই দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলে আসছে।’ সুযোগ-সুবিধা নেই বলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে প্রহসন চলতে পারে না। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সরঞ্জাম না থাকা যেমন অস্বাভাবিক, স্বাস্থ্য পরীক্ষার ন্যূনতম সরঞ্জাম না থাকলে সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র রাখারই বা কী যুক্তি? তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সরঞ্জাম না থাকলে বাইরে পরীক্ষা করানোয় তো বাধা নেই।
চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান বলেছেন, সেখানে শারীরিক পরীক্ষার সরঞ্জাম নেই। তাঁরা দেখলেই বুঝতে পারেন কার কী সমস্যা। চিকিৎসাশাস্ত্র সম্পর্কে এ রকম আজগুবি কথা কখনো শোনা যায়নি। খালি চোখেই যদি রোগীর রোগ নির্ণয় করা যায়, তাহলে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এত চিকিৎসা-সরঞ্জাম কেনা কেন? স্বাস্থ্য সনদ নিয়ে নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির কথা আমরা জানি। অফিসে অনুপস্থিতির জন্য হরহামেশা ভুয়া স্বাস্থ্য সনদ নেওয়ার ঘটনাও আমাদের অজানা নয়। এবার পরীক্ষা না করে স্বাস্থ্য সনদ দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষকেরা স্বাস্থ্য সনদ নিয়েছেন, তাঁদের কোনো দোষ নেই। চাকরির শর্ত হিসেবে তাঁরা এটি নিয়েছেন। কিন্তু প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া সনদ দিয়ে দিয়ে তাঁর পেশাগত ও নৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করেছেন। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অসত্য সনদপত্র বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নতুন করে স্বাস্থ্য সনদ নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
No comments