আরেকটি নির্ঘুম রাতের প্রতীক্ষা... by প্রণব বল
রাতের নীরবতা ভেঙে তারা নেমে এল রাজপথে। অলিগলিতে। অবগুণ্ঠিত নারীরা দাঁড়ালেন বেলকনিতে। কারও হাতে ফুল, কারও হাতে আতশবাজি আবার কারও হাতে লাল-সবুজ পতাকা। খণ্ড খণ্ড এসব মিছিলের এক সুর—‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’। একটু আগে এই নামটি ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছে। তাই তো উল্লাসে উড়ছে এই বিহ্বল উল্লাসিক রাত।
প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ ফাইনালের টিকিট। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর টুর্নামেন্ট যদি ধরা হয় তাহলে এটিই বাংলাদেশের প্রথম ফাইনালে ওঠার কীর্তি। চাট্টিখানি কথা নয়। আর একটি মাত্র ধাপ। আজ সেই ধাপটি পেরোলেই স্বাধীনতার মাসে আরেকবার আন্দোলিত হবে জাতি। কাকতালীয়ভাবে শেষ ধাপের বাধাও সেই পাকিস্তান।
ক্রিকেট যুদ্ধ নয়। ক্রিকেট মানে সম্প্রীতি। পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা প্রশমনে বড় নিয়ামক হয়ে কাজ করেছিল এই ক্রিকেট কূটনীতি। কিন্তু বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের এই মাসটিতে আবেগপ্রবণ এই জাতি যে জয় ছাড়া কিছুই বুঝতে চায় না। না হলে কেন সেদিন গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে না পারার ব্যথা এখনো পোড়াচ্ছে মাশরাফি ও আবদুর রাজ্জাককে? তাঁদের মতো কোটি প্রাণেও সেই আক্ষেপ দানা বেঁধেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনালের টিকিট পাওয়ায় এসব ভুলেছেন তাঁরা। এখন আবার সেই প্রতিপক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে প্রিয় স্বদেশ। আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ কি ধরা দেবে? জাতি কি আরেকবার উল্লাসে নেচে উঠবে? আরেকটি নির্ঘুম রাত কাটাতে প্রস্তুত নগরবাসী।
সময় সব প্রশ্নের জবাব দেবে। তবে আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য হাজার প্রস্তুতি যে বাঙালি নিয়ে রেখেছে, সেটা চোখ বন্ধ করে বলা যায়। ভারতের পর শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে যত না তারা উদ্বেলিত ছিল, সে উচ্ছ্বাসটা তার চেয়েও বেশি হবে যদি তিনটি টেস্ট খেলুড়ে দেশকে একই টুর্নামেন্টে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে টাইগাররা।
ফাইনালের টিকিট প্রাপ্তির পর সেদিন জিইসি মোড়, কাজীর দেউড়ি, নিউমার্কেট, আগ্রাবাদ, হালিশহর, এ কে খান গেট—সর্বত্র ছিল উল্লাস। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই উল্লাস। কেউ গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, কেউ বা ভুভুজেলা হাতে, কেউ বা রাজপথে নেমে এসেছিল খালি হাতে। আবেগে উদ্বেলিত কেউ কেউ রাস্তার এই মিছিলের সঙ্গে নিজের অস্তিত্বকেও মিশিয়ে ফেলেছে নির্দ্বিধায়।
কাজীর দেউড়ি মোড়ে তামিম ইকবালের বাসার কাছে একটা ছোটখাটো ভিড় জমে গিয়েছিল সেই রাতে। ম্যাচসেরা যে-ই হোক, বলতে গেলে এই তামিম ইকবালের কীর্তির সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এশিয়া কাপের দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, পেয়েছে ফাইনালের টিকিট। ভারতের বিপক্ষে তাঁর ৭০ আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৯ রানই ছিল জয়ের মূল ভিত্তি। দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়ার বাকি কাজটি সেরেছেন অন্যরা।
তামিমের এসব ইনিংস প্রধান নির্বাচক আকরাম খানের সাময়িক পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে যেন আরও যৌক্তিক বলে প্রমাণ করল। যদিও তামিমকে দলে না নেওয়ার ক্ষোভ থেকে নয়, মূলত নির্বাচকদের কাজে বারবার নাক গলানোর প্রতিবাদে সরে দাঁড়িয়েছিলেন চট্টগ্রামের এই কৃতী সন্তান। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আকরাম তাঁর সিদ্ধান্ত বদলালেন, তামিমও দলে ঢুকলেন। আর দলে স্থান পেয়েই তামিম নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করলেন।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষেও তামিম ছিলেন উজ্জ্বল। সেদিনও তামিম সর্বোচ্চ ৬৪ রান করে একটি ভালো জয়ের ভিত্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষদিকে মাশরাফিরা পারেননি। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার অঙ্গীকার টাইগারদের চোখমুখে। তাহলে কি আজ হবে? ‘জয় বাংলা বাংলার জয়, হবে হবে জয়...।’
ক্রিকেট যুদ্ধ নয়। ক্রিকেট মানে সম্প্রীতি। পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা প্রশমনে বড় নিয়ামক হয়ে কাজ করেছিল এই ক্রিকেট কূটনীতি। কিন্তু বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের এই মাসটিতে আবেগপ্রবণ এই জাতি যে জয় ছাড়া কিছুই বুঝতে চায় না। না হলে কেন সেদিন গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে না পারার ব্যথা এখনো পোড়াচ্ছে মাশরাফি ও আবদুর রাজ্জাককে? তাঁদের মতো কোটি প্রাণেও সেই আক্ষেপ দানা বেঁধেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনালের টিকিট পাওয়ায় এসব ভুলেছেন তাঁরা। এখন আবার সেই প্রতিপক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে প্রিয় স্বদেশ। আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ কি ধরা দেবে? জাতি কি আরেকবার উল্লাসে নেচে উঠবে? আরেকটি নির্ঘুম রাত কাটাতে প্রস্তুত নগরবাসী।
সময় সব প্রশ্নের জবাব দেবে। তবে আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য হাজার প্রস্তুতি যে বাঙালি নিয়ে রেখেছে, সেটা চোখ বন্ধ করে বলা যায়। ভারতের পর শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে যত না তারা উদ্বেলিত ছিল, সে উচ্ছ্বাসটা তার চেয়েও বেশি হবে যদি তিনটি টেস্ট খেলুড়ে দেশকে একই টুর্নামেন্টে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে টাইগাররা।
ফাইনালের টিকিট প্রাপ্তির পর সেদিন জিইসি মোড়, কাজীর দেউড়ি, নিউমার্কেট, আগ্রাবাদ, হালিশহর, এ কে খান গেট—সর্বত্র ছিল উল্লাস। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই উল্লাস। কেউ গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, কেউ বা ভুভুজেলা হাতে, কেউ বা রাজপথে নেমে এসেছিল খালি হাতে। আবেগে উদ্বেলিত কেউ কেউ রাস্তার এই মিছিলের সঙ্গে নিজের অস্তিত্বকেও মিশিয়ে ফেলেছে নির্দ্বিধায়।
কাজীর দেউড়ি মোড়ে তামিম ইকবালের বাসার কাছে একটা ছোটখাটো ভিড় জমে গিয়েছিল সেই রাতে। ম্যাচসেরা যে-ই হোক, বলতে গেলে এই তামিম ইকবালের কীর্তির সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এশিয়া কাপের দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, পেয়েছে ফাইনালের টিকিট। ভারতের বিপক্ষে তাঁর ৭০ আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৯ রানই ছিল জয়ের মূল ভিত্তি। দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়ার বাকি কাজটি সেরেছেন অন্যরা।
তামিমের এসব ইনিংস প্রধান নির্বাচক আকরাম খানের সাময়িক পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে যেন আরও যৌক্তিক বলে প্রমাণ করল। যদিও তামিমকে দলে না নেওয়ার ক্ষোভ থেকে নয়, মূলত নির্বাচকদের কাজে বারবার নাক গলানোর প্রতিবাদে সরে দাঁড়িয়েছিলেন চট্টগ্রামের এই কৃতী সন্তান। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আকরাম তাঁর সিদ্ধান্ত বদলালেন, তামিমও দলে ঢুকলেন। আর দলে স্থান পেয়েই তামিম নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করলেন।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষেও তামিম ছিলেন উজ্জ্বল। সেদিনও তামিম সর্বোচ্চ ৬৪ রান করে একটি ভালো জয়ের ভিত্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষদিকে মাশরাফিরা পারেননি। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার অঙ্গীকার টাইগারদের চোখমুখে। তাহলে কি আজ হবে? ‘জয় বাংলা বাংলার জয়, হবে হবে জয়...।’
No comments