দ্রুত বিচার-প্রক্রিয়া শেষ হোক-মানবতাবিরোধী অপরাধ
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-প্রক্রিয়া সম্পর্কে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিফেন জে র্যাপ বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক, তদন্ত সংস্থা, আইনজীবী প্যানেলের সদস্যরা যেভাবে কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন, তা বেশ প্রশংসনীয়।’ তিন দিনের সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর এ মন্তব্য দেশবাসীকে আশান্বিত করেছে।
তিনি আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। প্রথমত, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষ ও বিপক্ষের সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ন্যায়বিচারের স্বার্থেই এটা করা দরকার। যেকোনো সাক্ষী উপযুক্ত নিরাপত্তার আবেদন করতে পারেন। আদালত সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন। সুতরাং, সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ নেই। বিশেষত, ১৯৭২-৭৫ কালপর্বে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার চলেছিল, সে সময় কোনো সাক্ষীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার উল্লেখযোগ্য উদাহরণও নেই। আজ ৪০ বছর পর এ প্রশ্নে নতুনভাবে উদ্বেগ সৃষ্টির কারণ নেই।
দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর কিছু বিধি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা। র্যাপ মনে করেন, এ সংশোধন ট্রাইব্যুনালের বিচারকেরাই করতে পারেন, এ জন্য আইনটি পার্লামেন্টে সংশোধনের প্রয়োজন নেই। প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৩ সালের ট্রাইব্যুনাল আইনেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত করার কথা রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সক্ষম। স্টিফেন র্যাপ মনে করেন, যে আইনের আওতায় বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে কিছু সংশোধনী আনার মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ অন্য দেশের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। বাংলাদেশ বারবার বলে আসছে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই শর্তগুলো পূরণে কোনো ত্রুটি থাকবে না। আন্তর্জাতিক পরিসরে একটি দৃষ্টান্তস্থানীয় বিচার সম্পন্ন করার আন্তরিক প্রচেষ্টা নিশ্চয়ই সফল হবে।
প্রথম আলোর কার্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে র্যাপের মতবিনিময় সভায় আলোচকেরা আন্তর্জাতিক সমর্থনের কথা বলেছেন। কিন্তু সহায়তা যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের নামান্তর না হয়ে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিনিধিরা এ বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে সাদরে আমন্ত্রিত। তাঁরা আসবেন, দেখবেন, কোনো মতামত বা সুপারিশ থাকলে তা প্রকাশ করবেন। বাংলাদেশ নিশ্চয়ই সেসব আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শগুলো গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে র্যাপের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে আমি সন্তুষ্ট। আমরা আশাবাদী, বাংলাদেশ এই বিচার করে সারা বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে।’
মতবিনিময় সভায় সমাপনী বক্তব্যে র্যাপ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। এই মন্তব্য অত্যন্ত মূল্যবান। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই উপলব্ধি সর্বাগ্রে থাকা দরকার। অপরাধ যে হয়েছে তাতে যখন আন্তর্জাতিক মহলের সন্দেহ নেই, তাহলে সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করা ও আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি দেওয়া নিশ্চয়ই সম্ভব। যত দ্রুত এ কাজটি করা যাবে, ততই মঙ্গল। ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধের যথাযথ বিচার ও প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি সবারই কাম্য।
দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর কিছু বিধি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা। র্যাপ মনে করেন, এ সংশোধন ট্রাইব্যুনালের বিচারকেরাই করতে পারেন, এ জন্য আইনটি পার্লামেন্টে সংশোধনের প্রয়োজন নেই। প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৩ সালের ট্রাইব্যুনাল আইনেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত করার কথা রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সক্ষম। স্টিফেন র্যাপ মনে করেন, যে আইনের আওতায় বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে কিছু সংশোধনী আনার মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ অন্য দেশের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। বাংলাদেশ বারবার বলে আসছে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই শর্তগুলো পূরণে কোনো ত্রুটি থাকবে না। আন্তর্জাতিক পরিসরে একটি দৃষ্টান্তস্থানীয় বিচার সম্পন্ন করার আন্তরিক প্রচেষ্টা নিশ্চয়ই সফল হবে।
প্রথম আলোর কার্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে র্যাপের মতবিনিময় সভায় আলোচকেরা আন্তর্জাতিক সমর্থনের কথা বলেছেন। কিন্তু সহায়তা যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের নামান্তর না হয়ে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিনিধিরা এ বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে সাদরে আমন্ত্রিত। তাঁরা আসবেন, দেখবেন, কোনো মতামত বা সুপারিশ থাকলে তা প্রকাশ করবেন। বাংলাদেশ নিশ্চয়ই সেসব আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শগুলো গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে র্যাপের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে আমি সন্তুষ্ট। আমরা আশাবাদী, বাংলাদেশ এই বিচার করে সারা বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে।’
মতবিনিময় সভায় সমাপনী বক্তব্যে র্যাপ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। এই মন্তব্য অত্যন্ত মূল্যবান। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই উপলব্ধি সর্বাগ্রে থাকা দরকার। অপরাধ যে হয়েছে তাতে যখন আন্তর্জাতিক মহলের সন্দেহ নেই, তাহলে সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করা ও আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি দেওয়া নিশ্চয়ই সম্ভব। যত দ্রুত এ কাজটি করা যাবে, ততই মঙ্গল। ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধের যথাযথ বিচার ও প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি সবারই কাম্য।
No comments