টিআইবির সুপারিশগুলো বিবেচনায় নিন-কার্যকর সংসদের প্রত্যাশা
একানব্বইয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রের পথে আমাদের যে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছিল, তার প্রায় ২০ বছর পার হলো। সময় পার করা মানে এগিয়ে যাওয়া; কিন্তু আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্র কতটুকু এগোল? সংসদ নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন হতাশাজনক।
পঞ্চম সংসদে যেখানে বিরোধী দলের সংসদ বর্জনের হার ছিল ৩৩ শতাংশ, তা পরবর্তী সংসদগুলোতে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। অষ্টম সংসদে বিরোধী দলের সংসদ বর্জন গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৫৯ শতাংশে। এবারের নবম সংসদে এ পর্যন্ত সংসদ বর্জনের হার ৭৪ শতাংশ। বিরোধী দলের অব্যাহত সংসদ বর্জন কি সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি তাদের অনাস্থার প্রকাশ নয়?
বিরোধী দলে থাকা মানেই সংসদে না যাওয়া—এটাই এখন বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদই সবকিছুর কেন্দ্র। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, বিরোধিতা—এসব কিছুর মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনার প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সংসদেই হবে, এটাই রীতি। সরকারি বা বিরোধী দল—যে দলের সংসদ সদস্যই হোক না কেন, তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের কথা সংসদে তুলে ধরার জন্যই নির্বাচিত হন। নির্বাচনে জয়লাভ করে সংসদে না যাওয়ার অর্থ হচ্ছে, ওই নির্দিষ্ট এলাকার জনগণকে বঞ্চিত করা। নির্বাচনে যাঁরাই বিরোধী দলের আসনে গিয়ে বসেন, তাঁরাই জনগণের প্রতি তাঁদের এই দায়বদ্ধতার কথা উপেক্ষা করে চলেন। অথচ সংসদ সদস্য হিসেবে যেসব বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা ও দায়মুক্তি তাঁদের রয়েছে, তা তাঁরা পুরো সংসদের মেয়াদ পর্যন্ত ভোগ করেন। দায়িত্ব পালন না করে এই সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ অনৈতিক।
বর্তমান বিধান অনুযায়ী টানা ৯০ দিন সংসদে অনুপস্থিত থাকলে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। আমরা দেখে আসছি, বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা টানা সংসদ বর্জন করে সদস্যপদ বাতিল হওয়ার আগে সংসদে যোগ দিয়ে সদস্যপদ রক্ষা করেন। আর সরকারি দলেরও অনেক সদস্য অধিবেশনে যোগ দিতে অনাগ্রহী। বর্তমান সংসদেও প্রতিদিন কোরামের সংকটের কারণে অধিবেশন শুরু হতে দেরি হচ্ছে গড়ে ৩৩ মিনিট। টিআইবির পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী বর্তমান সংসদের দ্বিতীয় থেকে সপ্তম অধিবেশন পর্যন্ত কোরাম সংকটের কারণে ব্যয় হয়েছে ৭৪ ঘণ্টার বেশি সময়, যার আর্থিক ক্ষতি ১৮ কোটি টাকারও বেশি।
এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সংসদ কার্যকর করার জন্য টিআইবির পক্ষ থেকে ১৬ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে সদস্যপদ বাতিলের বিধান কমিয়ে ৩০ দিন করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধনীর সুপারিশ করা হয়েছে। সংসদকে কার্যকর করতে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের বিকল্প নেই। টিআইবি যে ১৬ দফা সুপারিশ করেছে, তা সংসদ কার্যকর করতে সহায়তা করবে বলেই আমরা মনে করি। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব, বিশেষ করে, সাংসদদেরই এই সুপারিশগুলোর যৌক্তিকতা উপলব্ধি করতে হবে সবার আগে।
বিরোধী দলে থাকা মানেই সংসদে না যাওয়া—এটাই এখন বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদই সবকিছুর কেন্দ্র। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, বিরোধিতা—এসব কিছুর মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনার প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সংসদেই হবে, এটাই রীতি। সরকারি বা বিরোধী দল—যে দলের সংসদ সদস্যই হোক না কেন, তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের কথা সংসদে তুলে ধরার জন্যই নির্বাচিত হন। নির্বাচনে জয়লাভ করে সংসদে না যাওয়ার অর্থ হচ্ছে, ওই নির্দিষ্ট এলাকার জনগণকে বঞ্চিত করা। নির্বাচনে যাঁরাই বিরোধী দলের আসনে গিয়ে বসেন, তাঁরাই জনগণের প্রতি তাঁদের এই দায়বদ্ধতার কথা উপেক্ষা করে চলেন। অথচ সংসদ সদস্য হিসেবে যেসব বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা ও দায়মুক্তি তাঁদের রয়েছে, তা তাঁরা পুরো সংসদের মেয়াদ পর্যন্ত ভোগ করেন। দায়িত্ব পালন না করে এই সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ অনৈতিক।
বর্তমান বিধান অনুযায়ী টানা ৯০ দিন সংসদে অনুপস্থিত থাকলে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। আমরা দেখে আসছি, বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা টানা সংসদ বর্জন করে সদস্যপদ বাতিল হওয়ার আগে সংসদে যোগ দিয়ে সদস্যপদ রক্ষা করেন। আর সরকারি দলেরও অনেক সদস্য অধিবেশনে যোগ দিতে অনাগ্রহী। বর্তমান সংসদেও প্রতিদিন কোরামের সংকটের কারণে অধিবেশন শুরু হতে দেরি হচ্ছে গড়ে ৩৩ মিনিট। টিআইবির পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী বর্তমান সংসদের দ্বিতীয় থেকে সপ্তম অধিবেশন পর্যন্ত কোরাম সংকটের কারণে ব্যয় হয়েছে ৭৪ ঘণ্টার বেশি সময়, যার আর্থিক ক্ষতি ১৮ কোটি টাকারও বেশি।
এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সংসদ কার্যকর করার জন্য টিআইবির পক্ষ থেকে ১৬ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে সদস্যপদ বাতিলের বিধান কমিয়ে ৩০ দিন করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধনীর সুপারিশ করা হয়েছে। সংসদকে কার্যকর করতে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের বিকল্প নেই। টিআইবি যে ১৬ দফা সুপারিশ করেছে, তা সংসদ কার্যকর করতে সহায়তা করবে বলেই আমরা মনে করি। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব, বিশেষ করে, সাংসদদেরই এই সুপারিশগুলোর যৌক্তিকতা উপলব্ধি করতে হবে সবার আগে।
No comments