রণবীর-দীপিকা-বন্ধু-শত্রুর গোলকধাঁধায়...
জনম জনমের বন্ধু কিংবা চিরশত্রু— দুটি শব্দের সঙ্গেই বলিউডবাসীর খুব একটা পরিচয় নেই। আজকের বন্ধু আগামীকালের শত্রু হতে পারে। আবার এর উল্টোটাও ঘটছে অহরহ। রণবীর কাপুর-দীপিকা পাড়ুকোনকেই দেখুন না! অভিনয়জীবনের প্রথম বছরেই একে অপরের প্রেমের নৌকায় তরী ভেড়ালেন! অথচ বছর ঘুরতে না ঘুরতেই জনসমক্ষে
বিচ্ছেদ! গত বছরই তো, করণ জোহরের শোতে দীপিকা পাড়ুকোন-সোনম কাপুর মিলে রণবীর কাপুরের মুণ্ডুপাত করলেন। রণবীরের মতো অনাকর্ষণীয় নায়ক নাকি বলিউডে দ্বিতীয়টি নেই! সুযোগ পেলে দীপিকা জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী রণবীরকে উপহার দেবেন! আরও কত কী! সাবেক প্রেমিকার মন্তব্যে রণবীর ঠান্ডা থাকলেও তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন রণবীরের বাবা ঋষি কাপুর। কাপুর খানদানের সুপুত্রকে নিয়ে কথা! সহ্য করতে পারেননি ঋষি। ঘোষণা দেন, দীপিকা-সোনমকে দেখে নেবেন তিনি! উপস্থাপক করণ জোহরের কোনো ছবিতেও কাজ করবেন না, জানিয়ে দেন ঋষি কাপুর।
বছর ঘুরতে হয়নি। গরম মেজাজ ঠান্ডা হয়েছে। ঋষি কাজ করেছেন করণ জোহরের অগ্নিপথ ছবিতে। আর রণবীর-দীপিকা? গত সপ্তাহে আবারও মোমের আলোয় নৈশভোজ সেরেছেন। একসঙ্গে হাতে হাত ধরে বিদ্যা বালানের কাহানি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে ঢুঁ মেরেছেন। শুধু তা-ই নয়, আগামী সপ্তাহেই দীপিকা রণবীরের বাহুলগ্না হচ্ছেন করণ জোহরের ছবিতে। ওয়েক আপ সিড পরিচালক অয়ন মুখার্জি পরিচালিত এ ছবির নাম ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি। রণবীর-দীপিকার বন্ধুকুল জানিয়েছেন, ওঁদের বরফ শুধু গলেইনি; পানি হয়ে একাকার। সেই পানি এখন পুনরায় ভালোবাসার সাগর রচনা করেছে বলিউড-সাম্রাজ্যে। সর্বশেষ খবর—দীপিকার জীবন থেকে বিদায় হয়েছেন প্রেমিক সিদ্ধার্থ মাল্য। দুই বছর সিদ্ধার্থ-দীপিকা ‘জনম জনমের সাথী’ দাবি করে সবখানে হাজির হয়েছেন। আর রণবীর ক্যাটরিনা-নার্গিস-আনুশকাসহ অনেক পাখির খোঁজে উড়ে গিয়েছেন ডালে-আবডালে। অতঃপর যোগ-বিয়োগের অঙ্ক পেরিয়ে রণবীর-দীপিকা দুজনেই আবার একা হয়ে পড়েন। ফলাফল—দুজনার পুনর্মিলন!
দীপিকা অবশ্য জানান, ‘রণবীরের সঙ্গে কখনোই আমার ঠান্ডা যুদ্ধ ছিল না। আমরা বরাবরই বন্ধু ছিলাম। সবসময়ই দুজন দুজনার খবর রেখেছি। রাজনীতি, রকস্টার দেখার পর রণবীরকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। ওর বাড়িতে ফুল, কার্ড পাঠিয়েছি। রণবীরও খেলে হাম জি জান সে দেখে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। আমরা একই সঙ্গে এ বছর স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছি। আমি জনপ্রিয় শাখায়, রণবীর জুরিদের বিচারে। আমার জন্য রণবীর পার্টিরও আয়োজন করেছিল।’
দীপিকার এই বেফাঁস স্বীকারোক্তি খুব একটা পছন্দ করেননি রণবীর। রকস্টার-এর কল্যাণে তাঁর ঝুলিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাদে সব পুরস্কারই গেছে। রণবীর বিলক্ষণ জানেন, তাঁকে এখন থেকে সাবধানে চলতে হবে। তাই দীপিকাকে নিয়েও তাঁর প্রতিক্রিয়া—‘নো কমেন্টস!’ যদিও করণ জোহরের ইউনিট থেকে জানা যায়, রণবীরের ইচ্ছাতেই তাঁর ছেলেবেলার বন্ধু অয়ন দীপিকাকে এ ছবির নায়িকা করেছেন। দীপিকা বলেছেন, ‘অপেক্ষা করুন। অনেক চমক থাকছে এই ছবিতে।’ দীপিকার ক্যারিয়ারে সাফল্যের নৌকাটি মাঝনদীতেই থমকে গেছে। তাই অনেকের ধারণা, রণবীরের বিপরীতে এই ছবিটি তাঁর ক্যারিয়ারকে নতুনভাবে চাঙা করবে। যদিও ঋষি কাপুর-নীতু সিং কাপুর ছেলের এই সিদ্ধান্তে খুব একটা খুশি নন। তাঁরা চান না, পাড়ুকোন-কন্যা আবারও তাঁর ছেলের ব্যক্তিজীবনে জড়িয়ে পড়ুক। অবশ্য রণবীরের বন্ধুদের দাবি, দীপিকাকে হারিয়ে রণবীর উপলব্ধি করেছেন, প্রেম কখনো মধুর, কখনো বেদনাবিধুর! সুতরাং বেদনাকে পাশ কাটিয়ে মধুর সময়কে শক্তি হিসেবে নিয়ে জীবন চলাটাই সবার মন্ত্র হওয়া উচিত।
অভিনয় ক্যারিয়ারে দীপিকাকে ছাড়িয়ে রণবীর অবশ্য এগিয়ে গেছেন অনেক দূর। এখন দীপিকার হাতে যদি থাকে একটি রেস ২ (সাইফ), রণবীরের হাতেও আছে থ্রি ইডিয়টস, মুন্নাভাই ছবির পরিচালক রাজকুমার হিরানির নতুন ছবি (আনুশকা শর্মা)। দীপিকার হাতে আরও আছে: সাইফ প্রযোজিত ককটেল (সাইফ), রজনীকান্তের নতুন ছবি। ওদিকে রণবীরের হাতে অনুরাগ বসুর বারফি (প্রিয়াঙ্কা চোপড়া)। অনেকের ভবিষ্যদ্বাণী, বারফির জন্য আগামী বছরের সব পুরস্কার নিশ্চিত করে রেখেছেন রণবীর। ছবিতে তাঁর চরিত্র মূক, বধিরের। তবে প্রকাশভঙ্গি হাস্যরসাত্মক। দীপিকা তাঁর এই প্রিয়জনকে নিয়ে ভীষণভাবে গর্বিত, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, ‘এ প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে একমাত্র রণবীরই হতে পারেন কিংবদন্তি! এটা আমার ভবিষ্যদ্বাণী নয়, বিশ্বাস!’ এমন ভরসা করতে পারেন যে প্রিয়জন, তাঁকেই তো রণবীরের প্রয়োজন!
রুম্মান রশীদ খান
[টাইমস অব ইন্ডিয়া, মিড ডে, সান্তাবান্তা, রিয়েল বলিউড, হিন্দুস্তান টাইমস ডট কম অবলম্বনে]
বছর ঘুরতে হয়নি। গরম মেজাজ ঠান্ডা হয়েছে। ঋষি কাজ করেছেন করণ জোহরের অগ্নিপথ ছবিতে। আর রণবীর-দীপিকা? গত সপ্তাহে আবারও মোমের আলোয় নৈশভোজ সেরেছেন। একসঙ্গে হাতে হাত ধরে বিদ্যা বালানের কাহানি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে ঢুঁ মেরেছেন। শুধু তা-ই নয়, আগামী সপ্তাহেই দীপিকা রণবীরের বাহুলগ্না হচ্ছেন করণ জোহরের ছবিতে। ওয়েক আপ সিড পরিচালক অয়ন মুখার্জি পরিচালিত এ ছবির নাম ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি। রণবীর-দীপিকার বন্ধুকুল জানিয়েছেন, ওঁদের বরফ শুধু গলেইনি; পানি হয়ে একাকার। সেই পানি এখন পুনরায় ভালোবাসার সাগর রচনা করেছে বলিউড-সাম্রাজ্যে। সর্বশেষ খবর—দীপিকার জীবন থেকে বিদায় হয়েছেন প্রেমিক সিদ্ধার্থ মাল্য। দুই বছর সিদ্ধার্থ-দীপিকা ‘জনম জনমের সাথী’ দাবি করে সবখানে হাজির হয়েছেন। আর রণবীর ক্যাটরিনা-নার্গিস-আনুশকাসহ অনেক পাখির খোঁজে উড়ে গিয়েছেন ডালে-আবডালে। অতঃপর যোগ-বিয়োগের অঙ্ক পেরিয়ে রণবীর-দীপিকা দুজনেই আবার একা হয়ে পড়েন। ফলাফল—দুজনার পুনর্মিলন!
দীপিকা অবশ্য জানান, ‘রণবীরের সঙ্গে কখনোই আমার ঠান্ডা যুদ্ধ ছিল না। আমরা বরাবরই বন্ধু ছিলাম। সবসময়ই দুজন দুজনার খবর রেখেছি। রাজনীতি, রকস্টার দেখার পর রণবীরকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। ওর বাড়িতে ফুল, কার্ড পাঠিয়েছি। রণবীরও খেলে হাম জি জান সে দেখে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। আমরা একই সঙ্গে এ বছর স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছি। আমি জনপ্রিয় শাখায়, রণবীর জুরিদের বিচারে। আমার জন্য রণবীর পার্টিরও আয়োজন করেছিল।’
দীপিকার এই বেফাঁস স্বীকারোক্তি খুব একটা পছন্দ করেননি রণবীর। রকস্টার-এর কল্যাণে তাঁর ঝুলিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাদে সব পুরস্কারই গেছে। রণবীর বিলক্ষণ জানেন, তাঁকে এখন থেকে সাবধানে চলতে হবে। তাই দীপিকাকে নিয়েও তাঁর প্রতিক্রিয়া—‘নো কমেন্টস!’ যদিও করণ জোহরের ইউনিট থেকে জানা যায়, রণবীরের ইচ্ছাতেই তাঁর ছেলেবেলার বন্ধু অয়ন দীপিকাকে এ ছবির নায়িকা করেছেন। দীপিকা বলেছেন, ‘অপেক্ষা করুন। অনেক চমক থাকছে এই ছবিতে।’ দীপিকার ক্যারিয়ারে সাফল্যের নৌকাটি মাঝনদীতেই থমকে গেছে। তাই অনেকের ধারণা, রণবীরের বিপরীতে এই ছবিটি তাঁর ক্যারিয়ারকে নতুনভাবে চাঙা করবে। যদিও ঋষি কাপুর-নীতু সিং কাপুর ছেলের এই সিদ্ধান্তে খুব একটা খুশি নন। তাঁরা চান না, পাড়ুকোন-কন্যা আবারও তাঁর ছেলের ব্যক্তিজীবনে জড়িয়ে পড়ুক। অবশ্য রণবীরের বন্ধুদের দাবি, দীপিকাকে হারিয়ে রণবীর উপলব্ধি করেছেন, প্রেম কখনো মধুর, কখনো বেদনাবিধুর! সুতরাং বেদনাকে পাশ কাটিয়ে মধুর সময়কে শক্তি হিসেবে নিয়ে জীবন চলাটাই সবার মন্ত্র হওয়া উচিত।
অভিনয় ক্যারিয়ারে দীপিকাকে ছাড়িয়ে রণবীর অবশ্য এগিয়ে গেছেন অনেক দূর। এখন দীপিকার হাতে যদি থাকে একটি রেস ২ (সাইফ), রণবীরের হাতেও আছে থ্রি ইডিয়টস, মুন্নাভাই ছবির পরিচালক রাজকুমার হিরানির নতুন ছবি (আনুশকা শর্মা)। দীপিকার হাতে আরও আছে: সাইফ প্রযোজিত ককটেল (সাইফ), রজনীকান্তের নতুন ছবি। ওদিকে রণবীরের হাতে অনুরাগ বসুর বারফি (প্রিয়াঙ্কা চোপড়া)। অনেকের ভবিষ্যদ্বাণী, বারফির জন্য আগামী বছরের সব পুরস্কার নিশ্চিত করে রেখেছেন রণবীর। ছবিতে তাঁর চরিত্র মূক, বধিরের। তবে প্রকাশভঙ্গি হাস্যরসাত্মক। দীপিকা তাঁর এই প্রিয়জনকে নিয়ে ভীষণভাবে গর্বিত, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, ‘এ প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে একমাত্র রণবীরই হতে পারেন কিংবদন্তি! এটা আমার ভবিষ্যদ্বাণী নয়, বিশ্বাস!’ এমন ভরসা করতে পারেন যে প্রিয়জন, তাঁকেই তো রণবীরের প্রয়োজন!
রুম্মান রশীদ খান
[টাইমস অব ইন্ডিয়া, মিড ডে, সান্তাবান্তা, রিয়েল বলিউড, হিন্দুস্তান টাইমস ডট কম অবলম্বনে]
No comments