নৌমন্ত্রীর বক্তব্য মানতে পারি না by শাফিক আফতাব
সড়ক দুর্ঘটনা এখন প্রাত্যহিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন শুনতে শুনতে এসব সংবাদ এখন আমাদের মনে আলাদা কোনো অনুভূতি তৈরি করে না। কিন্তু আমরা যখন দেশ বরেণ্য কোনো ব্যক্তিকে হারাই, তখন এসব খবর আবার মনে দাগ না কেটে পারে না। সড়ক দুর্ঘটনায় অতীতে আমরা অনেক বরেণ্য ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছি।
সম্প্রতি হারালাম এটিএন নিউজের সিইও মিশুক মুনীর এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদকে।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অনেকে চালককেই অভিযুক্ত করে থাকে। আসলে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকই কি দায়ী? গাড়ির ফিটনেস এবং মানসম্পন্ন রাস্তার অভাব_ আমরা কোনোটাকেই গৌণ কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি না। সন্দেহ নেই, চালকের প্রশিক্ষণের অভাব এবং অসাবধানতাই সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। কিন্তু তারপরও আমরা দেখছি রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর সিটি বাস ও দূরপাল্লার বাসের চালকরা কেউ তেমন শিক্ষিত নয়। অনেকে নিজের নাম স্বাক্ষর করতে পারলেও তারা এমন অজ্ঞ ও অশিক্ষিত যে তাদের অনেকেই ট্রাফিক সাইন পর্যন্ত বুঝে না। এসব অজ্ঞ ও নামমাত্র অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন চালক দেশের যত্রতত্র গড়ে ওঠা বিভিন্ন ড্রাইভিং সেন্টার থেকে দু'চারদিন ট্রেনিং নিয়ে গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে। চালক হতে লেখাপড়ার দরকার নেই, নৌ পরিবহন মন্ত্রীর এ বক্তব্য মানা যায় না। অনেকের আবার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। কারও কারও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও টাকাপয়সার বিনিময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্তির সংবাদও আমরা হরহামেশা পাই। এই অশিক্ষিত, অজ্ঞ ও প্রশিক্ষণহীন চালকদের দিয়ে গাড়ি চালানো হলে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়া কমবে কীভাবে?
রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে। কিন্তু অনেক চালকই ট্রাফিক আইন এবং ট্রাফিক পুলিশের সিগন্যাল বোঝে না। তাই ট্রাফিক পুলিশের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চালকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। সে সঙ্গে রাস্তাগুলোর সংস্কার এবং যানবাহনের ফিটনেস যথাযথভাবে নিশ্চিত করাও জরুরি। ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তা যদি করা হয়, তাহলে সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যুর হার যেমন কমবে, তেমনি রোধ করা সম্ভব হবে যানজট।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা
সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অনেকে চালককেই অভিযুক্ত করে থাকে। আসলে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকই কি দায়ী? গাড়ির ফিটনেস এবং মানসম্পন্ন রাস্তার অভাব_ আমরা কোনোটাকেই গৌণ কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি না। সন্দেহ নেই, চালকের প্রশিক্ষণের অভাব এবং অসাবধানতাই সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। কিন্তু তারপরও আমরা দেখছি রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর সিটি বাস ও দূরপাল্লার বাসের চালকরা কেউ তেমন শিক্ষিত নয়। অনেকে নিজের নাম স্বাক্ষর করতে পারলেও তারা এমন অজ্ঞ ও অশিক্ষিত যে তাদের অনেকেই ট্রাফিক সাইন পর্যন্ত বুঝে না। এসব অজ্ঞ ও নামমাত্র অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন চালক দেশের যত্রতত্র গড়ে ওঠা বিভিন্ন ড্রাইভিং সেন্টার থেকে দু'চারদিন ট্রেনিং নিয়ে গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে। চালক হতে লেখাপড়ার দরকার নেই, নৌ পরিবহন মন্ত্রীর এ বক্তব্য মানা যায় না। অনেকের আবার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। কারও কারও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও টাকাপয়সার বিনিময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্তির সংবাদও আমরা হরহামেশা পাই। এই অশিক্ষিত, অজ্ঞ ও প্রশিক্ষণহীন চালকদের দিয়ে গাড়ি চালানো হলে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়া কমবে কীভাবে?
রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে। কিন্তু অনেক চালকই ট্রাফিক আইন এবং ট্রাফিক পুলিশের সিগন্যাল বোঝে না। তাই ট্রাফিক পুলিশের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চালকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। সে সঙ্গে রাস্তাগুলোর সংস্কার এবং যানবাহনের ফিটনেস যথাযথভাবে নিশ্চিত করাও জরুরি। ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তা যদি করা হয়, তাহলে সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যুর হার যেমন কমবে, তেমনি রোধ করা সম্ভব হবে যানজট।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা
No comments