শেখ হাসিনার সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক প্রচারণা-এক মঞ্চে নেতারা
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলোগ্রাউন্ডের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভক্ত নগর আওয়ামী লীগের নেতারা এক মঞ্চে এসেছেন। সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে একসঙ্গে প্রচারণাও শুরু করেছেন তাঁরা। এতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশে লোক সমাগমের জন্য স্থল ও জলপথে সমানে প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এবারের প্রচারণায় নতুন সংযোজন হলো চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পানে করে কর্ণফুলী নদীজুড়ে মাইকিং করা।
এরই মধ্যে নগরের বিলবোর্ড এবং ফুটপাতের ম্যাগাসাইনগুলো ছেয়ে গেছে ছোট-বড় ডিজিটাল ব্যানারে। আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, চারদলীয় জোটের চেয়ে আরও বেশিসংখ্যক লোক সমাগমের লক্ষ্যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর নোয়াখালীর নেতা-কর্মীদেরও মহাসমাবেশে যোগ দিতে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার মন্ত্রী, সাংসদ ও জেলা পর্যায়ের নেতারা গণসংযোগে নেমেছেন।
২৮ মার্চ বিকেলে পলোগ্রাউন্ডের মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতা করার কথা রয়েছে। এ জন্য চার দিন আগেই গত মঙ্গলবার রাতে পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে বাণিজ্য মেলা গুটিয়ে ফেলা হয়। আগামী শনিবার পর্যন্ত বাণিজ্য মেলা চলার কথা ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশ সফল করতে নগর আওয়ামী লীগ গত সোমবার মুসলিম হলে কর্মিসভার আয়োজন করে। এতে বিবদমান সব পক্ষের নেতা উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্র জানায়, সোমবারের কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তবে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাংসদ নুরুল ইসলাম সভায় উপস্থিত ছিলেন না। আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, নুরুল ইসলাম ঢাকায় ছিলেন বলে সোমবারের কর্মিসভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁকেও ওই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
দলীয় সূত্র জানায়, ২৮ মার্চের মহাসমাবেশ সফল করতে নগরের ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও সবকটি থানায় গণসংযোগ এবং পথসভা জোরদার করার ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঐক্যবদ্ধভাবে এসব প্রচারণায় অংশ নেবেন বলে কর্মিসভায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা।
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা মহাসমাবেশে ভাষণ দিতে চট্টগ্রামে আসবেন।
এতে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর জন্য আমাদের প্রস্তুতি চলছে। এ লক্ষ্যে সব বিভেদ ভুলে আমরা সোমবার কর্মিসভা করেছি। এতে সবাই উপস্থিত ছিলেন। ফলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।’
এদিকে নগরে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভা করছেন নেতারা।
এ বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নগর আওয়ামী লীগ সিএনজিচালিত ছয়টি অটোরিকশা ও দুটি মিনি ট্রাকে মাইক লাগিয়ে জনসভার প্রচারণা চালাচ্ছে। যুবলীগ নগরের গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মোড়ে মাইক লাগিয়েছে। ছাত্রলীগও ছয়টি অটোরিকশায় করে প্রচারণা চালাচ্ছে।’
শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এবারের প্রচারণায় নতুন সংযোজন হচ্ছে চারটি সাম্পানে মাইক লাগিয়ে কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট থেকে ১৫ নম্বর এলাকা পর্যন্ত প্রচারণা চালানো। কারণ, নদীপথে শহর-গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয়। এ ছাড়া বিপুল মাঝিমাল্লা ও জেলে মালামাল পরিবহন কিংবা মাছ ধরার কাজে নদীতে অবস্থান করে।’ তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত পানিপথের এই প্রচারণা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এরই মধ্যে নগরের বিলবোর্ড এবং ফুটপাতের ম্যাগাসাইনগুলো ছেয়ে গেছে ছোট-বড় ডিজিটাল ব্যানারে। আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, চারদলীয় জোটের চেয়ে আরও বেশিসংখ্যক লোক সমাগমের লক্ষ্যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর নোয়াখালীর নেতা-কর্মীদেরও মহাসমাবেশে যোগ দিতে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার মন্ত্রী, সাংসদ ও জেলা পর্যায়ের নেতারা গণসংযোগে নেমেছেন।
২৮ মার্চ বিকেলে পলোগ্রাউন্ডের মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতা করার কথা রয়েছে। এ জন্য চার দিন আগেই গত মঙ্গলবার রাতে পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে বাণিজ্য মেলা গুটিয়ে ফেলা হয়। আগামী শনিবার পর্যন্ত বাণিজ্য মেলা চলার কথা ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশ সফল করতে নগর আওয়ামী লীগ গত সোমবার মুসলিম হলে কর্মিসভার আয়োজন করে। এতে বিবদমান সব পক্ষের নেতা উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্র জানায়, সোমবারের কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তবে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাংসদ নুরুল ইসলাম সভায় উপস্থিত ছিলেন না। আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, নুরুল ইসলাম ঢাকায় ছিলেন বলে সোমবারের কর্মিসভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁকেও ওই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
দলীয় সূত্র জানায়, ২৮ মার্চের মহাসমাবেশ সফল করতে নগরের ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও সবকটি থানায় গণসংযোগ এবং পথসভা জোরদার করার ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঐক্যবদ্ধভাবে এসব প্রচারণায় অংশ নেবেন বলে কর্মিসভায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা।
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা মহাসমাবেশে ভাষণ দিতে চট্টগ্রামে আসবেন।
এতে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর জন্য আমাদের প্রস্তুতি চলছে। এ লক্ষ্যে সব বিভেদ ভুলে আমরা সোমবার কর্মিসভা করেছি। এতে সবাই উপস্থিত ছিলেন। ফলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।’
এদিকে নগরে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভা করছেন নেতারা।
এ বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নগর আওয়ামী লীগ সিএনজিচালিত ছয়টি অটোরিকশা ও দুটি মিনি ট্রাকে মাইক লাগিয়ে জনসভার প্রচারণা চালাচ্ছে। যুবলীগ নগরের গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মোড়ে মাইক লাগিয়েছে। ছাত্রলীগও ছয়টি অটোরিকশায় করে প্রচারণা চালাচ্ছে।’
শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এবারের প্রচারণায় নতুন সংযোজন হচ্ছে চারটি সাম্পানে মাইক লাগিয়ে কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট থেকে ১৫ নম্বর এলাকা পর্যন্ত প্রচারণা চালানো। কারণ, নদীপথে শহর-গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয়। এ ছাড়া বিপুল মাঝিমাল্লা ও জেলে মালামাল পরিবহন কিংবা মাছ ধরার কাজে নদীতে অবস্থান করে।’ তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত পানিপথের এই প্রচারণা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
No comments