শুকনো মৌসুমে পানির কষ্ট-পান্নাপাড়া, চান্দগাঁও খুলশী সবখানে একই চিত্র
আগ্রাবাদ এলাকার পান্নাপাড়ার লোকজন শীতের শুরু থেকেই পানির কষ্টে ভোগেন। শুকনো মৌসুমে এ এলাকার লোকজন ওয়াসার পানি পান না। বহুদিন ধরে এমনটা দেখে আসছেন এলাকাবাসী। শেখ মুজিব সড়কের নিচে নির্মিত ভূগর্ভস্থ পয়োনিষ্কাশন কালভার্টের কারণে ওয়াসার সরবরাহ পাইপ সোজা পথে সড়কের অন্য পাশে যেতে পারে না।
ফলে শুকনো মৌসুমে পানির চাপ কম থাকলে এই লাইনের গ্রাহক পান্নাপাড়ার লোকজন পানি পান না। পান্নাপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সপ্তাহে দু-একবার মোটর দিয়ে টানলে পাইপ দিয়ে অল্প পরিমাণে ময়লা পানি আসে। এটা ব্যবহারের অনুপযোগী। বাধ্য হয়ে তা জলাধারে জমা রাখি। আবর্জনা নিচে তলানি আকারে জমা হলে কখনো কখনো তা ব্যবহার করা হয়। তবে এ পানি পান করার উপযোগী নয়।’
একই এলাকার আরেক বাসিন্দা চাকরিজীবী শাহিনা খানম বলেন, ‘ওয়াসার পানি না থাকায় বাধ্য হয়ে সকালবেলা নলকূপের আয়রনযুক্ত পানি দিয়ে গোসল করি। এতে চুল ও শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পার্শ্ববর্তী হাজীপাড়া, দাইয়াপাড়া ও মিস্ত্রিপাড়ায় তিনটি গভীর নলকূপ বসিয়েছে। ফলে আশপাশের এলাকায় পানি এলেও এ এলাকায় পানি আসে না।’
কেবল পান্নাপাড়া নয়, পানি নিয়ে ভোগান্তির শিকার নগরের নানা এলাকার লোকজন। চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি ব্লকের বাসিন্দা শওকতুল ইসলাম বলেন, ‘তিনতলা বাড়ির জন্য ওয়াসার একটি লাইনের পাশাপাশি গভীর নলকূপও স্থাপন করতে হয়েছে। ওয়াসার পানি যতটুকু আসে তা যথেষ্ট নয়। এতে পরিবারের সদস্যদের খাওয়ার পানিও হয় না। ফলে নিজেদের এবং ভাড়াটেদের ব্যবহারের পানির জন্য বাধ্য হয়ে গভীর নলকূপের ওপরই ভরসা করে আছি। অথচ বাসায় ওয়াসার পানি না পৌঁছালেও সড়কের বিভিন্ন স্থানে লাইন ফুটো হয়ে হরহামেশাই পানি উঠতে দেখি।’
নগরের খুলশী এলাকায় পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে ওয়াসার গবেষণার কাজ চলছে প্রায় দেড় বছর ধরে। অথচ পার্শ্ববর্তী পশ্চিম খুলশী আবাসিক এলাকা ও পাহাড়তলীতে যথারীতি পানির সংকট রয়ে গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, ‘এখানে ওয়াসার পানির সরবরাহ হয় জালালাবাদ পাম্পের মাধ্যমে। সেটি চালু থাকলে এলাকার মানুষ পানি পান। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, পানির চাহিদা বেড়ে গেলে এ পাম্পটিও বিকল হয়ে যায়। আর একবার বিকল হলে তা ঠিক করতে এলাকার মানুষজনকে ওয়াসায় ধরনা দিতে হয়।’
একই এলাকার আরেক বাসিন্দা চাকরিজীবী শাহিনা খানম বলেন, ‘ওয়াসার পানি না থাকায় বাধ্য হয়ে সকালবেলা নলকূপের আয়রনযুক্ত পানি দিয়ে গোসল করি। এতে চুল ও শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পার্শ্ববর্তী হাজীপাড়া, দাইয়াপাড়া ও মিস্ত্রিপাড়ায় তিনটি গভীর নলকূপ বসিয়েছে। ফলে আশপাশের এলাকায় পানি এলেও এ এলাকায় পানি আসে না।’
কেবল পান্নাপাড়া নয়, পানি নিয়ে ভোগান্তির শিকার নগরের নানা এলাকার লোকজন। চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি ব্লকের বাসিন্দা শওকতুল ইসলাম বলেন, ‘তিনতলা বাড়ির জন্য ওয়াসার একটি লাইনের পাশাপাশি গভীর নলকূপও স্থাপন করতে হয়েছে। ওয়াসার পানি যতটুকু আসে তা যথেষ্ট নয়। এতে পরিবারের সদস্যদের খাওয়ার পানিও হয় না। ফলে নিজেদের এবং ভাড়াটেদের ব্যবহারের পানির জন্য বাধ্য হয়ে গভীর নলকূপের ওপরই ভরসা করে আছি। অথচ বাসায় ওয়াসার পানি না পৌঁছালেও সড়কের বিভিন্ন স্থানে লাইন ফুটো হয়ে হরহামেশাই পানি উঠতে দেখি।’
নগরের খুলশী এলাকায় পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে ওয়াসার গবেষণার কাজ চলছে প্রায় দেড় বছর ধরে। অথচ পার্শ্ববর্তী পশ্চিম খুলশী আবাসিক এলাকা ও পাহাড়তলীতে যথারীতি পানির সংকট রয়ে গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, ‘এখানে ওয়াসার পানির সরবরাহ হয় জালালাবাদ পাম্পের মাধ্যমে। সেটি চালু থাকলে এলাকার মানুষ পানি পান। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, পানির চাহিদা বেড়ে গেলে এ পাম্পটিও বিকল হয়ে যায়। আর একবার বিকল হলে তা ঠিক করতে এলাকার মানুষজনকে ওয়াসায় ধরনা দিতে হয়।’
No comments