দিল্লির চিঠি-‘নিয়ন্ত্রণরেখা’ রূপান্তরিত হোক ‘শান্তিরেখায়’ by কুলদীপ নায়ার
কখনো কখনো অবনতিও বিবেচিত হয় উন্নতি হিসেবে। ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবের মধ্যকার সাম্প্রতিক আলোচনার ফলাফল এ কথার মাধ্যমেই পরিমাপ করা যায়। ভারতের নিরুপমা রাও ও পাকিস্তানের সালমান বশিরের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সংলাপ চলবে—এটা ইতিবাচক।
কাশ্মীর বিষয়ে দিনব্যাপী বিশেষ অধিবেশনে বিপরীতমুখী অবস্থান নেওয়ার পর, তারা যে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করলেন এবং নিন্দাসূচক একটা কথাও বললেন না, তাতে বোঝা যায় দেশ দুটি পরস্পরের সংবেদনশীলতাকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে।
এর ফলে আগামী জুলাইয়ে দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক নিয়ে প্রত্যাশা বেড়েছে। কাশ্মীর প্রশ্নে দেশ দুটি বিপরীতমুখী অবস্থানে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যেমন বলেছেন—পাকিস্তান তার এত দিনকার অবস্থান থেকে সরে যায়নি। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিরাট কোনো সাফল্য আসবে—এমনটা কোনো আশাবাদীও ভাবেননি।
তবু, ভবিষ্যতের দ্বারে সামান্য উঁকি দিয়ে নিরুপমা রাও বলেছেন, এটা শান্তির কথামালার সময়, সামরিক সংঘাতের মতাদর্শ আঁকড়ে থাকার নয়। দেশ দুটি পরস্পরকে কীভাবে দেখছে, তার মূল সুর ঠিক করে দিয়েছে তাঁর এ কথা। এখান থেকে যে ইশারা পাওয়া যায়, তা হলো—যুদ্ধ যে কতটা অনর্থক, তা দেশ দুটি বুঝতে পেরেছে। দুই দেশের মধ্যে প্রথমবার যুদ্ধ হয়েছিল ১৯৪৭ সালের শেষের দিকে, দ্বিতীয়বার ১৯৬৫ সালে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, যুদ্ধবিগ্রহের পর তারা শান্তিচুক্তিতে পৌঁছার সাধারণ জমিন খুঁজে নিতে পেরেছিল।
কাশ্মীর আসলেই খুব জটিল বিষয়। যত দিন যাচ্ছে ততই জটিল হয়ে উঠছে। প্রথমত, এখানে দুটি পক্ষ, ভারত ও পাকিস্তান। এখন কাশ্মীরিরাও নিজস্ব স্বরের জানান দিতে চায়। শ্রীনগরকেও জায়গা দিতে হবে—এ চাওয়া এখন স্বাভাবিক। স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করে ৪০ হাজারের বেশি কাশ্মীরি আত্মাহুতি দিয়েছে। যেকোনো সমাধানে কাশ্মীরিদের অনুমোদনের ছাপ থাকতেই হবে।
নানা সমাধানের কথা লোকের মুখে মুখে ফিরেছে। নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে আরও কয়েকটা সমাধানের চেষ্টা চলেছে পেছনের দরজা দিয়ে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে অধিকতর গ্রহণযোগ্য সমাধান হলো, ‘নিয়ন্ত্রণরেখা’কে ‘শান্তিরেখায়’ রূপান্তরিত করা। এ কথার ইশারা পাওয়া গিয়েছিল ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর এক সাক্ষাৎকারে। এই প্রস্তাব তিনি সিমলা সম্মেলনে উত্থাপন করেননি। মাত্র কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল হারানোর পর তিনি আর তাঁর এই সূত্রায়ন দেশবাসীকে গ্রহণ করাতে পারেননি।
প্রায় ৩৫ বছর পর কম-বেশি একই সূত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ। পত্রিকার খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাতে সম্মত হয়েছিলেন। কেননা, তাঁর পূর্বশর্তানুযায়ী কাশ্মীর-মুজাফরপুর সীমান্তে কোনো পরিবর্তন তাতে ছিল না। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ কাসুরির মতে, যদি না পাকিস্তানের তখনকার পরিস্থিতি আইনজীবীদের বিক্ষোভের কারণে খারাপ হয়ে না পড়ত, তাহলে লাহোরে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতেন।
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেই জায়গা থেকে শুরু করতে পারেন। যে সম্ভাব্য চুক্তির কথা প্রচারিত হয়েছিল, সেটা আরও ভালোভাবে প্রণয়ন করতে পারেন তাঁরা। তবে অন্তত যে কাজটি তারা পারেন তা হলো, সেই সূত্রটি আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা। পাকিস্তান যে সেই অবস্থা থেকে শুরু করছে ইচ্ছুক, তা নানা ইশারা-ইঙ্গিতে স্পষ্ট।
নিরুপমা রাও অনেকটা যথার্থভাবেই বলেছেন, বন্দুকের ছায়ার তলে আলোচনা হতে পারে না। মাত্র কয়েক দিন আগেই শ্রীনগরের কাছে পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে হিজবুল মুজাহিদিনের মধ্যে আরেক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। দুজন চরমপন্থী মারা গেছে আর ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেন আহত হয়েছেন। নয়াদিল্লি সন্দেহ করছে, এর পেছনে হয়তো লস্কর-ই-তাইয়েবার হাত আছে। লস্করের সদর দপ্তর পাকিস্তানে অবস্থিত। হয়তো স্থানীয় মুজাহিদিনরাই এতে জড়িত ছিল। কিন্তু এ দুটি এখন এতটাই মিলেমিশে আছে যে, একটা থেকে আরেকটাকে আলাদা করা কঠিন।
২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর এখন ভারতের দৃঢ়প্রত্যয় জন্মেছে যে, সীমান্তের বাইরে থেকে সহায়তা না পেলে কাশ্মীর ও ভারতের অন্য কোনো স্থানে কোনো জঙ্গির পক্ষেই কর্মকাণ্ড চালানো সম্ভব নয়। প্রথম দিনের আলোচনার প্রায় পুরোটাই আসলে খেয়ে ফেলেছে মুম্বাই হামলা প্রসঙ্গ। নিরুপমা রাও অনুযোগ করেছেন, অপরাধীদের বিচারে পাকিস্তান তেমন কিছুই করেনি। সালমান বশির এই বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু যেহেতু খুনিদের বিচারের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতে এখনো নতুন কোনো বিচারক নিয়োগ দেওয়া হলো না, তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশা ক্ষীণ।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এসব কিছু করেছেন পাকিস্তানকে দেখাতে যে, পারস্পরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে নয়াদিল্লি কতটা উদগ্রীব। বিপরীতে সালমান বশির আলোচনার জন্য দুটি যৌথ কমিটি গঠনে সম্মত হয়েছেন—একটি কমিটি কাজ করবে উপমহাদেশের ওপর পরমাণু অস্ত্রের ছায়া দূরীভূত করা যায় কীভাবে সে ব্যাপারে, আর অন্যটা কাজ করবে দুই দেশে অতিরিক্ত সামরিক শক্তিবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেই প্রস্তাব দিয়ে। পাকিস্তানের দিক থেকে এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, সেনাবাহিনী এটা মেনে নিতে প্রস্তুত।
সবশেষে বলি, উভয় দেশই উপলব্ধি করেছে যে, দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আবশ্যক। ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি শিথিলের পাশাপাশি বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। পূর্বোক্ত চুক্তিটি বাস্তবায়নের প্রসঙ্গ যদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনায় উঠে আসে, তাহলে পররাষ্ট্রসচিবদের দ্বারা সূচিত শুভসূচনা আরও জোরদার হবে। এই সময়ে এসে উভয় দেশেরই উপলব্ধি করা উচিত যে, শান্তি ও বন্ধুতা বাদ দিয়ে অন্য কোনো পথ নেই।
ইংরেজি থেকে অনূদিত
কুলদীপ নায়ার: ভারতীয় প্রবীণ সাংবাদিক।
এর ফলে আগামী জুলাইয়ে দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক নিয়ে প্রত্যাশা বেড়েছে। কাশ্মীর প্রশ্নে দেশ দুটি বিপরীতমুখী অবস্থানে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যেমন বলেছেন—পাকিস্তান তার এত দিনকার অবস্থান থেকে সরে যায়নি। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিরাট কোনো সাফল্য আসবে—এমনটা কোনো আশাবাদীও ভাবেননি।
তবু, ভবিষ্যতের দ্বারে সামান্য উঁকি দিয়ে নিরুপমা রাও বলেছেন, এটা শান্তির কথামালার সময়, সামরিক সংঘাতের মতাদর্শ আঁকড়ে থাকার নয়। দেশ দুটি পরস্পরকে কীভাবে দেখছে, তার মূল সুর ঠিক করে দিয়েছে তাঁর এ কথা। এখান থেকে যে ইশারা পাওয়া যায়, তা হলো—যুদ্ধ যে কতটা অনর্থক, তা দেশ দুটি বুঝতে পেরেছে। দুই দেশের মধ্যে প্রথমবার যুদ্ধ হয়েছিল ১৯৪৭ সালের শেষের দিকে, দ্বিতীয়বার ১৯৬৫ সালে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, যুদ্ধবিগ্রহের পর তারা শান্তিচুক্তিতে পৌঁছার সাধারণ জমিন খুঁজে নিতে পেরেছিল।
কাশ্মীর আসলেই খুব জটিল বিষয়। যত দিন যাচ্ছে ততই জটিল হয়ে উঠছে। প্রথমত, এখানে দুটি পক্ষ, ভারত ও পাকিস্তান। এখন কাশ্মীরিরাও নিজস্ব স্বরের জানান দিতে চায়। শ্রীনগরকেও জায়গা দিতে হবে—এ চাওয়া এখন স্বাভাবিক। স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করে ৪০ হাজারের বেশি কাশ্মীরি আত্মাহুতি দিয়েছে। যেকোনো সমাধানে কাশ্মীরিদের অনুমোদনের ছাপ থাকতেই হবে।
নানা সমাধানের কথা লোকের মুখে মুখে ফিরেছে। নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে আরও কয়েকটা সমাধানের চেষ্টা চলেছে পেছনের দরজা দিয়ে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে অধিকতর গ্রহণযোগ্য সমাধান হলো, ‘নিয়ন্ত্রণরেখা’কে ‘শান্তিরেখায়’ রূপান্তরিত করা। এ কথার ইশারা পাওয়া গিয়েছিল ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর এক সাক্ষাৎকারে। এই প্রস্তাব তিনি সিমলা সম্মেলনে উত্থাপন করেননি। মাত্র কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল হারানোর পর তিনি আর তাঁর এই সূত্রায়ন দেশবাসীকে গ্রহণ করাতে পারেননি।
প্রায় ৩৫ বছর পর কম-বেশি একই সূত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ। পত্রিকার খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাতে সম্মত হয়েছিলেন। কেননা, তাঁর পূর্বশর্তানুযায়ী কাশ্মীর-মুজাফরপুর সীমান্তে কোনো পরিবর্তন তাতে ছিল না। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ কাসুরির মতে, যদি না পাকিস্তানের তখনকার পরিস্থিতি আইনজীবীদের বিক্ষোভের কারণে খারাপ হয়ে না পড়ত, তাহলে লাহোরে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতেন।
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেই জায়গা থেকে শুরু করতে পারেন। যে সম্ভাব্য চুক্তির কথা প্রচারিত হয়েছিল, সেটা আরও ভালোভাবে প্রণয়ন করতে পারেন তাঁরা। তবে অন্তত যে কাজটি তারা পারেন তা হলো, সেই সূত্রটি আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা। পাকিস্তান যে সেই অবস্থা থেকে শুরু করছে ইচ্ছুক, তা নানা ইশারা-ইঙ্গিতে স্পষ্ট।
নিরুপমা রাও অনেকটা যথার্থভাবেই বলেছেন, বন্দুকের ছায়ার তলে আলোচনা হতে পারে না। মাত্র কয়েক দিন আগেই শ্রীনগরের কাছে পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে হিজবুল মুজাহিদিনের মধ্যে আরেক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। দুজন চরমপন্থী মারা গেছে আর ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেন আহত হয়েছেন। নয়াদিল্লি সন্দেহ করছে, এর পেছনে হয়তো লস্কর-ই-তাইয়েবার হাত আছে। লস্করের সদর দপ্তর পাকিস্তানে অবস্থিত। হয়তো স্থানীয় মুজাহিদিনরাই এতে জড়িত ছিল। কিন্তু এ দুটি এখন এতটাই মিলেমিশে আছে যে, একটা থেকে আরেকটাকে আলাদা করা কঠিন।
২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর এখন ভারতের দৃঢ়প্রত্যয় জন্মেছে যে, সীমান্তের বাইরে থেকে সহায়তা না পেলে কাশ্মীর ও ভারতের অন্য কোনো স্থানে কোনো জঙ্গির পক্ষেই কর্মকাণ্ড চালানো সম্ভব নয়। প্রথম দিনের আলোচনার প্রায় পুরোটাই আসলে খেয়ে ফেলেছে মুম্বাই হামলা প্রসঙ্গ। নিরুপমা রাও অনুযোগ করেছেন, অপরাধীদের বিচারে পাকিস্তান তেমন কিছুই করেনি। সালমান বশির এই বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু যেহেতু খুনিদের বিচারের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতে এখনো নতুন কোনো বিচারক নিয়োগ দেওয়া হলো না, তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশা ক্ষীণ।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এসব কিছু করেছেন পাকিস্তানকে দেখাতে যে, পারস্পরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে নয়াদিল্লি কতটা উদগ্রীব। বিপরীতে সালমান বশির আলোচনার জন্য দুটি যৌথ কমিটি গঠনে সম্মত হয়েছেন—একটি কমিটি কাজ করবে উপমহাদেশের ওপর পরমাণু অস্ত্রের ছায়া দূরীভূত করা যায় কীভাবে সে ব্যাপারে, আর অন্যটা কাজ করবে দুই দেশে অতিরিক্ত সামরিক শক্তিবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেই প্রস্তাব দিয়ে। পাকিস্তানের দিক থেকে এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, সেনাবাহিনী এটা মেনে নিতে প্রস্তুত।
সবশেষে বলি, উভয় দেশই উপলব্ধি করেছে যে, দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আবশ্যক। ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি শিথিলের পাশাপাশি বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। পূর্বোক্ত চুক্তিটি বাস্তবায়নের প্রসঙ্গ যদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনায় উঠে আসে, তাহলে পররাষ্ট্রসচিবদের দ্বারা সূচিত শুভসূচনা আরও জোরদার হবে। এই সময়ে এসে উভয় দেশেরই উপলব্ধি করা উচিত যে, শান্তি ও বন্ধুতা বাদ দিয়ে অন্য কোনো পথ নেই।
ইংরেজি থেকে অনূদিত
কুলদীপ নায়ার: ভারতীয় প্রবীণ সাংবাদিক।
No comments