পাইপলাইনে ফুটো, নালায় চলে যায় ওয়াসার ৪০ শতাংশ পানি by হামিদ উল্লাহ
গত শুক্রবার নগরের গণি বেকারির অদূরে সিরাজউদ্দৌলা সড়কের কাছে ওয়াসার একটি পাইপলাইন ফুটো হয়ে সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ওই পথে কিছু সময়ের জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একই সময়ে নগরের ডিসি হিলের কাছে মোমিন রোড ও পশ্চিম বাকলিয়া মিয়ার বাপের বাড়ির কাছেও পাইপলাইনের ফুটো দিয়ে সড়কের ওপর
পানি প্রবাহিত হতে দেখা যায়। অবশ্য আশপাশের এলাকার মানুষের কাছে দৃশ্যটি নিত্যদিনের। নগরজুড়ে ওয়াসার পাইপলাইন ফেটে পানি নষ্ট হওয়ার দৃশ্য প্রায় সময় চোখে পড়ে।
জানা যায়, গ্রাহকদের কাছে যাওয়ার আগেই পাইপলাইনের ফুটো দিয়ে ওয়াসার পানির ৪০ শতাংশ নালায় চলে যায়। পানির এ সিস্টেম লস কমাতে নিয়মিতই ‘পানি প্রকল্প’ গ্রহণ করে ওয়াসা। কিন্তু নগরের অভিজাত এলাকায় এসব প্রকল্প নেওয়া হলেও দেখা যায় সেসব এলাকাতেই পানির সিস্টেম লস ২৫ শতাংশের কম নয়। বর্তমানে খুলশী, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় পানি প্রকল্পের কাজ চলছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়াসার যে পাইপলাইন আছে, তা ৪০ বছরের পুরোনো। এ পাইপলাইন দিয়ে নগরবাসীকে বেশি সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। আগামী দুই বছরের মধ্যে কর্ণফুলী পানি শোধনাগার প্রকল্প থেকে নগরে পানি আসা শুরু হলে অনেক জায়গায় এ পাইপলাইন ফেটে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ জন্য আমরা নতুন করে পাইপলাইন সংস্কারের চিন্তাভাবনাও করছি। ইতিমধ্যে জাপানের সঙ্গে আলোচনাও শুরু হয়েছে। আগামী মে মাসে তাদের একটি প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম আসবে। তবে ওয়াসার বর্তমান সিস্টেম লস ২৫ শতাংশের বেশি নয় বলে দাবি করেন তিনি।’ ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, নগরের বিভিন্ন স্থানে ওয়াসার ৭২টি গভীর নলকূপ রয়েছে। এসব নলকূপ কী পরিমাণ পানি উৎপাদন করে তার হিসাব রাখার জন্য সেখানে একটি মিটারও লাগানো হয়। কিন্তু কিছুদিন পর মিটারটি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কী পরিমাণ পানি উৎপাদন কিংবা অপচয় হলো তার হিসাব রাখা সম্ভব হয় না।
তবে ওয়াসার একাধিক প্রকৌশলী দাবি করেছেন, জাপানের মতো দেশেও গত বছর ওয়াসার সিস্টেম লস ছিল ১৮ শতাংশ। আর সিঙ্গাপুরে তা আট থেকে ১০ শতাংশ। তাঁরা বলেন, সিস্টেম লস যদি গড়ে ৩০ শতাংশও হয়, সে পানি গরিব জনগণের কাছে পৌঁছালে তাতে ক্ষতির কিছু নেই। কারণ, পানির উৎপাদন খরচ কম। কিন্তু বছরের পর বছর বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে পানির উৎপাদন ব্যয়ই পরোক্ষভাবে বেড়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরের বেশির ভাগ ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় ওয়াসার পানির লাইনও অনেক পুরোনো। এসব এলাকার পাইপলাইনও মান্ধাতা আমলের। ফলে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ফুটো। প্রকৌশলীরা জানান, পানির পাইপ ফেটে সরাসরি নালায় চলে যাওয়াটা জাতীয় ক্ষতি। যদি তা কোনোভাবে গ্রাহকের কাছে যায়, তাও খারাপ নয়। ওয়াসার পাইপলাইনে পানির স্বাভাবিক সরবরাহ থাকলে ফুটো দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়। এদিকে অধিকাংশ আবাসিক এলাকায় মোটর দিয়ে পানি টানেন গ্রাহকেরা। এতে ওসব ফুটো দিয়ে উল্টো ময়লা পানি পাইপে প্রবেশ করে। ফলে ওয়াসার পানি দূষিত হয়ে পড়ে। গত রোববারের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম ওয়াসার দৈনিক পানি উৎপাদনের ক্ষমতা ২০ কোটি ৭০ লাখ লিটার। এর মধ্যে মোহরা পানি শোধনাগার প্রকল্পে উৎপাদন সাড়ে নয় কোটি লিটার থেকে সাড়ে আট কোটিতে কমে এসেছে। অবশিষ্ট পানি নগরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত গভীর নলকূপ থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু অব্যবস্থাপনার কারণে আট কোটি লিটার পানিই নগরবাসীর কাছে পৌঁছায় না। এ প্রসঙ্গে পানি প্রকল্পের পরিচালক নজরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে যে প্রকল্পের কাজ চলছে তা শেষ হলে পানি-ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে। এ অভিজ্ঞতা পরবর্তী সময়ে ওয়াসার লাইন সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। এ ব্যাপারে জাপান আমাদের সহযোগিতা করছে।’ তিনি দাবি করেন, পানি প্রকল্পে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, এর পুরোটাই অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গ্রাহকদের কাছে যাওয়ার আগেই পাইপলাইনের ফুটো দিয়ে ওয়াসার পানির ৪০ শতাংশ নালায় চলে যায়। পানির এ সিস্টেম লস কমাতে নিয়মিতই ‘পানি প্রকল্প’ গ্রহণ করে ওয়াসা। কিন্তু নগরের অভিজাত এলাকায় এসব প্রকল্প নেওয়া হলেও দেখা যায় সেসব এলাকাতেই পানির সিস্টেম লস ২৫ শতাংশের কম নয়। বর্তমানে খুলশী, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় পানি প্রকল্পের কাজ চলছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়াসার যে পাইপলাইন আছে, তা ৪০ বছরের পুরোনো। এ পাইপলাইন দিয়ে নগরবাসীকে বেশি সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। আগামী দুই বছরের মধ্যে কর্ণফুলী পানি শোধনাগার প্রকল্প থেকে নগরে পানি আসা শুরু হলে অনেক জায়গায় এ পাইপলাইন ফেটে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ জন্য আমরা নতুন করে পাইপলাইন সংস্কারের চিন্তাভাবনাও করছি। ইতিমধ্যে জাপানের সঙ্গে আলোচনাও শুরু হয়েছে। আগামী মে মাসে তাদের একটি প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম আসবে। তবে ওয়াসার বর্তমান সিস্টেম লস ২৫ শতাংশের বেশি নয় বলে দাবি করেন তিনি।’ ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, নগরের বিভিন্ন স্থানে ওয়াসার ৭২টি গভীর নলকূপ রয়েছে। এসব নলকূপ কী পরিমাণ পানি উৎপাদন করে তার হিসাব রাখার জন্য সেখানে একটি মিটারও লাগানো হয়। কিন্তু কিছুদিন পর মিটারটি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কী পরিমাণ পানি উৎপাদন কিংবা অপচয় হলো তার হিসাব রাখা সম্ভব হয় না।
তবে ওয়াসার একাধিক প্রকৌশলী দাবি করেছেন, জাপানের মতো দেশেও গত বছর ওয়াসার সিস্টেম লস ছিল ১৮ শতাংশ। আর সিঙ্গাপুরে তা আট থেকে ১০ শতাংশ। তাঁরা বলেন, সিস্টেম লস যদি গড়ে ৩০ শতাংশও হয়, সে পানি গরিব জনগণের কাছে পৌঁছালে তাতে ক্ষতির কিছু নেই। কারণ, পানির উৎপাদন খরচ কম। কিন্তু বছরের পর বছর বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে পানির উৎপাদন ব্যয়ই পরোক্ষভাবে বেড়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরের বেশির ভাগ ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় ওয়াসার পানির লাইনও অনেক পুরোনো। এসব এলাকার পাইপলাইনও মান্ধাতা আমলের। ফলে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ফুটো। প্রকৌশলীরা জানান, পানির পাইপ ফেটে সরাসরি নালায় চলে যাওয়াটা জাতীয় ক্ষতি। যদি তা কোনোভাবে গ্রাহকের কাছে যায়, তাও খারাপ নয়। ওয়াসার পাইপলাইনে পানির স্বাভাবিক সরবরাহ থাকলে ফুটো দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়। এদিকে অধিকাংশ আবাসিক এলাকায় মোটর দিয়ে পানি টানেন গ্রাহকেরা। এতে ওসব ফুটো দিয়ে উল্টো ময়লা পানি পাইপে প্রবেশ করে। ফলে ওয়াসার পানি দূষিত হয়ে পড়ে। গত রোববারের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম ওয়াসার দৈনিক পানি উৎপাদনের ক্ষমতা ২০ কোটি ৭০ লাখ লিটার। এর মধ্যে মোহরা পানি শোধনাগার প্রকল্পে উৎপাদন সাড়ে নয় কোটি লিটার থেকে সাড়ে আট কোটিতে কমে এসেছে। অবশিষ্ট পানি নগরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত গভীর নলকূপ থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু অব্যবস্থাপনার কারণে আট কোটি লিটার পানিই নগরবাসীর কাছে পৌঁছায় না। এ প্রসঙ্গে পানি প্রকল্পের পরিচালক নজরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে যে প্রকল্পের কাজ চলছে তা শেষ হলে পানি-ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে। এ অভিজ্ঞতা পরবর্তী সময়ে ওয়াসার লাইন সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। এ ব্যাপারে জাপান আমাদের সহযোগিতা করছে।’ তিনি দাবি করেন, পানি প্রকল্পে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, এর পুরোটাই অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে।
No comments