রং চড়ানো ইতিহাস by মাহমুদ শামসুল হক
রং চড়ানো ইতিহাস স্বভাবতই অপাঠ্য। এ ধরনের বিস্তর ইতিহাস মানুষ সত্য জেনে পাঠ করেন। পাঠ্যপুস্তকে পড়ে পরীক্ষা দেয় শিক্ষার্থীরা। কাজেই অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার পুনর্পাঠ জরুরি। এজন্য যে, বিভিন্ন বিষয়ে ঐতিহাসিক জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে জলঘোলা করেছেন।
প্রমাণ রয়েছে, ভারতবর্ষের বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিশেষত হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ে বিরোধ জিইয়ে রাখার জন্য কিছু স্পর্শকাতর বিষয় বেছে নিয়েছিলেন মতলববাজ ঐতিহাসিকরা। এখনও নিচ্ছেন। এসব ইতিহাসে এতসব ফাঁকিঝুঁকি রয়েছে যে, ঘটনার মর্মসত্যই থেকে গেছে আড়ালে। ঘটনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাদ দিয়ে ভিন্ন পটভূমি দাঁড় করিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছে মানুষকে। তার জের হিসেবে বহু খেসারত দিতে হয়েছে এ উপমহাদেশকে। অথচ কেউ ঘটনার সত্যাসত্য যাচাই করেননি। করলেও তার মূল্যায়ন হয়নি।
চটজলদি আমরা গজনির সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির আক্রমণের ঘটনার দিকে নজর দিতে পারি। সোমনাথ মন্দির ভাঙার জন্য মাহমুদ হাজার বছর ধরে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি সতেরবার ভারতে অভিযান চালিয়ে ছিলেন এবং প্রতিবারই সহিসালামতে ফিরে গেছেন নিজ রাজ্যে। সঙ্গে নিয়ে গেছেন বিস্তর লুণ্ঠিত ধনসম্পদ। তার এসব আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল গজনিকে সম্পদশালী করা, ভারতে ধর্মপ্রচার বা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অপদস্ত ও হেনস্তা করা নয়। মাহমুদ নিরেট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই প্রতিটি অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু কতিপয় ঐতিহাসিক লিখেছেন, এসব অভিযান বিশেষ করে সোমনাথ মন্দির ভাঙার পেছনে মাহমুদের ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা কাজ করেছিল। সেই সূত্র ধরে এখনও ধর্মান্ধ নেতারা এ ঘটনাকে তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন।
দেখা গেছে, যতবার ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে ততবারই দাঙ্গার আগুনে কেরোসিনের কাজ করেছে সোমনাথ মন্দির। এমনকি বাবরি মসজিদ ভাঙার সময়ও কিছু নেতা সোমনাথকে সামনে এনে উস্কানি প্রবল করেছেন। এখন চিন্তার বিষয় হচ্ছে, একটি ভুল বিশ্লেষণের জন্য আর কতকাল এই ‘মন্দির ভাঙা’র ঘটনাটি দাঙ্গা বাঁধানোর অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে?
প্রচলিত ইতিহাস অনুসারে, সোমনাথ মন্দিরের দেবমূর্তি ধ্বংস করে মাহমুদ হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাসকে আহত করতে চেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একজন ধর্মান্ধ মুসলিম শাসক। অথচ এই মন্দির ভাঙার বর্বরোচিত কাজের সঙ্গে হিন্দুরাও জড়িত ছিলেন। কারণ তারা এটিকে একটি রাজনৈতিক অভিযান বলে ধরে নিয়েছিলেন। ইতিহাস জানাচ্ছে, সোমনাথ আক্রমণের আগেই সুলতান মাহমুদ আক্রমণ চালিয়েছিলেন মুলতান শহরে। সেখানকার শাসক ছিলেন একজন মুসলমান। এ আক্রমণে সুলতানকে মদত দিয়েছিলেন লাহোরের হিন্দু রাজা আনন্দপাল। এই ভয়ঙ্কর আক্রমণে তছনছ হয়েছিল গোটা মুলতান শহর, বসতি বলে কিছুই আস্ত ছিল না এবং একটি মসজিদও ছিল না অক্ষত। এ ঘটনার সাক্ষ্য দিয়েছেন পণ্ডিত কলহন তার ‘রাজতরঙ্গিনী’ গ্রন্থে। এ থেকে পরিষ্কার যে, সুলতান মাহমুদ বেছে বেছে মন্দির ভাঙেননি। অর্থাত্ কোনো ধর্মনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে তিনি ভারত অভিযান পরিচালনা করেননি। প্রমাণ পাওয়া গেছে, সোমনাথ মন্দির আক্রমণের সময় তার সেনাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যই ছিল হিন্দু। শুধু তাই নয়, তার বাহিনীতে বারজন হিন্দু সেনাধ্যক্ষের মধ্যে দু’জন ব্রাহ্মণও ছিলেন। মুসলিম ও হিন্দু সেনানির মিলিত বাহিনী নিয়েই মাহমুদ লড়াই করেছিলেন মধ্য এশিয়ায়। তাছাড়া ভারতে আসার পথে আফগানিস্তানের বামিয়ানের বৌদ্ধ মূর্তিতে সুলতান বাহিনী আঘাত করেনি। সোমনাথ আসার পথে অসংখ্য হিন্দু মন্দিরের একটিও আক্রান্ত হয়নি গজনি বাহিনীর হাতে।
কাজেই গোটা বিষয়টিকে নিরঞ্জন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হলে ইতিহাস পাঠককে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, সোমনাথ মন্দিরে রক্ষিত আঠাশ মণ সোনা লুণ্ঠনই ছিল সুলতান মাহমুদের প্রধান উদ্দেশ্য। এই বিপুল স্বর্ণ কোনো মুসলিম ধর্মালয়ে থাকলেও তিনি তা লুণ্ঠন করতেন। আরও স্মর্তব্য যে, যে হিন্দু রাজাকে পদানত করে তিনি সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেছিলেন সেই রাজার ভাইয়ের হাতেই দিয়ে গিয়েছিলেন মন্দিরের দায়িত্বভার, কোনো মুসলমানের হাতে নয়। শুধু তাই নয়, মন্দিরটি পুনর্নির্মাণের হুকুমও দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ইতিহাস বিশ্লেষকরা আরও প্রমাণ করেছেন, সুলতান মাহমুদ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিচার করার প্রশ্নে হিন্দুদের শাস্ত্রীয় বিধিবিধান প্রয়োগ করতেন। এ ব্যাপারে ঐতিহাসিক ডব্লিউ হেইগ বলেছেন, ‘He maintain large body of Hindu troops and there was no reason to believe that conversion was a condition of their service’.
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ভারতে মুসলমানদের আগমনের আগেও এখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অনেক হিন্দু রাজা জৈন ও বৌদ্ধ এলাকায় তাদের ধর্মালয় ধ্বংস করেছেন। যেমন—পারমার রাজা সুভাত বর্মণ, কাশ্মীরের রাজা শ্রীহর্ষ, রাজা শশাঙ্ক, রাজা পুষ্যমিত্রসহ অনেকে। পুরীর বৌদ্ধ মন্দির দখল করে জগন্নাথ মন্দির স্থাপনের ঘটনাও অতিরঞ্জিত কিছু নয়। এ ব্যাপারে স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দের মতে, জগন্নাথ মন্দির এক সময় বৌদ্ধ মন্দির ছিল। তাছাড়া সোমনাথ মন্দির ভাঙার মতো বর্বরোচিত নৃশংস কাজে সুলতান মাহমুদের সঙ্গে হিন্দুরাও যে জড়িয়েছিল তা একালের ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক সংগঠন আরএসএস’র অন্যতম ব্যক্তিত্ব এমএস গোলওয়ালকর স্বীকার করেছেন। আরএসএস’র ইংরেজি মুখপাত্র ‘অরগানাইজারস’-এ (১৯৫০) প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি বলেন, ‘It was the Hindu blood of our blood, flesh of our flesh, soul of our soul, who stood in the vanguard of Mahmud’s army. These are facts of history’. এসব তথ্য সামনে রেখেই ইতিহাস পাঠককে এগুতে হবে। অযথা সুলতান মাহমুদকে ধর্মান্ধ বলা যাবে না। উল্লেখ্য, সুলতান মাহমুদের সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন বিশ্রুত ইতিহাসবিদ আলবেরুুনি। তিনি তার ‘ভারততত্ত্ব’ গ্রন্থে সুলতান মাহমুদের অন্যায় আক্রমণের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। কাজেই ইতিহাস নিয়ে আর জলঘোলা নয়। মাহমুদের ভারত আক্রমণ তথা সোমনাথ মন্দির ভাঙাকে ধর্ম দিয়ে নয়, বিচার করতে হবে রাজনীতি ও ক্ষমতা ব্যবহারের পটভূমিতে। নইলে সুযোগ সন্ধানীরা এ থেকে ফায়দা তোলার অপচেষ্টা চালিয়েই যাবে।
চটজলদি আমরা গজনির সুলতান মাহমুদের সোমনাথ মন্দির আক্রমণের ঘটনার দিকে নজর দিতে পারি। সোমনাথ মন্দির ভাঙার জন্য মাহমুদ হাজার বছর ধরে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি সতেরবার ভারতে অভিযান চালিয়ে ছিলেন এবং প্রতিবারই সহিসালামতে ফিরে গেছেন নিজ রাজ্যে। সঙ্গে নিয়ে গেছেন বিস্তর লুণ্ঠিত ধনসম্পদ। তার এসব আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল গজনিকে সম্পদশালী করা, ভারতে ধর্মপ্রচার বা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অপদস্ত ও হেনস্তা করা নয়। মাহমুদ নিরেট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই প্রতিটি অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু কতিপয় ঐতিহাসিক লিখেছেন, এসব অভিযান বিশেষ করে সোমনাথ মন্দির ভাঙার পেছনে মাহমুদের ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা কাজ করেছিল। সেই সূত্র ধরে এখনও ধর্মান্ধ নেতারা এ ঘটনাকে তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন।
দেখা গেছে, যতবার ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে ততবারই দাঙ্গার আগুনে কেরোসিনের কাজ করেছে সোমনাথ মন্দির। এমনকি বাবরি মসজিদ ভাঙার সময়ও কিছু নেতা সোমনাথকে সামনে এনে উস্কানি প্রবল করেছেন। এখন চিন্তার বিষয় হচ্ছে, একটি ভুল বিশ্লেষণের জন্য আর কতকাল এই ‘মন্দির ভাঙা’র ঘটনাটি দাঙ্গা বাঁধানোর অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে?
প্রচলিত ইতিহাস অনুসারে, সোমনাথ মন্দিরের দেবমূর্তি ধ্বংস করে মাহমুদ হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাসকে আহত করতে চেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একজন ধর্মান্ধ মুসলিম শাসক। অথচ এই মন্দির ভাঙার বর্বরোচিত কাজের সঙ্গে হিন্দুরাও জড়িত ছিলেন। কারণ তারা এটিকে একটি রাজনৈতিক অভিযান বলে ধরে নিয়েছিলেন। ইতিহাস জানাচ্ছে, সোমনাথ আক্রমণের আগেই সুলতান মাহমুদ আক্রমণ চালিয়েছিলেন মুলতান শহরে। সেখানকার শাসক ছিলেন একজন মুসলমান। এ আক্রমণে সুলতানকে মদত দিয়েছিলেন লাহোরের হিন্দু রাজা আনন্দপাল। এই ভয়ঙ্কর আক্রমণে তছনছ হয়েছিল গোটা মুলতান শহর, বসতি বলে কিছুই আস্ত ছিল না এবং একটি মসজিদও ছিল না অক্ষত। এ ঘটনার সাক্ষ্য দিয়েছেন পণ্ডিত কলহন তার ‘রাজতরঙ্গিনী’ গ্রন্থে। এ থেকে পরিষ্কার যে, সুলতান মাহমুদ বেছে বেছে মন্দির ভাঙেননি। অর্থাত্ কোনো ধর্মনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে তিনি ভারত অভিযান পরিচালনা করেননি। প্রমাণ পাওয়া গেছে, সোমনাথ মন্দির আক্রমণের সময় তার সেনাবাহিনীর অর্ধেক সদস্যই ছিল হিন্দু। শুধু তাই নয়, তার বাহিনীতে বারজন হিন্দু সেনাধ্যক্ষের মধ্যে দু’জন ব্রাহ্মণও ছিলেন। মুসলিম ও হিন্দু সেনানির মিলিত বাহিনী নিয়েই মাহমুদ লড়াই করেছিলেন মধ্য এশিয়ায়। তাছাড়া ভারতে আসার পথে আফগানিস্তানের বামিয়ানের বৌদ্ধ মূর্তিতে সুলতান বাহিনী আঘাত করেনি। সোমনাথ আসার পথে অসংখ্য হিন্দু মন্দিরের একটিও আক্রান্ত হয়নি গজনি বাহিনীর হাতে।
কাজেই গোটা বিষয়টিকে নিরঞ্জন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হলে ইতিহাস পাঠককে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, সোমনাথ মন্দিরে রক্ষিত আঠাশ মণ সোনা লুণ্ঠনই ছিল সুলতান মাহমুদের প্রধান উদ্দেশ্য। এই বিপুল স্বর্ণ কোনো মুসলিম ধর্মালয়ে থাকলেও তিনি তা লুণ্ঠন করতেন। আরও স্মর্তব্য যে, যে হিন্দু রাজাকে পদানত করে তিনি সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেছিলেন সেই রাজার ভাইয়ের হাতেই দিয়ে গিয়েছিলেন মন্দিরের দায়িত্বভার, কোনো মুসলমানের হাতে নয়। শুধু তাই নয়, মন্দিরটি পুনর্নির্মাণের হুকুমও দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ইতিহাস বিশ্লেষকরা আরও প্রমাণ করেছেন, সুলতান মাহমুদ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিচার করার প্রশ্নে হিন্দুদের শাস্ত্রীয় বিধিবিধান প্রয়োগ করতেন। এ ব্যাপারে ঐতিহাসিক ডব্লিউ হেইগ বলেছেন, ‘He maintain large body of Hindu troops and there was no reason to believe that conversion was a condition of their service’.
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ভারতে মুসলমানদের আগমনের আগেও এখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অনেক হিন্দু রাজা জৈন ও বৌদ্ধ এলাকায় তাদের ধর্মালয় ধ্বংস করেছেন। যেমন—পারমার রাজা সুভাত বর্মণ, কাশ্মীরের রাজা শ্রীহর্ষ, রাজা শশাঙ্ক, রাজা পুষ্যমিত্রসহ অনেকে। পুরীর বৌদ্ধ মন্দির দখল করে জগন্নাথ মন্দির স্থাপনের ঘটনাও অতিরঞ্জিত কিছু নয়। এ ব্যাপারে স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দের মতে, জগন্নাথ মন্দির এক সময় বৌদ্ধ মন্দির ছিল। তাছাড়া সোমনাথ মন্দির ভাঙার মতো বর্বরোচিত নৃশংস কাজে সুলতান মাহমুদের সঙ্গে হিন্দুরাও যে জড়িয়েছিল তা একালের ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক সংগঠন আরএসএস’র অন্যতম ব্যক্তিত্ব এমএস গোলওয়ালকর স্বীকার করেছেন। আরএসএস’র ইংরেজি মুখপাত্র ‘অরগানাইজারস’-এ (১৯৫০) প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি বলেন, ‘It was the Hindu blood of our blood, flesh of our flesh, soul of our soul, who stood in the vanguard of Mahmud’s army. These are facts of history’. এসব তথ্য সামনে রেখেই ইতিহাস পাঠককে এগুতে হবে। অযথা সুলতান মাহমুদকে ধর্মান্ধ বলা যাবে না। উল্লেখ্য, সুলতান মাহমুদের সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন বিশ্রুত ইতিহাসবিদ আলবেরুুনি। তিনি তার ‘ভারততত্ত্ব’ গ্রন্থে সুলতান মাহমুদের অন্যায় আক্রমণের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। কাজেই ইতিহাস নিয়ে আর জলঘোলা নয়। মাহমুদের ভারত আক্রমণ তথা সোমনাথ মন্দির ভাঙাকে ধর্ম দিয়ে নয়, বিচার করতে হবে রাজনীতি ও ক্ষমতা ব্যবহারের পটভূমিতে। নইলে সুযোগ সন্ধানীরা এ থেকে ফায়দা তোলার অপচেষ্টা চালিয়েই যাবে।
No comments