দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন-কবে আর স্থিতিশীল হবে!
চড়া দাম দিয়ে চিনি কেনার পর ক্রেতার মুখে চিনির স্বাদ তেতো মনে হতে শুরু করেছে যেন। তেতো ভাবটা বেড়ে যায় সরকারের ব্যর্থতার কারণেও। বাজারের বেহাল অবস্থা দেখার পর স্পষ্ট হয়ে ওঠে, দাম নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের নির্দেশ মানছেন না ব্যবসায়ীরা। ক্রেতার অধিকার সংরক্ষণে দেশে আইন থাকলেও অনেক দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকার কারণে সেই আইনের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংগত কারণেই। এমন অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে যে দ্রব্যের দাম কতটা বাড়বে, তা নির্ণয় করেন ব্যবসায়ীরা।
সরকারের নির্দেশ পালন করানো যাচ্ছে না ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়েও। একদিকে জরিমানা হচ্ছে, অন্যদিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা তাঁদের নিজেদের মতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কে দায়ী এ জন্য? ক্রেতা দোষারোপ করেন খুচরা বিক্রেতাকে, খুচরা বিক্রেতা দায়ী করেন পাইকারি বিক্রেতাকে, তাঁরা আবার দায়ী করেন আমদানিকারকদের। যুক্তি দাঁড় করাতে কসুর করেন না কেউই। সবার কথা_বেশি দাম দিয়ে কিনে কি আর কম দামে বেচা যায়? অথচ মূল আমদানিকারক মুখ খুলতে নারাজ। বেশি চাপ দেওয়া হলে তিনি দোহাই দেন আন্তর্জাতিক বাজারের। সোজা কথা_আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে, তাই তাঁদেরও বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বেচতে হবে। তবে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে, তখন কিন্তু এই দেশে দাম কমে না। সাধারণ ক্রেতা জানতেও পারে না, দ্রব্যমূল্য হ্রাস পেয়েছে কোথাও।
বাজারে চিনির দামের মতো তেলের দামও সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। ১০৯ টাকা কেজি দরের তেল বাজারে ১১৫ টাকায়ও পাওয়া যায় না। এর দেখাদেখি অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে গেছে। আর এই বাড়তির কারণ কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না। বলা হয়ে থাকে, রমজান এসেছে, তাই বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। রমজান এলে কি উৎপাদন কমে যায়? কিংবা সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়ে? নাকি বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যায়? এর কোনোটাই না হওয়ার পরও রমজানের দোহাই দিয়ে বাজার দাম চড়ে যায় অস্বাভাবিকভাবে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকার নিজ উদ্যোগে জনগণের জন্য এগিয়ে আসবে_সে ব্যবস্থাও সরকারের নেই। সরকারের হাতে একটি বড় প্রতিষ্ঠান টিসিবি থাকার পরও সরকারের এই অসহায়ত্ব সত্যিই লজ্জাজনক। বল হয়ে থাকে, টিসিবিকে সরকারই দুর্বল করে রেখেছে। আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আজকে যদি কসকর কিংবা টিসিবির মতো প্রতিষ্ঠান প্রকৃত অর্থে কার্যকর থাকত, তাহলে এমন জটিল অবস্থায় সরকারের প্রচেষ্টা ফল বয়ে আনত। আর বেসরকারি ব্যবসায়ীরাও ইচ্ছামতো দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারতেন না। আজকে অতি মুনাফালোভীদের হাতে যেভাবে গোটা দেশ জিম্মি হয়ে আছে, তাতে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তা নেওয়া হলেই চরম হতাশাজনক বর্তমান অবস্থা থাকবে না। আজকের দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য টিসিবিকে শক্তিশালী করারও কোনো বিকল্প নেই।
বাজারে চিনির দামের মতো তেলের দামও সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। ১০৯ টাকা কেজি দরের তেল বাজারে ১১৫ টাকায়ও পাওয়া যায় না। এর দেখাদেখি অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে গেছে। আর এই বাড়তির কারণ কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না। বলা হয়ে থাকে, রমজান এসেছে, তাই বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। রমজান এলে কি উৎপাদন কমে যায়? কিংবা সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়ে? নাকি বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যায়? এর কোনোটাই না হওয়ার পরও রমজানের দোহাই দিয়ে বাজার দাম চড়ে যায় অস্বাভাবিকভাবে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকার নিজ উদ্যোগে জনগণের জন্য এগিয়ে আসবে_সে ব্যবস্থাও সরকারের নেই। সরকারের হাতে একটি বড় প্রতিষ্ঠান টিসিবি থাকার পরও সরকারের এই অসহায়ত্ব সত্যিই লজ্জাজনক। বল হয়ে থাকে, টিসিবিকে সরকারই দুর্বল করে রেখেছে। আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আজকে যদি কসকর কিংবা টিসিবির মতো প্রতিষ্ঠান প্রকৃত অর্থে কার্যকর থাকত, তাহলে এমন জটিল অবস্থায় সরকারের প্রচেষ্টা ফল বয়ে আনত। আর বেসরকারি ব্যবসায়ীরাও ইচ্ছামতো দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারতেন না। আজকে অতি মুনাফালোভীদের হাতে যেভাবে গোটা দেশ জিম্মি হয়ে আছে, তাতে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তা নেওয়া হলেই চরম হতাশাজনক বর্তমান অবস্থা থাকবে না। আজকের দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য টিসিবিকে শক্তিশালী করারও কোনো বিকল্প নেই।
No comments