ঝুঁকিতে মেঘনা সেতু-দ্রুত মেরামতকাজ শুরু করতে হবে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মেঘনা সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর পিলারের পাশের মাটি সরে গিয়ে পিলারের কাছে ৬৫ ফুট পর্যন্ত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রসারণশীল সংযোগের নাটবল্টু খুলে যাওয়ায় স্টিল ও রাবারের পাতগুলো কয়েক ইঞ্চি পর্যন্ত সরে গেছে। অনেক জায়গায় পাতই নেই।
ফলে ভারী যানবাহন চলাচলের সময় সেতুটি রীতিমতো কাঁপতে থাকে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত মেরামত করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের নিয়োগ করা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানও দ্রুত সেতুটি মেরামত করার পরামর্শ দিয়েছে। একটি সহযোগী পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
১৯৯১ সালে জাপান সরকারের আর্থিক সহায়তায় সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। এর আয়ু ধরা হয়েছিল ১০০ বছর। কিন্তু ২০ বছর যেতে না যেতেই সেতুটির এমন নাজুক অবস্থা হলো কেন? প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ২০০৪ সাল থেকেই পিলারের কাছের মাটি সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নাটবল্টু খুলে যাওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এর অর্থ দাঁড়ায়, দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন, এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অনুমোদনও পাওয়া গেছে, অর্থ হাতে পেলেই কাজ শুরু হবে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে এমন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর নাটবল্টু লাগানোর মতো অর্থও কি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই? তাহলে এত বড় বড় আমলা, বাঘা বাঘা পদবিধারী প্রকৌশলী এবং বিশাল বিত্তবৈভবের অধিকারী কর্মকর্তারা সেখানে বসে থেকে কী করেন? কেবল জনগণের ট্যাঙ্রে পয়সায় বিদেশভ্রমণ ও সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য কি তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে? অতীতে 'বাঙালিকে হাইকোর্ট দেখানো'র বহু ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগেও কি একই ধারা চলতে থাকবে? এর আগে বেহাল সড়ক নেটওয়ার্ক নিয়ে যখন সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়েছিল, তখনো যোগাযোগমন্ত্রী প্রায় একই উত্তর দিয়েছিলেন। খুলে যাওয়া নাটবল্টু লাগানোর ক্ষমতাও যদি তাঁর মন্ত্রণালয়ের না থাকে, তাহলে নানা প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক।
আসলে এটাকে আমাদের দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। সরকার যায়, সরকার আসে_দেশের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করার লোক পাওয়া যায় খুব কম। হাজার হাজার কোটি টাকার নতুন সেতু বানানোর দিকে খুবই আগ্রহ দেখা যায়। এমনকি কয়েক লাখ টাকার কালভার্ট নির্মাণেও যতটা আগ্রহ দেখা যায়, সেতুগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে ততটাই অনাগ্রহ দেখতে পাই। এর রহস্যটা আমাদের জানা নেই। খোদা না করুক, এভাবে থাকার ফলে নাজুক এ সেতুটি যদি ধসে পড়ে, তাহলে রাষ্ট্রের কত বড় আর্থিক ক্ষতি হবে, তা সহজেই অনুমেয়। এর চেয়েও বড় দুর্ভোগে পড়বে দেশের মানুষ ও ব্যবসা-বাণিজ্য। অথচ জোট সরকারের শেষার্ধ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বর্তমান সরকারের প্রায় তিন বছর পর্যন্ত এমন জরুরি একটি বিষয় একরকম উপেক্ষিতই থেকে গেছে। মন্দের ভালো বলা যায়, একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে সমস্যার খুঁটিনাটি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সমাধানের কিছু দিকনির্দেশনা নেওয়া হয়েছে। এখন কাজটি যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। আমরা আশা করি, দীনহীন এই মন্ত্রণালয়কে দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করা হবে এবং মন্ত্রণালয়ও তাদের কাজে কিছুটা আন্তরিকতার পরিচয় দেবে।
১৯৯১ সালে জাপান সরকারের আর্থিক সহায়তায় সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। এর আয়ু ধরা হয়েছিল ১০০ বছর। কিন্তু ২০ বছর যেতে না যেতেই সেতুটির এমন নাজুক অবস্থা হলো কেন? প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ২০০৪ সাল থেকেই পিলারের কাছের মাটি সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নাটবল্টু খুলে যাওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এর অর্থ দাঁড়ায়, দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন, এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অনুমোদনও পাওয়া গেছে, অর্থ হাতে পেলেই কাজ শুরু হবে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে এমন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর নাটবল্টু লাগানোর মতো অর্থও কি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই? তাহলে এত বড় বড় আমলা, বাঘা বাঘা পদবিধারী প্রকৌশলী এবং বিশাল বিত্তবৈভবের অধিকারী কর্মকর্তারা সেখানে বসে থেকে কী করেন? কেবল জনগণের ট্যাঙ্রে পয়সায় বিদেশভ্রমণ ও সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য কি তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে? অতীতে 'বাঙালিকে হাইকোর্ট দেখানো'র বহু ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগেও কি একই ধারা চলতে থাকবে? এর আগে বেহাল সড়ক নেটওয়ার্ক নিয়ে যখন সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়েছিল, তখনো যোগাযোগমন্ত্রী প্রায় একই উত্তর দিয়েছিলেন। খুলে যাওয়া নাটবল্টু লাগানোর ক্ষমতাও যদি তাঁর মন্ত্রণালয়ের না থাকে, তাহলে নানা প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক।
আসলে এটাকে আমাদের দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। সরকার যায়, সরকার আসে_দেশের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করার লোক পাওয়া যায় খুব কম। হাজার হাজার কোটি টাকার নতুন সেতু বানানোর দিকে খুবই আগ্রহ দেখা যায়। এমনকি কয়েক লাখ টাকার কালভার্ট নির্মাণেও যতটা আগ্রহ দেখা যায়, সেতুগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে ততটাই অনাগ্রহ দেখতে পাই। এর রহস্যটা আমাদের জানা নেই। খোদা না করুক, এভাবে থাকার ফলে নাজুক এ সেতুটি যদি ধসে পড়ে, তাহলে রাষ্ট্রের কত বড় আর্থিক ক্ষতি হবে, তা সহজেই অনুমেয়। এর চেয়েও বড় দুর্ভোগে পড়বে দেশের মানুষ ও ব্যবসা-বাণিজ্য। অথচ জোট সরকারের শেষার্ধ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বর্তমান সরকারের প্রায় তিন বছর পর্যন্ত এমন জরুরি একটি বিষয় একরকম উপেক্ষিতই থেকে গেছে। মন্দের ভালো বলা যায়, একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে সমস্যার খুঁটিনাটি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সমাধানের কিছু দিকনির্দেশনা নেওয়া হয়েছে। এখন কাজটি যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। আমরা আশা করি, দীনহীন এই মন্ত্রণালয়কে দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করা হবে এবং মন্ত্রণালয়ও তাদের কাজে কিছুটা আন্তরিকতার পরিচয় দেবে।
No comments