পবিত্র কোরআনের আলো-ইমানদার ও সমঝদার লোকদের জন্য আল্লাহর প্রকৃতিতে প্রচুর নিদর্শন রয়েছে
৯৭. ওয়া হুওয়াল্লাযী জাআলা লাকুমুন নুজুমা লিতাহতাদূ বিহা ফী যুলুমা-তিল বাররি ওয়ালবাহ্র; ক্বাদ ফাস্সালনাল আইয়াতি লিক্বাওমিই ইয়ালামূন। ৯৮. ওয়া হুওয়াল্লাযী আনশাআকুম মিন নাফছিও ওয়া-হিদাতিন ফা মুছতাক্বার্রুন ওয়া মুছতাওদা'; ক্বাদ ফাসসালনাল আইয়াতি লিক্বাওমিইঁ ইয়াফক্বাহূন।
৯৯. ওয়া হুওয়াল্লাযী আনযালা মিনাচ্ছামায়ি মা-আন ফাআখরাজনা বিহী নাবা-তা কুলি্ল শাইয়িন ফাআখরাজনা মিনহু খাদ্বিরান নুখরিজু মিনহু হাব্বাম্ মুতারা-কিবা; ওয়া মিনান্নাখলি মিন ত্বালই'হা- কি্বনওয়ানুন দানিইয়্যাতুন ওয়া জান্নাতিম্ মিন আ'না-বিওঁ ওয়ায্যাইতূনা ওয়ার্রুম্মা-না মুশতাবিহাওঁ ওয়া গাইরা মুতাশাবিহ্; উনযুরূ ইলা- ছামারিহী ইযা- আছমারা ওয়া ইয়ানয়ি'হী; ইন্না ফী যালিকুম লা-আইয়াতিল্ লিক্বাওমিই ইউমিনূন। [সূরা : আল আনয়াম, আয়াত : ৯৭-৯৯]
অনুবাদ : ৯৭. তিনি তোমাদের জন্য তারকারাজি স্থাপন করে রেখেছেন, যেন তোমরা জল-স্থলের আঁধারে পথের দিশা লাভ করতে পারো। যারা জানে তাদের জন্য আমি আমার নিদর্শনগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি।
৯৮. তিনি তোমাদের একটিমাত্র ব্যক্তিসত্তা থেকে সৃষ্টি করেছেন। এরপর ব্যবস্থা করলেন তোমাদের বসবাসের এবং সম্পদরাজি জড়ো করার। জ্ঞানী লোকদের জন্য এভাবেই আমি আমার নিদর্শনগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে থাকি।
৯৯. তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টির পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর সে পানি দিয়ে সব ধরনের উদ্ভিদ জন্মানোর ব্যবস্থা করি। সেই উদ্ভিদ থেকে সবুজ পাতা উদ্গত করি, পরে এগুলো থেকে পরস্পর জড়ানো ঘন শস্যদানাও সৃষ্টি করি। ফলের ভারে নুয়ে পড়া খেজুরের গোছা বের করে আনি, আঙুরের বাগান, জলপাই ও আনারের বাগান_এগুলো একটার সঙ্গে অন্যটার সাদৃশ্য থাকে। আবার ভিন্ন রকমও থাকে। তোমরা এ ফলগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখো, যখন গাছগুলো ফলে ফলে সুশোভিত হয় এবং ফলগুলো পাকতে শুরু করে। অবশ্যই এসবের মধ্যে ইমানদার লোকদের জন্য বহু নিদর্শন রয়েছে।
ব্যাখ্যা : প্রাচীনকালে মহাবিশ্বের তারকারাজি ও ছায়াপথ আসলে কী ও কেমন, সে সম্পর্কে মানুষের তেমন কোনো ধারণা ছিল না। মানুষ এগুলোকে ছোট ছোট তারকা হিসেবেই দেখত। কোরআনের মাধ্যমে মহাবিশ্বের প্রকৃত অবস্থা এবং এর সৃষ্টিরহস্য মানুষকে অবগত করানো আল্লাহর উদ্দেশ্য নয়। আল্লাহর উদ্দেশ্য মানুষকে জীবনের সঠিক পথ দেখানো। মহাবিশ্ব ও এর প্রকৃতির অপার রহস্যের কিছু অংশ আবিষ্কার করা মানুষের কাজ। আধুনিককালে মানুষ নিজেদের সাধনা ও গবেষণার মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে অনেকখানি অগ্রসর হয়েছে। মানুষ এখন মহাবিশ্বের অপার রহস্যের অনেক কিছু জানতে পেরেছে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কোরআন মজিদে মহাবিশ্বের খণ্ডিত যে বর্ণনা তুলে ধরেছেন, সেটা সমকালের মানুষের দেখার ভিত্তিতে তাদের জন্য উপদেশস্বরূপ। সে যুগে মানুষ আকাশের তারকা দেখে সাগরে ও মরুপ্রান্তরে দিক নির্ণয় ও পথের দিশা লাভ করত। এই আয়াতে বলা হয়েছে, মানুষের এই উপকারের জন্য আকাশের তারকারাজি সৃষ্টি করা হয়েছে। ৯৮ নম্বর আয়াতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সমগ্র মানবজাতিকে একটিমাত্র প্রাণ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এটা মানবজাতির সাম্য, মৈত্রী ও সম-অধিকারের প্রধানতম সূত্র। এই আয়াতে 'মুছতা কাররুন ওয়া মুছতাওদায়ুন' শব্দদ্বয়ের কিছুটা ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাফসিরকারীরা। কোনো কোনো তাফসিরকারী শব্দ দুটির অর্থ মাতৃগর্ভ ও পিতৃঔরশ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন; আবার কোনো কোনো তাফসিরকারের মতে, এর অর্থ বাসস্থানের সংস্থান ও সম্পদ জড়ো করার প্রক্রিয়া। ৯৯ নম্বর আয়াতে রয়েছে অনুপম প্রকৃতি কিভাবে ফল ও ফসল দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে তার বিবরণ।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ৯৭. তিনি তোমাদের জন্য তারকারাজি স্থাপন করে রেখেছেন, যেন তোমরা জল-স্থলের আঁধারে পথের দিশা লাভ করতে পারো। যারা জানে তাদের জন্য আমি আমার নিদর্শনগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি।
৯৮. তিনি তোমাদের একটিমাত্র ব্যক্তিসত্তা থেকে সৃষ্টি করেছেন। এরপর ব্যবস্থা করলেন তোমাদের বসবাসের এবং সম্পদরাজি জড়ো করার। জ্ঞানী লোকদের জন্য এভাবেই আমি আমার নিদর্শনগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে থাকি।
৯৯. তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টির পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর সে পানি দিয়ে সব ধরনের উদ্ভিদ জন্মানোর ব্যবস্থা করি। সেই উদ্ভিদ থেকে সবুজ পাতা উদ্গত করি, পরে এগুলো থেকে পরস্পর জড়ানো ঘন শস্যদানাও সৃষ্টি করি। ফলের ভারে নুয়ে পড়া খেজুরের গোছা বের করে আনি, আঙুরের বাগান, জলপাই ও আনারের বাগান_এগুলো একটার সঙ্গে অন্যটার সাদৃশ্য থাকে। আবার ভিন্ন রকমও থাকে। তোমরা এ ফলগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখো, যখন গাছগুলো ফলে ফলে সুশোভিত হয় এবং ফলগুলো পাকতে শুরু করে। অবশ্যই এসবের মধ্যে ইমানদার লোকদের জন্য বহু নিদর্শন রয়েছে।
ব্যাখ্যা : প্রাচীনকালে মহাবিশ্বের তারকারাজি ও ছায়াপথ আসলে কী ও কেমন, সে সম্পর্কে মানুষের তেমন কোনো ধারণা ছিল না। মানুষ এগুলোকে ছোট ছোট তারকা হিসেবেই দেখত। কোরআনের মাধ্যমে মহাবিশ্বের প্রকৃত অবস্থা এবং এর সৃষ্টিরহস্য মানুষকে অবগত করানো আল্লাহর উদ্দেশ্য নয়। আল্লাহর উদ্দেশ্য মানুষকে জীবনের সঠিক পথ দেখানো। মহাবিশ্ব ও এর প্রকৃতির অপার রহস্যের কিছু অংশ আবিষ্কার করা মানুষের কাজ। আধুনিককালে মানুষ নিজেদের সাধনা ও গবেষণার মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে অনেকখানি অগ্রসর হয়েছে। মানুষ এখন মহাবিশ্বের অপার রহস্যের অনেক কিছু জানতে পেরেছে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কোরআন মজিদে মহাবিশ্বের খণ্ডিত যে বর্ণনা তুলে ধরেছেন, সেটা সমকালের মানুষের দেখার ভিত্তিতে তাদের জন্য উপদেশস্বরূপ। সে যুগে মানুষ আকাশের তারকা দেখে সাগরে ও মরুপ্রান্তরে দিক নির্ণয় ও পথের দিশা লাভ করত। এই আয়াতে বলা হয়েছে, মানুষের এই উপকারের জন্য আকাশের তারকারাজি সৃষ্টি করা হয়েছে। ৯৮ নম্বর আয়াতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সমগ্র মানবজাতিকে একটিমাত্র প্রাণ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এটা মানবজাতির সাম্য, মৈত্রী ও সম-অধিকারের প্রধানতম সূত্র। এই আয়াতে 'মুছতা কাররুন ওয়া মুছতাওদায়ুন' শব্দদ্বয়ের কিছুটা ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাফসিরকারীরা। কোনো কোনো তাফসিরকারী শব্দ দুটির অর্থ মাতৃগর্ভ ও পিতৃঔরশ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন; আবার কোনো কোনো তাফসিরকারের মতে, এর অর্থ বাসস্থানের সংস্থান ও সম্পদ জড়ো করার প্রক্রিয়া। ৯৯ নম্বর আয়াতে রয়েছে অনুপম প্রকৃতি কিভাবে ফল ও ফসল দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে তার বিবরণ।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments