ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ৬০ ভাগ শিশুশ্রমিক হাতে আঘাত পায় by সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
ঝুঁকিপূর্ণ
কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার শিশুশ্রমিকদের প্রায় ৬০ ভাগই হাতে আঘাত
পায়। তারা মারাত্মকভাবে আহত হয়। এ ধরণের কাজ করতে গিয়ে শিশুদের কেউ কেউ
চোখে, মাথায় এমনকি তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়েও যায়।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ মাইনউদ্দিন মোল্লার এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা শহরে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকদের কর্ম ও জীবন সম্পর্কিত তথ্যাদি অনুসন্ধান করতে গিয়ে এ গবেষণায় তিনি এসব তথ্য পেয়েছেন। ঢাকা শহরকেন্দ্রিক এ সামাজিক জরিপে দেখা গেছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে ৫২.২৬ শতাংশ পায়ে আঘাত পেয়ে বা ভেঙে গেছে। ৩২.৪৬ শতাংশ চোখে আঘাত লাগে। ৩১.৫৮ শতাংশ মাথায় আঘাত পায়। অপর দিকে ২২.৮১ শতাংশ ঘাড়ে আঘাত পেয়েছে। ২০.১৮ শতাংশ আগুনে পুরো শরীর বা শরীরের অংশবিশেষ পুড়েছে এবং ১৪.০৪ শতাংশ বুকে আঘাত পেয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকদের গড় বয়স ১৪.০৭ বছর। এসব ঝঁকিপূর্ণ কাজগুলো হচ্ছে ওয়েল্ডিং, ট্যানারি, পরিবহন (মিনিবাস ও টেম্পো হেলপার) ও বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক ফ্যাক্টরির কাজ।
অধ্যাপক মোল্লার গবেষণায় দেখা গেছে সর্বাধিক সংখ্যক (৪৪.১৭ শতাংশ) শিশুশ্রমিকের বয়স ১৪-১৬ বছরের মধ্যে। সবচেয়ে কমসংখ্যক (৫ শতাংশ) শিশুশ্রমিকের বয়স ৮-১০ বছরের মধ্যে। অপর দিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকদের মধ্যে বেশির ভাগই (৭১.৬৭ শতাংশ) গ্রাম বা অন্য শহর থেকে ঢাকায় এসেছে। আরো দেখা গেছে দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার শিকার শিশুশ্রমিকদের মধ্যে ৮৭.৭২ শতাংশ চিকিৎসার সুযোগ গ্রহণ করলেও ১২.২৮ শতাংশ কোনো ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করেনি।
দেশের মধ্যে শিশুশ্রমের এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে। শিশু অধিকার সুরক্ষা ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম সংস্থা (আইএলও) ২০০২ সাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতি বছর দিবসটি পালন করে আসছে। এবারের স্লোগান হচ্ছে ‘চিলড্রেন শুড নট ওয়ার্ক ইন ফিল্ড, বাপ অন ড্রিমস।’
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায় সারা বিশ্বে প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিশুশ্রম বিক্রি করে দিনাতিপাত করছে। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি শিশু নানা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। বাংলাদেশে ‘জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ-২০১৩’ এর জরিপে দেখা গেছে প্রায় ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু কোনো না কোনো শ্রমে নিয়োজিত। এদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ধারণা করা হচ্ছে ১২ লাখ ৮০ হাজার। শিশুশ্রম নিরসনে সরকার ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম নির্ধারণ করে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধের অঙ্গীকার করেছে।
দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ২০১১ সালে সরকারি এক জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৭৯ লাখ। অপর দিকে জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০১৩-এ দেশে প্রায় ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে শ্রমে নিয়োজিত।
২০১৩ সালের শ্রমজরিপে দেখা যায় ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের কর্মজীবী শিশুর সংখ্যা প্রায় ৭৫ লাখ। বিবিএসের প্রকাশিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, শিশুশ্রমের সাথে জড়িত ১৭ লাখ শিশু। এর মধ্যে ১২ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ মাইনউদ্দিন মোল্লার এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা শহরে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকদের কর্ম ও জীবন সম্পর্কিত তথ্যাদি অনুসন্ধান করতে গিয়ে এ গবেষণায় তিনি এসব তথ্য পেয়েছেন। ঢাকা শহরকেন্দ্রিক এ সামাজিক জরিপে দেখা গেছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে ৫২.২৬ শতাংশ পায়ে আঘাত পেয়ে বা ভেঙে গেছে। ৩২.৪৬ শতাংশ চোখে আঘাত লাগে। ৩১.৫৮ শতাংশ মাথায় আঘাত পায়। অপর দিকে ২২.৮১ শতাংশ ঘাড়ে আঘাত পেয়েছে। ২০.১৮ শতাংশ আগুনে পুরো শরীর বা শরীরের অংশবিশেষ পুড়েছে এবং ১৪.০৪ শতাংশ বুকে আঘাত পেয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকদের গড় বয়স ১৪.০৭ বছর। এসব ঝঁকিপূর্ণ কাজগুলো হচ্ছে ওয়েল্ডিং, ট্যানারি, পরিবহন (মিনিবাস ও টেম্পো হেলপার) ও বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক ফ্যাক্টরির কাজ।
অধ্যাপক মোল্লার গবেষণায় দেখা গেছে সর্বাধিক সংখ্যক (৪৪.১৭ শতাংশ) শিশুশ্রমিকের বয়স ১৪-১৬ বছরের মধ্যে। সবচেয়ে কমসংখ্যক (৫ শতাংশ) শিশুশ্রমিকের বয়স ৮-১০ বছরের মধ্যে। অপর দিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকদের মধ্যে বেশির ভাগই (৭১.৬৭ শতাংশ) গ্রাম বা অন্য শহর থেকে ঢাকায় এসেছে। আরো দেখা গেছে দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার শিকার শিশুশ্রমিকদের মধ্যে ৮৭.৭২ শতাংশ চিকিৎসার সুযোগ গ্রহণ করলেও ১২.২৮ শতাংশ কোনো ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করেনি।
দেশের মধ্যে শিশুশ্রমের এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে। শিশু অধিকার সুরক্ষা ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম সংস্থা (আইএলও) ২০০২ সাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতি বছর দিবসটি পালন করে আসছে। এবারের স্লোগান হচ্ছে ‘চিলড্রেন শুড নট ওয়ার্ক ইন ফিল্ড, বাপ অন ড্রিমস।’
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায় সারা বিশ্বে প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিশুশ্রম বিক্রি করে দিনাতিপাত করছে। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি শিশু নানা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। বাংলাদেশে ‘জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ-২০১৩’ এর জরিপে দেখা গেছে প্রায় ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু কোনো না কোনো শ্রমে নিয়োজিত। এদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ধারণা করা হচ্ছে ১২ লাখ ৮০ হাজার। শিশুশ্রম নিরসনে সরকার ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম নির্ধারণ করে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধের অঙ্গীকার করেছে।
দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ২০১১ সালে সরকারি এক জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৭৯ লাখ। অপর দিকে জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০১৩-এ দেশে প্রায় ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে শ্রমে নিয়োজিত।
২০১৩ সালের শ্রমজরিপে দেখা যায় ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের কর্মজীবী শিশুর সংখ্যা প্রায় ৭৫ লাখ। বিবিএসের প্রকাশিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, শিশুশ্রমের সাথে জড়িত ১৭ লাখ শিশু। এর মধ্যে ১২ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে।
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ৬০ ভাগ শিশুশ্রমিক হাতে আঘাত পায় |
No comments