এপস্টেইন যেভাবে ধর্ষণ করে আমাকে
যৌন
নিপীড়ক জেফ্রে এপস্টেইনের হাতে কিভাবে টিনেজ বয়সে ধর্ষিত হয়েছিলেন, যৌন
নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন এবার নিজের মুখে তার বর্ণনা দিলেন বৃটিশ অভিনেত্রী
ও প্লেবয় ম্যাগাজিনের সাবেক মডেল আনুশকা ডি জর্জিউ। সম্প্রতি যৌন নিপীড়নের
দায়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে এপস্টেইন। একটি জেলে থাকা অবস্থায় মারা
গেছে সে। কোটি কোটি টাকার মালিক এই ব্যক্তি কিশোরীদের তার টার্গেটে পরিণত
করতো। তাদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে
ধর্ষণ করতো। তারই সঙ্গে আনুশকা ডি জর্জিউর সাক্ষাত হয় ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের
মাধ্যমে। তখন লন্ডনে অবস্থান করছিল এপস্টেইন। পরিচয়ের পর আনুশকার সঙ্গে
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে সে। তাকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে থাকে।
নিউ ইয়র্ক, প্যারিস এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে তার বাড়িতে নিয়ে যায় তাকে।
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের তার বাড়িটিকে স্থানীয়রা ‘অরগি আইল্যান্ড’ হিসেবে
আখ্যায়িত করেন। এনবিসি টেলিভিশনের ডেটলাইন ফ্রাইডে অনুষ্ঠানে এক
সাক্ষাতকারে এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন আনুশকা ডি জর্জিউ। তিনি
বলেছেন, এপস্টেইন কিভাবে কাউকে পটাতো তা বোঝা যেতো না। কিন্তু সে এক
পর্যায়ে ‘গ্রাস’ করতো। আমাকে যখন সে ধর্ষণ করেছে তখন অনেকটা দেরি হয়ে গেছে।
যেখানেই আমাকে ধর্ষণ করতো সেখানেই অন্যরা যেন তা মেনে নিতো। তারা এমন আচরণ
করতো যে, মনে হতো এটাই স্বাভাবিক। এমনি করে আমাকে অনেক বছর ধর্ষণ করেছে,
যৌন নির্যাতন করেছে এপস্টেইন। আর তার চারপাশে যারা থাকতো তারা সবাই চোখ
বন্ধ করে রাখতো।
আনুশকা ডি জর্জিউ বলেন, যদি আপনি একজন তরুণী হন এবং কারো বাসায় বা দ্বীপে তার বাড়িতে যান, সেখানে যারা উপস্থিত আছেন তারা যদি এমন ভাব দেখান যে এসব ঠিক আছে, তবে সেখানে আপনি একা। শুধু আপনিই ভাববেন উদ্ভট ঘটনা ঘটছে। সেখানে কোনো কথা বলা খুবই কঠিন। একজন টিনেজার হিসেবে সে আমাকে যখন যৌন নির্যাতন করতো তখন তার দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো অপরাধ বোধ কাজ করতো না। আমাকে দেখেই তার শরীরের মধ্যে ঝাঁকুনি দিয়ে উঠতো। আমাকে কাছে পেতে উদগ্রিব হয়ে পড়তো। বিষয়টি আমার স্নায়ুকে ঠান্ডা করে দিতো। এসব করতে সে একজন কিশোরীরি দুর্বল স্থানগুলো বেছে নিতো। সে কোনদিক থেকে অনিরাপদ, ঝুঁকিতে সেগুলোতে টার্গেট করতো। আমি এমনই অবস্থায় নিজেকে কোনোমতে মানিয়ে নিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম আমি লড়াই করতে পারবো।
এপস্টেইনের যৌন নির্যাতন প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে আনুশকা ডি জর্জিউকে। তিনি দেখেছেন এপস্টেইনের ক্যারিবিয়ান দ্বীপের বাড়িতে আরো স্বর্ণালী চুলের কিশোরীদের। এমনি একজন বালিকা আনুশকা ডি জর্জিউয়ের চেয়ে কয়েক বছরের ছোট। তাকে দেখে কিছু বলতে চেয়েছিলেন আনুশকা ডি জর্জিউ। তার ভাষায়, তখন আমি ছিলাম সমুদ্রের মাঝে। আর ওই কিশোরী ছিলেন একটি প্যাডেলবোর্ডে। তাকে বলতে চেয়েছিলাম, তুমি পালাও। কিন্তু পারিনি।
বর্তমানে দ্য কিনটসুগি ফাউন্ডেশনে কাজ করেন আনুশকা ডি জর্জিউ। এটি মানসিক ক্ষত বা কোনো আসক্তিতে আক্রান্তদের সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান।
আনুশকা ডি জর্জিউ বলেন, যদি আপনি একজন তরুণী হন এবং কারো বাসায় বা দ্বীপে তার বাড়িতে যান, সেখানে যারা উপস্থিত আছেন তারা যদি এমন ভাব দেখান যে এসব ঠিক আছে, তবে সেখানে আপনি একা। শুধু আপনিই ভাববেন উদ্ভট ঘটনা ঘটছে। সেখানে কোনো কথা বলা খুবই কঠিন। একজন টিনেজার হিসেবে সে আমাকে যখন যৌন নির্যাতন করতো তখন তার দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো অপরাধ বোধ কাজ করতো না। আমাকে দেখেই তার শরীরের মধ্যে ঝাঁকুনি দিয়ে উঠতো। আমাকে কাছে পেতে উদগ্রিব হয়ে পড়তো। বিষয়টি আমার স্নায়ুকে ঠান্ডা করে দিতো। এসব করতে সে একজন কিশোরীরি দুর্বল স্থানগুলো বেছে নিতো। সে কোনদিক থেকে অনিরাপদ, ঝুঁকিতে সেগুলোতে টার্গেট করতো। আমি এমনই অবস্থায় নিজেকে কোনোমতে মানিয়ে নিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম আমি লড়াই করতে পারবো।
এপস্টেইনের যৌন নির্যাতন প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে আনুশকা ডি জর্জিউকে। তিনি দেখেছেন এপস্টেইনের ক্যারিবিয়ান দ্বীপের বাড়িতে আরো স্বর্ণালী চুলের কিশোরীদের। এমনি একজন বালিকা আনুশকা ডি জর্জিউয়ের চেয়ে কয়েক বছরের ছোট। তাকে দেখে কিছু বলতে চেয়েছিলেন আনুশকা ডি জর্জিউ। তার ভাষায়, তখন আমি ছিলাম সমুদ্রের মাঝে। আর ওই কিশোরী ছিলেন একটি প্যাডেলবোর্ডে। তাকে বলতে চেয়েছিলাম, তুমি পালাও। কিন্তু পারিনি।
বর্তমানে দ্য কিনটসুগি ফাউন্ডেশনে কাজ করেন আনুশকা ডি জর্জিউ। এটি মানসিক ক্ষত বা কোনো আসক্তিতে আক্রান্তদের সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান।
No comments