‘আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবেন না’ -প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য প্রশ্নের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট
দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গ আসে। প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট দলের
পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন, অযথা সমালোচনা করতে বারণ করেন...
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দশ দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত হয়েছে অষ্টম। এ নিয়েই সমর্থকদের মধ্যে হতাশা। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্লাসের ভরাট অংশের দিকেই তাকাতে বলছেন। বাংলাদেশ দল সেমিফাইনালে যেতে না পারলেও সামগ্রিক পারফরম্যান্সে তিনি খুশি।
চীন সফর নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে অন্যান্য প্রশ্নের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গও আসে। প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট ভালোবাসেন। ক্রিকেট দলের খোঁজ নিয়মিত রাখেন বলেই এক সাংবাদিক প্রসঙ্গটা তোলেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি কিন্তু খেলা দেখেছি। অনেক রাত পর্যন্ত। অফিশিয়াল কাজ যেমন করেছি, খেলাও দেখেছি। হয়তো একবার দেখতে পেরেছি, একবার পারিনি। যতটুকু সময় পেয়েছি, খেলা দেখেছি। আমি তো আমাদের ছেলেদের ধন্যবাদ জানাব, তারা যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়েছে। তাদের মধ্যে আলাদা আত্মবিশ্বাস কিন্তু এসেছে। ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো করেছে, ব্যক্তিগত অর্জনের পাশাপাশি দলীয় অর্জনও আছে, ‘আমরা যে এত দূর যেতে পেরেছি, এটা অনেক বড় ব্যাপার। আমাদের কিছু খেলোয়াড়, সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এরা বিশ্বে একটা স্থান করে নিয়েছে। আমি দোষ দেব না। খেলা এমন একটা জিনিস, অনেক সময় কিন্তু ভাগ্যও লাগে। সব সময় যে সবকিছু ঠিকমতো হবে, একই রকম হবে, সেটা নয়। ক্রিকেটাররা সাহসী মনোভাব নিয়ে মোকাবিলা করতে পেরেছে, আমি এটার প্রশংসা করি।’
সেমিফাইনালে শুধু চারটি দল খেলতে পারে, এই বাস্তবতা বোঝার আহ্বান ছিল প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে, ‘এতগুলো দেশ খেলেছে। এর মধ্যে চারটা দেশ মাত্র সেমিফাইনালে উঠেছে। তাহলে কি আপনারা বলবেন বাকিরা সবাই খুব খারাপ খেলেছে? আমরা নিজেরাই নিজেদের ছোট করেন কেন? নিজেদের এত খারাপ বলি কেন? বরং আপনারা এটা বলেন, যে একেকজন জাঁদরেল জাঁদরেল খেলোয়াড়, দীর্ঘদিন যারা খেলে খেলে অভ্যস্ত, তাদের সঙ্গে মোকাবিলা করে আমাদের ছেলেরা খেলতে পেরেছে। তাদের খেলায় আত্মবিশ্বাসের কোনো অভাব তো আমি দেখি না।’
তাঁর প্রথম সরকারের সময় বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফি জিতেছিল, বিশ্বকাপে গিয়েছিল, সেসবও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী, ‘আরও একটা জিনিস খেয়াল করেন। আসলে খেলোয়াড় হিসেবে আসছে কারা, আপনি খেলোয়াড় পাচ্ছেন কোত্থেকে, কত জন পাচ্ছেন। প্রথম যখন সরকারে ছিলাম, আমাদের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্রীড়া মন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই আমাদের মনোযোগ ছিল, আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যেন বিভিন্ন খেলাধুলায় মনোযোগী হয়। সেই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। ছোট থেকে অভ্যস্ত করে করে, অনুশীলন করে করে, তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগানো হয়েছে। তাদের তৈরি করা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ কিন্তু ভালো করছে। এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের প্রতি আবেগটাও প্রকাশ পেয়ে যায়, ‘এখানে দোষ দেওয়ার কিছু নাই। দোষ যদি দিতেই হয়, ওই চারটি দল (যারা সেমিফাইনালে গেছে) বাদ দিয়ে বাকি সব দলকেই দোষ দেন। খালি বাংলাদেশকে দোষ দেবেন না। আমি আমার ছেলেদের কখনো নিরুৎসাহিত করি না। আমি বরং ফোন করে ওদের বলি, খেলো তোমরা, তোমরা ভালো খেলেছ। ৩৮১ রান তাড়া করে (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) বাংলাদেশ ৩৩৩ রান করল। আপনারা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে আপনারা খারাপ বলবেন কীভাবে? আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবেন না।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দশ দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত হয়েছে অষ্টম। এ নিয়েই সমর্থকদের মধ্যে হতাশা। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্লাসের ভরাট অংশের দিকেই তাকাতে বলছেন। বাংলাদেশ দল সেমিফাইনালে যেতে না পারলেও সামগ্রিক পারফরম্যান্সে তিনি খুশি।
চীন সফর নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে অন্যান্য প্রশ্নের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গও আসে। প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট ভালোবাসেন। ক্রিকেট দলের খোঁজ নিয়মিত রাখেন বলেই এক সাংবাদিক প্রসঙ্গটা তোলেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি কিন্তু খেলা দেখেছি। অনেক রাত পর্যন্ত। অফিশিয়াল কাজ যেমন করেছি, খেলাও দেখেছি। হয়তো একবার দেখতে পেরেছি, একবার পারিনি। যতটুকু সময় পেয়েছি, খেলা দেখেছি। আমি তো আমাদের ছেলেদের ধন্যবাদ জানাব, তারা যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়েছে। তাদের মধ্যে আলাদা আত্মবিশ্বাস কিন্তু এসেছে। ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো করেছে, ব্যক্তিগত অর্জনের পাশাপাশি দলীয় অর্জনও আছে, ‘আমরা যে এত দূর যেতে পেরেছি, এটা অনেক বড় ব্যাপার। আমাদের কিছু খেলোয়াড়, সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এরা বিশ্বে একটা স্থান করে নিয়েছে। আমি দোষ দেব না। খেলা এমন একটা জিনিস, অনেক সময় কিন্তু ভাগ্যও লাগে। সব সময় যে সবকিছু ঠিকমতো হবে, একই রকম হবে, সেটা নয়। ক্রিকেটাররা সাহসী মনোভাব নিয়ে মোকাবিলা করতে পেরেছে, আমি এটার প্রশংসা করি।’
সেমিফাইনালে শুধু চারটি দল খেলতে পারে, এই বাস্তবতা বোঝার আহ্বান ছিল প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে, ‘এতগুলো দেশ খেলেছে। এর মধ্যে চারটা দেশ মাত্র সেমিফাইনালে উঠেছে। তাহলে কি আপনারা বলবেন বাকিরা সবাই খুব খারাপ খেলেছে? আমরা নিজেরাই নিজেদের ছোট করেন কেন? নিজেদের এত খারাপ বলি কেন? বরং আপনারা এটা বলেন, যে একেকজন জাঁদরেল জাঁদরেল খেলোয়াড়, দীর্ঘদিন যারা খেলে খেলে অভ্যস্ত, তাদের সঙ্গে মোকাবিলা করে আমাদের ছেলেরা খেলতে পেরেছে। তাদের খেলায় আত্মবিশ্বাসের কোনো অভাব তো আমি দেখি না।’
তাঁর প্রথম সরকারের সময় বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফি জিতেছিল, বিশ্বকাপে গিয়েছিল, সেসবও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী, ‘আরও একটা জিনিস খেয়াল করেন। আসলে খেলোয়াড় হিসেবে আসছে কারা, আপনি খেলোয়াড় পাচ্ছেন কোত্থেকে, কত জন পাচ্ছেন। প্রথম যখন সরকারে ছিলাম, আমাদের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্রীড়া মন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই আমাদের মনোযোগ ছিল, আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যেন বিভিন্ন খেলাধুলায় মনোযোগী হয়। সেই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। ছোট থেকে অভ্যস্ত করে করে, অনুশীলন করে করে, তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগানো হয়েছে। তাদের তৈরি করা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ কিন্তু ভালো করছে। এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের প্রতি আবেগটাও প্রকাশ পেয়ে যায়, ‘এখানে দোষ দেওয়ার কিছু নাই। দোষ যদি দিতেই হয়, ওই চারটি দল (যারা সেমিফাইনালে গেছে) বাদ দিয়ে বাকি সব দলকেই দোষ দেন। খালি বাংলাদেশকে দোষ দেবেন না। আমি আমার ছেলেদের কখনো নিরুৎসাহিত করি না। আমি বরং ফোন করে ওদের বলি, খেলো তোমরা, তোমরা ভালো খেলেছ। ৩৮১ রান তাড়া করে (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) বাংলাদেশ ৩৩৩ রান করল। আপনারা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে আপনারা খারাপ বলবেন কীভাবে? আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবেন না।’
বিশ্বকাপ যাত্রার আগে বাংলাদেশ দল প্রধানমন্ত্রীর শুভকামনা নিতে গিয়েছিল। ফাইল ছবি |
No comments