চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলা নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা by দীন ইসলাম
ধর্ষণ
মামলার দুর্বল তদন্তে ক্ষুব্ধ পুলিশ সদর দপ্তর। আসামি পলাতক থাকায় এবং
দ্রুত গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ না নেয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিষয়ে অসন্তোষ
প্রকাশ করা হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি পলাতক
আসামিদের ৭ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে বলা হয়। সম্প্রতি পুলিশ
সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত চাঞ্চল্যকর ১২ ধর্ষণ মামলা পর্যালোচনা সংক্রান্ত উচ্চ
পর্যায়ের সভায় এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন
থেকে ধর্ষণ মামলায় সঠিক প্রমাণ নিশ্চিত করতে তদন্ত করবে সহকারি পুলিশ সুপার
(সার্কেল) এবং তদন্তকারী কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে আদালতে দ্রুত চার্জশিট
দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ই
মে সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) এম খুরশীদ
হোসেনের সভাপতিত্বে চাঞ্চল্যকর নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা পর্যালোচনা করা
হয়। ওই সভায় বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন একটি গুরুতর প্রকৃতির অপরাধ।
এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে তদন্তের মান উন্নত করতে হবে। এ সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি (স্পেশাল ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) আলোচনার জন্য নির্ধারিত মামলাগুলোর বিষয়বস্তু ও তদন্ত সংক্রান্ত বিষয় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে ওই সভায় উত্থাপন করেন। এ সভায় চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পর্যালোচনা সভার শুরুতে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার মামলা নং-১২, তারিখ-০৭/০৪/২০১৯ নিয়ে আলোচনা হয়। এ মামলার বাদী মিনুয়ারা বেগমের অভিযোগ কমিটিকে পড়ে শোনানো হয়। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, মামলার ১ নং আসামি মো. সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে। ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়েছে এবং ডাক্তারী পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্যের পর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুই জন আসামিকে এতদিন গ্রেপ্তার করতে না পারায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ ও এজাহারভূক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সভায় কুমিল্লার হোমনা থানার মামলা নং ৫, তারিখ- ১৫/০৪/২০১৯ এর বাদিনী আছমা আক্তার তিশার এজাহার পড়ে শোনানো হয়। এ মামলায় আসামি ওমান প্রবাসী দুলাল গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্য আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় অসন্তোষ্টি প্রকাশ করা হয়। এছাড়া কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার মামলা নং ১৩, তারিখ- ১৫/০৪/২০১৯ এর বাদিনী মুন্নি আক্তারের এজাহার পড়ে শোনানো হয়। এ মামলায় আসামি মো. নবীরুল মেম্বার ও মো. শহিদ খান পাখিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সভায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার মামলা নং ১১, তারিখ- ১০/০৫/২০১৯ এর বাদিনী রানী আক্তার, একই জেলার শাহরাস্তি মডেল থানার মামলা নং ১৪, তারিখ- ১১/০৫/২০১৯ এর বাদিনী ফেরদাউস বেগম, নোয়াখালীর চরজব্বার থানার মামলা নং ১, তারিখ- ১/০৪/১৯ এর বাদী মো. শাহজাহান, একই জেলার সোনাইমুড়ি থানার মামলা নং-৯ তারিখ-১১/০৪/১৯ এর বাদী মো. আব্দুল বাকী, মামলা নং-৩৪, তারিখ- ২৮/০৪/১৯ এর বাদিনী পিয়ারা বেগম, ফেনীর সোনাগাজী থানার মামলা নং ১৬, তারিখ- ১৭/৪/১৯ এর বাদিনী মোসা. নাসিমা আক্তার, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া সদর থানায় মামলা নং ৪৯, তারিখ- ১৬/৪/১৯ এর বাদিনী শারমীন আক্তার এবং একই জেলার নাসিরনগর উপজেলার মামলা নং-০৮ তারিখ-১৪/৪/১৯ এর বাদিনী মোছা. মরিয়ম বেগমের এজাহারের সারাংশ সভায় পড়ে শোনানো হয়। এসব মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের গাফিলতির প্রমাণ পায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এজন্য মামলার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করে চার্জশিট দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি আলোচিত মামলাগুলো নিষ্পত্তির পর পুলিশ সদর দপ্তরের স্পেশাল ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট শাখাকে জানাতে বলা হয়।
এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে তদন্তের মান উন্নত করতে হবে। এ সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি (স্পেশাল ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) আলোচনার জন্য নির্ধারিত মামলাগুলোর বিষয়বস্তু ও তদন্ত সংক্রান্ত বিষয় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে ওই সভায় উত্থাপন করেন। এ সভায় চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পর্যালোচনা সভার শুরুতে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার মামলা নং-১২, তারিখ-০৭/০৪/২০১৯ নিয়ে আলোচনা হয়। এ মামলার বাদী মিনুয়ারা বেগমের অভিযোগ কমিটিকে পড়ে শোনানো হয়। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, মামলার ১ নং আসামি মো. সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে। ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়েছে এবং ডাক্তারী পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্যের পর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুই জন আসামিকে এতদিন গ্রেপ্তার করতে না পারায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ ও এজাহারভূক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সভায় কুমিল্লার হোমনা থানার মামলা নং ৫, তারিখ- ১৫/০৪/২০১৯ এর বাদিনী আছমা আক্তার তিশার এজাহার পড়ে শোনানো হয়। এ মামলায় আসামি ওমান প্রবাসী দুলাল গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্য আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় অসন্তোষ্টি প্রকাশ করা হয়। এছাড়া কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার মামলা নং ১৩, তারিখ- ১৫/০৪/২০১৯ এর বাদিনী মুন্নি আক্তারের এজাহার পড়ে শোনানো হয়। এ মামলায় আসামি মো. নবীরুল মেম্বার ও মো. শহিদ খান পাখিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সভায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার মামলা নং ১১, তারিখ- ১০/০৫/২০১৯ এর বাদিনী রানী আক্তার, একই জেলার শাহরাস্তি মডেল থানার মামলা নং ১৪, তারিখ- ১১/০৫/২০১৯ এর বাদিনী ফেরদাউস বেগম, নোয়াখালীর চরজব্বার থানার মামলা নং ১, তারিখ- ১/০৪/১৯ এর বাদী মো. শাহজাহান, একই জেলার সোনাইমুড়ি থানার মামলা নং-৯ তারিখ-১১/০৪/১৯ এর বাদী মো. আব্দুল বাকী, মামলা নং-৩৪, তারিখ- ২৮/০৪/১৯ এর বাদিনী পিয়ারা বেগম, ফেনীর সোনাগাজী থানার মামলা নং ১৬, তারিখ- ১৭/৪/১৯ এর বাদিনী মোসা. নাসিমা আক্তার, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া সদর থানায় মামলা নং ৪৯, তারিখ- ১৬/৪/১৯ এর বাদিনী শারমীন আক্তার এবং একই জেলার নাসিরনগর উপজেলার মামলা নং-০৮ তারিখ-১৪/৪/১৯ এর বাদিনী মোছা. মরিয়ম বেগমের এজাহারের সারাংশ সভায় পড়ে শোনানো হয়। এসব মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের গাফিলতির প্রমাণ পায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এজন্য মামলার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করে চার্জশিট দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি আলোচিত মামলাগুলো নিষ্পত্তির পর পুলিশ সদর দপ্তরের স্পেশাল ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট শাখাকে জানাতে বলা হয়।
No comments