দুবাই থেকে পালিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রিন্সেস হায়া, কূটনৈতিক সংকটের আশঙ্কা
উপসাগরীয়
অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ
আল মাকতৌমের ষষ্ঠ স্ত্রী প্রিন্সে হায়া বিনতে আল-হুসেইনের ব্রিটেন পাড়ি
দেওয়া নিয়ে কূটনৈতিক সংকট শুরু হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জীবনশঙ্কার
কারণে লন্ডনে পালিয়ে আছেন বলে দাবি করেছেন প্রিন্সেস হায়া। এর ফলে
দুবাইয়ের শাসকদের বিরুদ্ধে পরিবারের নারীদের প্রতি আচরণ সমালোচনার মুখে
পড়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর বৈমাত্রেয় বোন হায়া বিনতে আল হুসেন যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন। ২০০৪ সালে তিনি শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম-কে বিয়ে করে তার ষষ্ঠ এবং কনিষ্ঠতম স্ত্রী হন। এ বছরের শুরুতে জার্মানি পালিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন তিনি। সম্প্রতি ইন্সট্রাগ্রামে কবিতা পোস্ট করে কারো নাম প্রকাশ না করেই এক নারীকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দেন দুবাইর শাসক। এর পরেই যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মধ্যাঞ্চলে কেনিংসটন প্যালেস গার্ডেনে ১০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের একটি বাড়িতে হায়া বিনতে আল হুসেনের বসবাস করার খবর জানালো বিবিসি।
গত বছর এক ফরাসি নাগরিকের সহায়তায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ছেড়ে সমুদ্রপথে পালিয়ে যান দুবাইর শাসকের মেয়ে শেখ লতিফা। ভারত উপকূলে সশস্ত্র ব্যক্তিরা তাদের বহনকারী নৌযানটি আটক করে তাকে দুবাই ফিরিয়ে নিয়ে যায় বলে খবর দেয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। দুবাই কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে, তারপর থেকেই নিজ দেশেই নিরাপদে আছেন শেখ লতিফা। তবে মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শেখ লতিফাকে অপহরণ করা হয়েছে। ওই সময়ে দুবাই কর্তৃপক্ষের পক্ষে ভূমিকা রেখেছিলেন হায়া বিনতে আল হুসেন।
বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় অপহৃত হওয়ার পর ৪৫ বছরের জর্ডানের বাদশাহের বৈমাত্রেয় বোন হায়া এখন লন্ডনে আতঙ্কের মধ্যে বাস করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক তথ্যচিত্রে ৩৩ বছরের প্রিন্সেস লতিফার জীবনের পরিণতির কথা তুলে এনেছে। লতিফার পরিণতির কথা জানতে পেরেই হায়া পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রিন্সেস হায়া হয়ত কূটনৈতিক দায়মুক্তি পেতে পারেন। যদিও এবারের লন্ডন সফরে তাকে কূটনৈতিক তালিকায় রাখা হয়নি। এর আগে তাকে যুক্তরাজ্য সরকার জর্ডানের কর্মকর্তা হিসেবে নথিভুক্ত করেছিল।
২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রিন্সেস হায়া ফার্স্ট সেক্রেটারি (কালচারাল অ্যাফেয়ার্স) হিসেবে যুক্তরাজ্য সফর করেছেন। জানা গেছে, জর্ডানের দূতাবাস সম্প্রতি তাকে পুনরায় অ্যাক্রিডিয়েশন দিয়েছে। অবশ্য এই বিষয়ে দ্য গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
একটি বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তায় সেন্ট্রাল লন্ডনে কেনসিংটন প্রাসাদের কাছে একটি বাড়িতে রয়েছেন প্রিন্সেস হায়া। ২০১৭ সালে এই বাড়িটি তিনি ৮৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনেছিলেন। অপহরণের আশঙ্কায় তিনি স্থানীয় পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছেন। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য জানায়নি।
ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সঙ্গে হায়ার সম্পর্ক ভালো। রানি ও প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে প্রায়ই ছবিতে তাকে দেখা গেছে। প্রিন্সেস হায়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বিষয়টি ব্যক্তিগত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তবে জানা গেছে, দুবাইয়ের শাসক পরিবার হায়াকে ফেরত নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা চেয়ে। তবে এমন উদ্যোগের কথা অস্বীকার করা হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে।
দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, প্রিন্সেস হায়াকে নিয়ে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হতে পারে। এছাড়া আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন গত ডিসেম্বর তার দুবাই সফর প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। ওই সময় প্রিন্সেস হায়ার অনুরোধে মেরি রবিনসন দুবাই সফর করেন এবং লতিফার সঙ্গে তার বৈঠকের ছবি প্রকাশিত হয়।
জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর বৈমাত্রেয় বোন হায়া বিনতে আল হুসেন যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন। ২০০৪ সালে তিনি শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম-কে বিয়ে করে তার ষষ্ঠ এবং কনিষ্ঠতম স্ত্রী হন। এ বছরের শুরুতে জার্মানি পালিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন তিনি। সম্প্রতি ইন্সট্রাগ্রামে কবিতা পোস্ট করে কারো নাম প্রকাশ না করেই এক নারীকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দেন দুবাইর শাসক। এর পরেই যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মধ্যাঞ্চলে কেনিংসটন প্যালেস গার্ডেনে ১০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের একটি বাড়িতে হায়া বিনতে আল হুসেনের বসবাস করার খবর জানালো বিবিসি।
গত বছর এক ফরাসি নাগরিকের সহায়তায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ছেড়ে সমুদ্রপথে পালিয়ে যান দুবাইর শাসকের মেয়ে শেখ লতিফা। ভারত উপকূলে সশস্ত্র ব্যক্তিরা তাদের বহনকারী নৌযানটি আটক করে তাকে দুবাই ফিরিয়ে নিয়ে যায় বলে খবর দেয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। দুবাই কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে, তারপর থেকেই নিজ দেশেই নিরাপদে আছেন শেখ লতিফা। তবে মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শেখ লতিফাকে অপহরণ করা হয়েছে। ওই সময়ে দুবাই কর্তৃপক্ষের পক্ষে ভূমিকা রেখেছিলেন হায়া বিনতে আল হুসেন।
বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় অপহৃত হওয়ার পর ৪৫ বছরের জর্ডানের বাদশাহের বৈমাত্রেয় বোন হায়া এখন লন্ডনে আতঙ্কের মধ্যে বাস করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক তথ্যচিত্রে ৩৩ বছরের প্রিন্সেস লতিফার জীবনের পরিণতির কথা তুলে এনেছে। লতিফার পরিণতির কথা জানতে পেরেই হায়া পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রিন্সেস হায়া হয়ত কূটনৈতিক দায়মুক্তি পেতে পারেন। যদিও এবারের লন্ডন সফরে তাকে কূটনৈতিক তালিকায় রাখা হয়নি। এর আগে তাকে যুক্তরাজ্য সরকার জর্ডানের কর্মকর্তা হিসেবে নথিভুক্ত করেছিল।
২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রিন্সেস হায়া ফার্স্ট সেক্রেটারি (কালচারাল অ্যাফেয়ার্স) হিসেবে যুক্তরাজ্য সফর করেছেন। জানা গেছে, জর্ডানের দূতাবাস সম্প্রতি তাকে পুনরায় অ্যাক্রিডিয়েশন দিয়েছে। অবশ্য এই বিষয়ে দ্য গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
একটি বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তায় সেন্ট্রাল লন্ডনে কেনসিংটন প্রাসাদের কাছে একটি বাড়িতে রয়েছেন প্রিন্সেস হায়া। ২০১৭ সালে এই বাড়িটি তিনি ৮৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনেছিলেন। অপহরণের আশঙ্কায় তিনি স্থানীয় পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছেন। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য জানায়নি।
ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সঙ্গে হায়ার সম্পর্ক ভালো। রানি ও প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে প্রায়ই ছবিতে তাকে দেখা গেছে। প্রিন্সেস হায়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বিষয়টি ব্যক্তিগত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তবে জানা গেছে, দুবাইয়ের শাসক পরিবার হায়াকে ফেরত নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা চেয়ে। তবে এমন উদ্যোগের কথা অস্বীকার করা হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে।
দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, প্রিন্সেস হায়াকে নিয়ে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হতে পারে। এছাড়া আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন গত ডিসেম্বর তার দুবাই সফর প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। ওই সময় প্রিন্সেস হায়ার অনুরোধে মেরি রবিনসন দুবাই সফর করেন এবং লতিফার সঙ্গে তার বৈঠকের ছবি প্রকাশিত হয়।
No comments