নিউইয়র্কে প্রতারণার জাল, ঠকছে মানুষ by মনজুরুল হক
নিউইয়র্কে
প্রতারণার মাধ্যমে কৌশলে বেশ কয়েকটি প্রতারক চক্র অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে
অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বল্প সময়ে বিত্তশালী হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে আর ভালো
চাকরি দেওয়ার নাম করে এসব চক্র অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা বলছেন। এ
পরিস্থিতিতে প্রতারক চক্র থেকে সবাইকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন
কমিউনিটি নেতারা।
রিয়েল এস্টেট বা আবাসন ব্যবসার মাধ্যমে দ্রুত বেশি অর্থ উপার্জনের উপায় বাতলে দিতে একটি রিয়েল স্টেট কোম্পানি গত ২৯ জুন নিউইয়র্ক নগরের লাগার্ডিয়া হোটেলে ফ্রি ক্লাসের আয়োজন করে। এই ক্লাসে যোগ দিতে কোম্পানিটি সামাজিক মাধ্যমে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করে। বিজ্ঞাপনটি দেখে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ওই হোটেলে ক্লাসে অংশ নিতে যান। দুই ঘণ্টার ক্লাসে কীভাবে বাড়ি কিনতে হয়, কীভাবে বিক্রি করতে হয়, কীভাবে লোন পাওয়া যায়, অকশান বা নিলামে বাড়ি কেনার নিয়ম এবং বাড়ি মেরামতের মালামাল কেনাসহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ে একটি ভিড়িও বার্তা প্রদর্শন করেন। তাদের কোম্পানির মাধ্যমে ব্যবসা
করলে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় দ্রুত সফল ও লাভবান হওয়া যাবে—ভিড়িও বার্তায় সেই বিষয়টি কৌশলে ফুটিয়ে তোলা হয়।
দুই ঘণ্টা ক্লাসের কথা বললেও রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানটি এক ঘণ্টায় ক্লাস শেষ করেন। ভিডিও বার্তার শেষ অংশে ছিল দ্রুত ব্যবসা প্রসার করতে হলে অথবা স্বল্প দামে বাড়ি ক্রয় বা লোন পাওয়ার কৌশল ও নিয়মকানুন জানতে হলে তাদের মাধ্যমে তিন দিনের ক্লাস করতে হবে। এই ক্লাসের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানকে ৫০১ ডলার দিতে হবে।
জানা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ নিউইয়র্কের অন্যান্য কমিউনিটির প্রায় ক্লাসে শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন, তাদের বেশির ভাগই তিন দিনের ক্লাসের জন্য ৫০১ ডলার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করেন। বাকিরা যখন ফরম পূরণ না করে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন আয়োজক কমিটির লোকজন তাদের পথ রোধ করেন। কেন রেজিস্ট্রেশন করতে অনাগ্রহী জানতে চান তারা। ক্লাসে অংশ নেওয়া এসব ব্যক্তি চিন্তা–ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানালে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে অনেকেই তাদের আচরণের প্রতিবাদ করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
জ্যামাইকা এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী সোহেল বলেন, ঘণ্টায় ৩৫ ডলারে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাঁকে একটি প্রতিষ্ঠানের অফিসে নিয়ে যায় একটি চক্র। সোহেল সেখানে গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা ইন্টারভিউ নেবেন বলে তাঁকে একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে বলা হয়, চাকরিতে তাঁকে কাজটি করতে, তাতে তার দক্ষতা কম আছে বলে জানান কর্মকর্তারা। করণীয় হিসেবে তাঁকে একটি ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ করার কথা বলেন তাঁরা। ট্রেনিং বাবদ তাকে এক হাজার ডলার দিতে হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির লোকজন বলেন। পরে সোহেল এক হাজার ডলার দিয়ে ট্রেনিং করলেও চাকরি পাননি।
২ জুলাই আলমগীর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটে একজন স্প্যানিশ অভিবাসীর কাছ থেকে নতুন আইফোন–১০ ম্যাকস অল্প দাম তথা ৪০০ ডলার দিয়ে কেনেন। বাসায় গিয়ে আইফোনটি চালু করার দুই ঘণ্টা পর তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে অনেক চেষ্টা করেও আইফোনটি চালু করা সম্ভব হয়।
প্রতারণা প্রসঙ্গে কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মাকসুদ চৌধুরী জানান, দেশ থেকে অনেক সহজ–সরল মানুষ আমেরিকায় এসেছেন। তারা অনেক কষ্ট করে অর্থ আয় করছেন। তাদের উচিত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে হওয়া, যাতে করে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা শূন্যর কোটায় থাকে।
রিয়েল এস্টেট বা আবাসন ব্যবসার মাধ্যমে দ্রুত বেশি অর্থ উপার্জনের উপায় বাতলে দিতে একটি রিয়েল স্টেট কোম্পানি গত ২৯ জুন নিউইয়র্ক নগরের লাগার্ডিয়া হোটেলে ফ্রি ক্লাসের আয়োজন করে। এই ক্লাসে যোগ দিতে কোম্পানিটি সামাজিক মাধ্যমে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করে। বিজ্ঞাপনটি দেখে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ওই হোটেলে ক্লাসে অংশ নিতে যান। দুই ঘণ্টার ক্লাসে কীভাবে বাড়ি কিনতে হয়, কীভাবে বিক্রি করতে হয়, কীভাবে লোন পাওয়া যায়, অকশান বা নিলামে বাড়ি কেনার নিয়ম এবং বাড়ি মেরামতের মালামাল কেনাসহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ে একটি ভিড়িও বার্তা প্রদর্শন করেন। তাদের কোম্পানির মাধ্যমে ব্যবসা
করলে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় দ্রুত সফল ও লাভবান হওয়া যাবে—ভিড়িও বার্তায় সেই বিষয়টি কৌশলে ফুটিয়ে তোলা হয়।
দুই ঘণ্টা ক্লাসের কথা বললেও রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানটি এক ঘণ্টায় ক্লাস শেষ করেন। ভিডিও বার্তার শেষ অংশে ছিল দ্রুত ব্যবসা প্রসার করতে হলে অথবা স্বল্প দামে বাড়ি ক্রয় বা লোন পাওয়ার কৌশল ও নিয়মকানুন জানতে হলে তাদের মাধ্যমে তিন দিনের ক্লাস করতে হবে। এই ক্লাসের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানকে ৫০১ ডলার দিতে হবে।
জানা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ নিউইয়র্কের অন্যান্য কমিউনিটির প্রায় ক্লাসে শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন, তাদের বেশির ভাগই তিন দিনের ক্লাসের জন্য ৫০১ ডলার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করেন। বাকিরা যখন ফরম পূরণ না করে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন আয়োজক কমিটির লোকজন তাদের পথ রোধ করেন। কেন রেজিস্ট্রেশন করতে অনাগ্রহী জানতে চান তারা। ক্লাসে অংশ নেওয়া এসব ব্যক্তি চিন্তা–ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানালে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে অনেকেই তাদের আচরণের প্রতিবাদ করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
জ্যামাইকা এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী সোহেল বলেন, ঘণ্টায় ৩৫ ডলারে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাঁকে একটি প্রতিষ্ঠানের অফিসে নিয়ে যায় একটি চক্র। সোহেল সেখানে গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা ইন্টারভিউ নেবেন বলে তাঁকে একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে বলা হয়, চাকরিতে তাঁকে কাজটি করতে, তাতে তার দক্ষতা কম আছে বলে জানান কর্মকর্তারা। করণীয় হিসেবে তাঁকে একটি ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ করার কথা বলেন তাঁরা। ট্রেনিং বাবদ তাকে এক হাজার ডলার দিতে হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির লোকজন বলেন। পরে সোহেল এক হাজার ডলার দিয়ে ট্রেনিং করলেও চাকরি পাননি।
২ জুলাই আলমগীর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটে একজন স্প্যানিশ অভিবাসীর কাছ থেকে নতুন আইফোন–১০ ম্যাকস অল্প দাম তথা ৪০০ ডলার দিয়ে কেনেন। বাসায় গিয়ে আইফোনটি চালু করার দুই ঘণ্টা পর তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে অনেক চেষ্টা করেও আইফোনটি চালু করা সম্ভব হয়।
প্রতারণা প্রসঙ্গে কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মাকসুদ চৌধুরী জানান, দেশ থেকে অনেক সহজ–সরল মানুষ আমেরিকায় এসেছেন। তারা অনেক কষ্ট করে অর্থ আয় করছেন। তাদের উচিত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে হওয়া, যাতে করে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা শূন্যর কোটায় থাকে।
No comments