যজ্ঞ, উলঙ্গ নৃত্যের মাধ্যমে ৩ বছরের শিশুকে নরবলির আয়োজন
একুশ
শতকেও বর্বরতার চিত্র দেখা গেল ভারতের আসামের ওদালগুড়িতে। শিক্ষকের
পরিবারের তিন বছরের শিশুকে বলি দেওয়ার নৃশংস প্রস্তুতির সাক্ষী হল আসাম।
তান্ত্রিকের নির্দেশে শিশুবলির প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে হাঁড়িকাঠে সন্তানের
গলা কাটতে শান দেওয়া হচ্ছে খড়গে। তারস্বরে চলছে মন্ত্রোচ্চারণ, যজ্ঞ।
যজ্ঞের আগুনের শিখা ঘিরে চলছে পরিবারের উন্মত্ত উলঙ্গ নৃত্য। বর্বরোচিত এই
ঘটনা আটকানোর চেষ্টা করে ওদালগুড়ি জেলার গণকপাড়া গ্রামের প্রতিবেশীরা।
উল্টো তাদের দিকেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। এই উন্মত্ত তান্ডব আটকাতে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষে পুলিশের গুলিতে থামে এই নৃশংস হত্যার চেষ্টা।
ঠিক কী হয়েছিল?
জানা যাচ্ছে, আসামের ওদালগুরি জেলার গণকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তথা শিক্ষক যাদব চাহারিয়ার বাড়িতে তিন বছর আগে এক মহিলা আত্মঘাতী হন। তারপরেই ঘাঁটি গাড়েন রমেশ চাহারিয়া নামের এক তান্ত্রিক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই তিন বছরে যাদব চাহারিয়ার পুরো পরিবারকেই কার্যত সম্মোহিত করে রেখেছিল রমেশ তান্ত্রিক। এই তান্ত্রিকের মদতেই পরিবারের লোকেরা তাদের বাইক এবং গাড়িও পুড়িয়ে দেয়। শনিবার বাড়িতে এক পুজোর আসর বসানো হয়, যেখানে হাড়িকাঠ বসিয়ে যাদব চাহারিয়ার এক আত্মীয়ার তিন বছরের শিশুকে সেই হাড়িকাঠে বলি দেওয়ার প্রস্তুতি চলতে থাকে। চলে যজ্ঞ, মন্ত্রোচ্চারণ। এমনকি পরিবারের লোকজন উলঙ্গ হয়ে তাকে ঘিরে নৃত্য করতে থাকে। খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা এসে এই নরবলি আটকানোর চেষ্টা করলে যাদব চাহারিয়া এবং রমেশ চাহারিয়া গ্রামবাসীদের দিকে ধারালো অস্ত্র নিক্ষেপ করে, ঢিল ছোঁড়াছুড়িও শুরু করে। শুধু তাই ই নয়, তাঁরা নিজেদের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয়।
এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী এসে পরিবারের সকলকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কাজ না হওয়ায় প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্য করে এবং পাঁচ রাউন্ড গুলিও চালায়। পুলিশের গুলিতে জখম হন গৃহকর্তা যাদব চাহারিয়া এবং তার ছেলে। পুলিশ এবং স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় নিরাপদে বের করে আনা হয় তিন বছরের শিশুটিকে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ভণ্ড তান্ত্রিককেও।
কিন্তু একুশ শতকে দাঁড়িয়ে কীভাবে একজন শিক্ষক এবং তার পরিবারকে কুসংস্কারাচ্ছন্নে আবিষ্ট করল এই তান্ত্রিক সেখানেই উঠছে প্রশ্ন। কীভাবেই বা দিনের দিনের পর দিন ধরে সম্মোহিত করে রাখলেন এই পরিবারকে? এই ঘটনাকে ঘিরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
উল্টো তাদের দিকেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। এই উন্মত্ত তান্ডব আটকাতে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষে পুলিশের গুলিতে থামে এই নৃশংস হত্যার চেষ্টা।
ঠিক কী হয়েছিল?
জানা যাচ্ছে, আসামের ওদালগুরি জেলার গণকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তথা শিক্ষক যাদব চাহারিয়ার বাড়িতে তিন বছর আগে এক মহিলা আত্মঘাতী হন। তারপরেই ঘাঁটি গাড়েন রমেশ চাহারিয়া নামের এক তান্ত্রিক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই তিন বছরে যাদব চাহারিয়ার পুরো পরিবারকেই কার্যত সম্মোহিত করে রেখেছিল রমেশ তান্ত্রিক। এই তান্ত্রিকের মদতেই পরিবারের লোকেরা তাদের বাইক এবং গাড়িও পুড়িয়ে দেয়। শনিবার বাড়িতে এক পুজোর আসর বসানো হয়, যেখানে হাড়িকাঠ বসিয়ে যাদব চাহারিয়ার এক আত্মীয়ার তিন বছরের শিশুকে সেই হাড়িকাঠে বলি দেওয়ার প্রস্তুতি চলতে থাকে। চলে যজ্ঞ, মন্ত্রোচ্চারণ। এমনকি পরিবারের লোকজন উলঙ্গ হয়ে তাকে ঘিরে নৃত্য করতে থাকে। খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা এসে এই নরবলি আটকানোর চেষ্টা করলে যাদব চাহারিয়া এবং রমেশ চাহারিয়া গ্রামবাসীদের দিকে ধারালো অস্ত্র নিক্ষেপ করে, ঢিল ছোঁড়াছুড়িও শুরু করে। শুধু তাই ই নয়, তাঁরা নিজেদের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয়।
এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী এসে পরিবারের সকলকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কাজ না হওয়ায় প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্য করে এবং পাঁচ রাউন্ড গুলিও চালায়। পুলিশের গুলিতে জখম হন গৃহকর্তা যাদব চাহারিয়া এবং তার ছেলে। পুলিশ এবং স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় নিরাপদে বের করে আনা হয় তিন বছরের শিশুটিকে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ভণ্ড তান্ত্রিককেও।
কিন্তু একুশ শতকে দাঁড়িয়ে কীভাবে একজন শিক্ষক এবং তার পরিবারকে কুসংস্কারাচ্ছন্নে আবিষ্ট করল এই তান্ত্রিক সেখানেই উঠছে প্রশ্ন। কীভাবেই বা দিনের দিনের পর দিন ধরে সম্মোহিত করে রাখলেন এই পরিবারকে? এই ঘটনাকে ঘিরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
No comments