সেনা প্রত্যাহার নয়, সমন্বিত শান্তির কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র, তালেবানদের ভিন্ন অবস্থান
যুক্তরাষ্ট্র
সবসময় বলে আসছে যে তালেবানদের সাথে চলমান আলোচনার উদ্দেশ্য হলো
আফগানিস্তানে টেকসই শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার না
করা। আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত জালমাই খলিলজাদ বলেছেন, “এই
ফ্রেমওয়ার্ক তালেবানরা মেনে নিয়েছে। আমরা পরবর্তী দফা আলোচনার প্রস্তুতি
নিচ্ছি। এটা মনে রাখা দরকার যে আমরা একটা সমন্বিত শান্তির চেষ্টা করছি, কোন
সেনা প্রত্যাহার চুক্তি নয়”। কিন্তু তার বিপরীতে, তালেবানদের কাতার অফিসের
মুখপাত্র সোহাইল শাহীন টুইটে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে
সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে এবং এ দেশের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার
ব্যাপারে সম্মত হয়েছে, তবে তিনি কোন সুনির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করেননি।
যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দর কষাকষির প্রক্রিয়া দ্বিতীয় বছরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোন অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। তালেবানরা শুধুমাত্র এই আশ্বাস দিয়েছে যে আফগানিস্তানের ভূমি থেকে কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো হবে না। তালেবানরা সুনির্দিষ্টভাবে কাবুল সরকারকে কোন ধরনের বৈধতা দেয়ার বিষয়টি নাকচ করে আসছে যদিও যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে অব্যাহতভাবে চাপ দিয়ে আসছে। আফগানিস্তানে সেনা প্রত্যাহার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে একটা অচলাবস্থার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
লড়াইয়ে গতি বজায় রেখেছে তালেবানরা
আগ্রাসী তালেবানদের বিরুদ্ধে প্রধান শক্তি এখন আফগান ন্যাশনাল আর্মি কারণ ১০ বছর আগে যে সংখ্যক মার্কিন সেনা সেখানে ছিল, এখন সেটা নেই। তারা এখন প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে সামান্যই অংশ নেয় এবং নিজেদের কর্মকাণ্ডকে তারা উপদেশ ও প্রশিক্ষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে।
অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের সাথে আফগান সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি থাকার কারণে তালেবানরা সরকারী বাহিনীর পোস্টগুলোকে অগ্রাহ্য করতে পারছে এবং নিজেদের হামলার গতি বাড়াতে পারছে।
যুক্তরাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক বাহিনী ও আফগান সেনাদের জন্য মৃত্যু ভূমি হলো হেলমন্দ। সেখানে যথেষ্ট প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে তবে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন যে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর এই প্রদেশটি আবারও তালেবানদের হস্তগত হতে পারে।
কৌশলের পরিবর্তন
আফগানিস্তানে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্তাব্যক্তিরা আফগান জেনারেলদের বুঝিয়েছেন যে, তালেবানদের সংযত রাখার কৌশল একেবারেই কাজ করছে না, তাই সেনাদের আউটপোস্টে ঠেলে না দিয়ে চেকপয়েন্টগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত। আফগানিস্তানে ন্যাটোর মিশন এবং মার্কিন যুদ্ধ প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল স্কট মিলার। তিনি বলেছেন যে, আফগান সামরিক বাহিনীর জন্য চেকপয়েন্টগুলো বন্ধ করে দেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক বৈঠকে তিনি বলেছেন যে, “তারা অভিযানে মানুষ হারাচ্ছে না, তারা তালেবানদের হত্যা করছে। আপনারা আমার মত শুনতে চান? চেকপয়েন্ট নিয়ে কথা বলুন”।
যুক্তরাষ্ট্রের তাড়া আছে, তালেবানদের নেই
এটা সত্য যে, তালেবানরা তিন দশকের যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো তারা কোন তাড়াহুড়ার মধ্যে নেই। তালেবানরা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে, যেটা একতরফাভাবে তাদের অনুকূলে রয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের তৎপরতা গুটিয়ে আনতে চায়। মার্কিন আলোচকরা বিশ্বকে যা-ই বলুন না কেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তালেবানদের দর কষাকষির শর্ত ও দাবি মেনে নেয়, তাহলেই কেবল অচলাবস্থার ইতি ঘটতে পারে। যতই দিন যাচ্ছে, তালেবানরা তত বেশি জায়গার দখল নিচ্ছে এবং আফগান ও মার্কিন সরকারের উপর চাপ বেড়েই চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দর কষাকষির প্রক্রিয়া দ্বিতীয় বছরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোন অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। তালেবানরা শুধুমাত্র এই আশ্বাস দিয়েছে যে আফগানিস্তানের ভূমি থেকে কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো হবে না। তালেবানরা সুনির্দিষ্টভাবে কাবুল সরকারকে কোন ধরনের বৈধতা দেয়ার বিষয়টি নাকচ করে আসছে যদিও যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে অব্যাহতভাবে চাপ দিয়ে আসছে। আফগানিস্তানে সেনা প্রত্যাহার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে একটা অচলাবস্থার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
লড়াইয়ে গতি বজায় রেখেছে তালেবানরা
আগ্রাসী তালেবানদের বিরুদ্ধে প্রধান শক্তি এখন আফগান ন্যাশনাল আর্মি কারণ ১০ বছর আগে যে সংখ্যক মার্কিন সেনা সেখানে ছিল, এখন সেটা নেই। তারা এখন প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে সামান্যই অংশ নেয় এবং নিজেদের কর্মকাণ্ডকে তারা উপদেশ ও প্রশিক্ষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে।
অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের সাথে আফগান সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি থাকার কারণে তালেবানরা সরকারী বাহিনীর পোস্টগুলোকে অগ্রাহ্য করতে পারছে এবং নিজেদের হামলার গতি বাড়াতে পারছে।
যুক্তরাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক বাহিনী ও আফগান সেনাদের জন্য মৃত্যু ভূমি হলো হেলমন্দ। সেখানে যথেষ্ট প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে তবে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন যে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর এই প্রদেশটি আবারও তালেবানদের হস্তগত হতে পারে।
কৌশলের পরিবর্তন
আফগানিস্তানে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্তাব্যক্তিরা আফগান জেনারেলদের বুঝিয়েছেন যে, তালেবানদের সংযত রাখার কৌশল একেবারেই কাজ করছে না, তাই সেনাদের আউটপোস্টে ঠেলে না দিয়ে চেকপয়েন্টগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত। আফগানিস্তানে ন্যাটোর মিশন এবং মার্কিন যুদ্ধ প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল স্কট মিলার। তিনি বলেছেন যে, আফগান সামরিক বাহিনীর জন্য চেকপয়েন্টগুলো বন্ধ করে দেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক বৈঠকে তিনি বলেছেন যে, “তারা অভিযানে মানুষ হারাচ্ছে না, তারা তালেবানদের হত্যা করছে। আপনারা আমার মত শুনতে চান? চেকপয়েন্ট নিয়ে কথা বলুন”।
যুক্তরাষ্ট্রের তাড়া আছে, তালেবানদের নেই
এটা সত্য যে, তালেবানরা তিন দশকের যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো তারা কোন তাড়াহুড়ার মধ্যে নেই। তালেবানরা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে, যেটা একতরফাভাবে তাদের অনুকূলে রয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের তৎপরতা গুটিয়ে আনতে চায়। মার্কিন আলোচকরা বিশ্বকে যা-ই বলুন না কেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তালেবানদের দর কষাকষির শর্ত ও দাবি মেনে নেয়, তাহলেই কেবল অচলাবস্থার ইতি ঘটতে পারে। যতই দিন যাচ্ছে, তালেবানরা তত বেশি জায়গার দখল নিচ্ছে এবং আফগান ও মার্কিন সরকারের উপর চাপ বেড়েই চলেছে।
No comments