চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকে ইয়াবা ব্যবসায় by জিয়া চৌধুরী
অভিভাবকের
আশা ছিল ছেলে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করবে, পরিবারের হাল ধরবে। ছেলেও
পড়াশোনা শেষে কিছুদিন চাকরির চেষ্টা করেছে। কিছুদিনের মধ্যে কাজেও যুক্ত
হয়েছে। তবে, পরিবার জানতো না কী কাজ করছে তাদের ছেলে? বেসরকারি একটি
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক সম্পন্ন করেন মো. জুবায়ের
আহম্মেদ (২৮)। পড়াশোনা শেষ করে অন্য সবার মতো বেশিদিন চাকরি কিংবা ব্যবসার
পেছনে ছোটেননি। ভিন্ন পথে হেঁটেছেন এই তরুণ। যুক্ত হন মরণনেশা ইয়াবার
বেচাকেনার কারবারে। অল্পদিনে আয় করতে থাকেন কাড়িকাড়ি টাকা।
নিজেই গড়ে তোলেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি জুবায়ের আহম্মেদের। সিন্ডিকেটর পাঁচ সদস্যসহ ধরা পড়েছেন র্যাবের জালে। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে জুবায়েরের অন্ধকার জগতের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। সূত্র জানায়, গাজীপুরের টঙ্গী ও আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ইয়াবা কারবারে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন জুবায়ের। জুবায়েরকে প্রশ্রয় দিতেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তবে তাকে আইনের আওতায় আনতে কৌশলগত কারণে নাম প্রকাশ করতে চায় না র্যাব। চক্রটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত নতুন কৌশলে ইয়াবা বহন করতো। কখনো যাত্রীবাহী বাসে, কখনো মৌসুমী শাক-সবজি বহনকারী ট্রাকে করে, কখনো ধান, ভুট্টা বহনকারী গাড়িতে করে, কখনো ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ইয়াবার চালান আনতো তারা। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে গাজীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো চক্রটি।
গ্রেপ্তার হওয়া জুবায়েরের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, মাদকের চালানগুলো অভিনব কায়দায় পায়ুপথে ও পেটের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে টেকনাফ থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হতো। ৫০টি ইয়াবার ছোট-ছোট প্যাকেটে নারকেল তেল মেখে পিচ্ছিল করে বিশেষ কৌশলে পায়ুপথ দিয়ে পেটের ভেতরে প্রবেশ করানো হতো। এই চক্রের কাছে টেকনাফের অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জয়নাল ইয়াবা সরবরাহ করতো বলেও র্যাবের কাছে জানিয়েছে জুবায়ের। চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন স্পটে খুচরা বিক্রিসহ পাইকারি চালানেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পৌঁছে দিতো। গত ১০ জুন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে জুবায়ের আহম্মেদসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। চক্রের অন্য সদস্যরা হলেন- সাইদুল ইসলাম (২৩), মিঠু (২৮), আনোয়ার (৩২), আসাদ হোসেন (৩৫), খায়রুল ইসলাম (২৮)। এসব বিষয়ে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম মানবজমিনকে বলেন, এই ইয়াবা চক্রের অন্যদের ধরতেও অভিযান চালানো হচ্ছে। ইয়াবা কারবারে যুক্তরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। র্যাব সূত্র জানায়, জুবায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন।
ইয়াবার নেশার টাকা জোগাড় করতে নিজেই নেমে পড়েন ইয়াবা ব্যবসায়। এক পর্যায়ে নিজেই তৈরি করেন ইয়াবা সিন্ডিকেট। ইয়াবা বিক্রির মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ ও সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করতেন।
নিজেই গড়ে তোলেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি জুবায়ের আহম্মেদের। সিন্ডিকেটর পাঁচ সদস্যসহ ধরা পড়েছেন র্যাবের জালে। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে জুবায়েরের অন্ধকার জগতের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। সূত্র জানায়, গাজীপুরের টঙ্গী ও আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ইয়াবা কারবারে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন জুবায়ের। জুবায়েরকে প্রশ্রয় দিতেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তবে তাকে আইনের আওতায় আনতে কৌশলগত কারণে নাম প্রকাশ করতে চায় না র্যাব। চক্রটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত নতুন কৌশলে ইয়াবা বহন করতো। কখনো যাত্রীবাহী বাসে, কখনো মৌসুমী শাক-সবজি বহনকারী ট্রাকে করে, কখনো ধান, ভুট্টা বহনকারী গাড়িতে করে, কখনো ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ইয়াবার চালান আনতো তারা। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে গাজীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো চক্রটি।
গ্রেপ্তার হওয়া জুবায়েরের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, মাদকের চালানগুলো অভিনব কায়দায় পায়ুপথে ও পেটের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে টেকনাফ থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হতো। ৫০টি ইয়াবার ছোট-ছোট প্যাকেটে নারকেল তেল মেখে পিচ্ছিল করে বিশেষ কৌশলে পায়ুপথ দিয়ে পেটের ভেতরে প্রবেশ করানো হতো। এই চক্রের কাছে টেকনাফের অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জয়নাল ইয়াবা সরবরাহ করতো বলেও র্যাবের কাছে জানিয়েছে জুবায়ের। চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন স্পটে খুচরা বিক্রিসহ পাইকারি চালানেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পৌঁছে দিতো। গত ১০ জুন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে জুবায়ের আহম্মেদসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। চক্রের অন্য সদস্যরা হলেন- সাইদুল ইসলাম (২৩), মিঠু (২৮), আনোয়ার (৩২), আসাদ হোসেন (৩৫), খায়রুল ইসলাম (২৮)। এসব বিষয়ে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম মানবজমিনকে বলেন, এই ইয়াবা চক্রের অন্যদের ধরতেও অভিযান চালানো হচ্ছে। ইয়াবা কারবারে যুক্তরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। র্যাব সূত্র জানায়, জুবায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন।
ইয়াবার নেশার টাকা জোগাড় করতে নিজেই নেমে পড়েন ইয়াবা ব্যবসায়। এক পর্যায়ে নিজেই তৈরি করেন ইয়াবা সিন্ডিকেট। ইয়াবা বিক্রির মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ ও সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করতেন।
No comments