ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষক by মোশাহিদ আহমদ
ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কিন্তু কত বেড়েছে এ সমপর্কে ধারণা নেই দক্ষিণ সুনামগঞ্জের কৃষকদের। তবে, তাদের লোকসান হচ্ছে এটাই মূল কথা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এ বছর এক কিয়ার (৩০ শতাংশ) জমিতে ধান চাষ করতে ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার ৫শ’ টাকা। এক বিঘা জমির বিচালির মূল্য দুই হাজার টাকা বাদ দিলে খরচ এসে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫শ’ টাকা। এক কিয়ার (৩০ শতাংশ) জমির গড় ফলন ২০ মণ হলে এক মণ ধানের উৎপাদন খরচ এসে দাঁড়ায় ৫২৫ টাকা। অথচ এখন বাজার মূল্য ৬৫০ থেকে ৭শ’ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ প্রতিমণ ধান উৎপাদন করে কৃষকের ১২৫ থেকে ১৭৫ টাকা লাভ হচ্ছে। অথচ সরকার প্রতিমণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ১ হাজার ৪০ টাকা। সরকার ঘোষিত মূল্য যদি ন্যায্যমূল্য হয় তাহলে প্রতিমণ ধানে কৃষকের লোকসান হচ্ছে ৩৯০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। ধান চালের বাজার মন্দা দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে বাধ্য করছে। সরকার ধানের যে মূল্য নির্ধারণ করেছে, তা এক সময়ে কার্যকর হবে বা ওই মূল্য ছাড়িয়ে ১২শ’ টাকা মণ দরেও ধান বিক্রি হবে। ততদিনে কৃষকের গোলায় ধান থাকবে না। লাভের সবটুকু রস লুট করবে ব্যবসায়ীরা। সরকার ধান-চালের ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেছে। তবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান না কিনে মিল মালিক বা ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে ধান চাল কিনে থাকে। আর এ কারণে লোকসানের শিকার হয় কৃষক আর মুনাফা লুটে নেয় মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা। এভাবে লোকসান গুনে ধান চাষ করতে করতে একপর্যায়ে কৃষক দেউলিয়া হবে। তখন হয়তো ধান চাষে আগ্রহ হারাবে কৃষক। সরকার ধান-চালের যে মূল্য নির্ধারণ করেছে তা কৃষকের জন্য লাভজনক না হলেও এটি সহনশীল মাত্রার মূল্য বলে ধরে নিয়েছে কৃষক। তবে, মূল্য ঘোষণার পর থেকে যথাযথ কার্যকর হচ্ছে কি না তা তদারকি আবশ্যক।
উপজেলার ছয়হারা গ্রামের আলা উদ্দিন জানান, চলতি বছর তিনি ছয় কিয়ার জমিতে ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে তিন কিয়ার তার নিজের বাকি তিন কিয়ার লিজ নেয়া। ধান চাষ করতে গিয়ে গত তিন মাসে সারের দোকানে বাকি হয়েছে ১৫ হাজার টাকা, এ সময় সংসার চালাতে দোকানে বাকি পড়েছে ১৩ হাজার টাকা। আবার কৃষি শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিতে গিয়ে ধারও করেছেন পাঁচ হাজার টাকা। অর্থাৎ এই ৩৩ হাজার টাকা তাকে এখনই পরিশোধ করতে হবে। দেনা পরিশোধ করতে তাকে এখনই অর্ধেক ধান বিক্রি করতে হবে। বাকি অর্ধেক ধান দিয়ে আগামী চার মাস কিভাবে সংসার চালাবেন।
উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ধান চালের মূল্য নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই। তা থাকলে ব্যবসায়ীরা এভাবে কৃষকদের ঠকাতে পারত না। সরকার ধান-চালের বাজার নির্ধারণ করে দিয়েছে। সরকার ঘোষিত মূল্যে কৃষক তার ফসলের মূল্য পাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাদের। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে কৃষকদের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত করছে ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এ বছর এক কিয়ার (৩০ শতাংশ) জমিতে ধান চাষ করতে ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার ৫শ’ টাকা। এক বিঘা জমির বিচালির মূল্য দুই হাজার টাকা বাদ দিলে খরচ এসে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫শ’ টাকা। এক কিয়ার (৩০ শতাংশ) জমির গড় ফলন ২০ মণ হলে এক মণ ধানের উৎপাদন খরচ এসে দাঁড়ায় ৫২৫ টাকা। অথচ এখন বাজার মূল্য ৬৫০ থেকে ৭শ’ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ প্রতিমণ ধান উৎপাদন করে কৃষকের ১২৫ থেকে ১৭৫ টাকা লাভ হচ্ছে। অথচ সরকার প্রতিমণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ১ হাজার ৪০ টাকা। সরকার ঘোষিত মূল্য যদি ন্যায্যমূল্য হয় তাহলে প্রতিমণ ধানে কৃষকের লোকসান হচ্ছে ৩৯০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। ধান চালের বাজার মন্দা দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে বাধ্য করছে। সরকার ধানের যে মূল্য নির্ধারণ করেছে, তা এক সময়ে কার্যকর হবে বা ওই মূল্য ছাড়িয়ে ১২শ’ টাকা মণ দরেও ধান বিক্রি হবে। ততদিনে কৃষকের গোলায় ধান থাকবে না। লাভের সবটুকু রস লুট করবে ব্যবসায়ীরা। সরকার ধান-চালের ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেছে। তবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান না কিনে মিল মালিক বা ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে ধান চাল কিনে থাকে। আর এ কারণে লোকসানের শিকার হয় কৃষক আর মুনাফা লুটে নেয় মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা। এভাবে লোকসান গুনে ধান চাষ করতে করতে একপর্যায়ে কৃষক দেউলিয়া হবে। তখন হয়তো ধান চাষে আগ্রহ হারাবে কৃষক। সরকার ধান-চালের যে মূল্য নির্ধারণ করেছে তা কৃষকের জন্য লাভজনক না হলেও এটি সহনশীল মাত্রার মূল্য বলে ধরে নিয়েছে কৃষক। তবে, মূল্য ঘোষণার পর থেকে যথাযথ কার্যকর হচ্ছে কি না তা তদারকি আবশ্যক।
উপজেলার ছয়হারা গ্রামের আলা উদ্দিন জানান, চলতি বছর তিনি ছয় কিয়ার জমিতে ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে তিন কিয়ার তার নিজের বাকি তিন কিয়ার লিজ নেয়া। ধান চাষ করতে গিয়ে গত তিন মাসে সারের দোকানে বাকি হয়েছে ১৫ হাজার টাকা, এ সময় সংসার চালাতে দোকানে বাকি পড়েছে ১৩ হাজার টাকা। আবার কৃষি শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিতে গিয়ে ধারও করেছেন পাঁচ হাজার টাকা। অর্থাৎ এই ৩৩ হাজার টাকা তাকে এখনই পরিশোধ করতে হবে। দেনা পরিশোধ করতে তাকে এখনই অর্ধেক ধান বিক্রি করতে হবে। বাকি অর্ধেক ধান দিয়ে আগামী চার মাস কিভাবে সংসার চালাবেন।
উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ধান চালের মূল্য নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই। তা থাকলে ব্যবসায়ীরা এভাবে কৃষকদের ঠকাতে পারত না। সরকার ধান-চালের বাজার নির্ধারণ করে দিয়েছে। সরকার ঘোষিত মূল্যে কৃষক তার ফসলের মূল্য পাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাদের। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে কৃষকদের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত করছে ব্যবসায়ীরা।
No comments