দেশের প্রতিটি অর্জনে ছাত্রলীগের ভূমিকা রয়েছে
আওয়ামী
লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালির ইতিহাস
ছাত্রলীগের ইতিহাস। দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকা
রয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, এমনকি এখন পর্যন্ত যত
আন্দোলন-সংগ্রাম অর্থাৎ বাঙালির প্রতিটি অর্জনেই ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে।
ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। জাতির পিতার গড়া এই সংগঠনের প্রত্যেকটি
সদস্যকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ গঠন করে জাতির
পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বাংলাকে
রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। ছয় দফাতেও ছাত্রলীগের
?ভূমিকা রয়েছে। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবদান
রেখেছেন। গতকাল বিকালে রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ
ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। পরিচালনা
করেন সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্তরের নির্বাচনে ঘরে ঘরে ঘুরে ছাত্রলীগ ভোট চেয়েছে। আমিও ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলাম। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে আমিও অংশ নিয়েছি। আমাদের বহু সহকর্মী জীবন দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে। মার্শাল ল’ যারা জারি করেছিল তাদের বিরুদ্ধেও সংগ্রাম করেছে ছাত্রলীগ। জিয়াউর রহমানের সময়ে ছাত্র সমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছিল অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছিলেন।
এককভাবে মানুষের ভোট কেড়ে নিয়ে যায় তারা। নিজেকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। সেখানেও যে আন্দোলন হয়েছিল তাতে ছাত্রলীগের অবদান ছিল। আন্দোলনের একপর্যায়ে ওই বছরের ২৩শে মার্চ বিদায় নেন খালেদা জিয়া। এরপর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা জয়ী হই। কিন্তু পরে ২০০১ সালে সবাইকে অত্যাচার করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। তারা বাংলাভাই সৃষ্টি করে, দেশজুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। এমনকি পরে আমাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময়ও ছাত্রলীগ আন্দোলন করেছে প্রতিবাদ করেছে। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ১৬টি দেশকে পেছনে ফেলে উন্নত দেশের কাতারে যাচ্ছি। আমি দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর অন্যরা দেশের মানুষের ভাগ্য বিড়ম্বনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়স ২৮ বছর নির্ধারণ করে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই সমঝোতার মাধ্যমে তোমরা, তোমাদের নেতৃত্ব নির্বাচিত করো। কারণ ত্যাগ করতে শিখো। তোমরা এমন নেতৃত্ব খুঁজবে যাতে এই সংগঠনকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ছাত্রলীগে নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়স ২৭। কিন্তু বর্তমান কমিটি ইতিমধ্যে ৯ মাস অতিক্রম করে ফেলেছে। তাই আমি চাই কেউ যেন বঞ্চিত না হয়। বয়স এক বছর গ্রেস দিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণে দেরি হওয়ায় মন খারাপ না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ হবে, আমরা মহাকাশ জয় করবো, ইনশাআল্লাহ্। উৎক্ষেপণের মাত্র ৪৬ সেকেন্ড আগে উৎক্ষেপণ বন্ধ হয়ে গেল। এটি খুব সেনসেটিভ বিষয়। আমি জয়কে বলেছিলাম, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আগ মুহূর্তে আমাকে ফোন দিবা। ও উৎক্ষেপণের ১৫ মিনিট আগে আমাকে ফোন দেয়। কাউন্ট-ডাউন শুরু হয়। কিন্তু ঠিক ৪৬ সেকেন্ড আগে বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, যারা বিজ্ঞানের ছাত্র তারা জানবেন, যান্ত্রিক ত্রুটি হতেই পারে। এভাবে অনেক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বন্ধ হয়ে যায়।
আকাশে যদি মেঘ জমে থাকে স্যাটেলাইট যাবে না, বায়ু পরিবর্তন থাকলেও যাবে না। আজ (শুক্রবার) আবারও উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হবে। আগের ঠিক একই সময়ে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে আরও দুই ঘণ্টা সময় আমরা পাবো। আজও যদি সম্ভব না হয় তাহলে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আমাদের আরও একটি স্লট দেবে। সম্মেলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে, ছাত্র রাজনীতি আমরা করবো। কিন্তু শিক্ষাগ্রহণ করাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় এবং সবার আগের কাজ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দু’টি পড়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা যে দলেরই হোক তাদের কেউ ছাড় পাবে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যারাই বিশৃঙ্খলা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ২০১৫-২০১৮ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা। সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে গেছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ পাশে ছিল। মাদক ও জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করার জন্য কাজ করেছি। পাশাপাশি ছাত্রলীগকে সচেতন করার জন্য চেষ্টা করেছি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজনীতি শেখার পাঠশালা হচ্ছে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তিনটি কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা। এই তিনটি কাজ করলে আপনারা পরাজিত হবেন না। সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন বলেছেন, আমি সিলেটের সেই পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি যে পরিবারটি ৭৫-এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারকে হত্যার পর বিদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে ছিল। সে পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী থেকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি বলেন, আমরা নেত্রীর দেয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। জানি না আমরা কতটুকু সফল হয়েছি। আমরা ছাত্রলীগকে গ্রাম-গঞ্জে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা যে কাজ করেছি তার সব কর্তৃত্ব আপনাদের (ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের)। তারপরও যদি কোনো ভুল থাকে তা আমি ও আমার সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ মাথা পেতে নিচ্ছি। এদিকে সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ছিল। সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলে পুরো এলাকা। তাদের প্রত্যাশা যোগ্য নেতার হাতেই উঠবে ছাত্রলীগের ঝাণ্ডা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্তরের নির্বাচনে ঘরে ঘরে ঘুরে ছাত্রলীগ ভোট চেয়েছে। আমিও ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলাম। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে আমিও অংশ নিয়েছি। আমাদের বহু সহকর্মী জীবন দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে। মার্শাল ল’ যারা জারি করেছিল তাদের বিরুদ্ধেও সংগ্রাম করেছে ছাত্রলীগ। জিয়াউর রহমানের সময়ে ছাত্র সমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছিল অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছিলেন।
এককভাবে মানুষের ভোট কেড়ে নিয়ে যায় তারা। নিজেকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। সেখানেও যে আন্দোলন হয়েছিল তাতে ছাত্রলীগের অবদান ছিল। আন্দোলনের একপর্যায়ে ওই বছরের ২৩শে মার্চ বিদায় নেন খালেদা জিয়া। এরপর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা জয়ী হই। কিন্তু পরে ২০০১ সালে সবাইকে অত্যাচার করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। তারা বাংলাভাই সৃষ্টি করে, দেশজুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। এমনকি পরে আমাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময়ও ছাত্রলীগ আন্দোলন করেছে প্রতিবাদ করেছে। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ১৬টি দেশকে পেছনে ফেলে উন্নত দেশের কাতারে যাচ্ছি। আমি দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর অন্যরা দেশের মানুষের ভাগ্য বিড়ম্বনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়স ২৮ বছর নির্ধারণ করে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই সমঝোতার মাধ্যমে তোমরা, তোমাদের নেতৃত্ব নির্বাচিত করো। কারণ ত্যাগ করতে শিখো। তোমরা এমন নেতৃত্ব খুঁজবে যাতে এই সংগঠনকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ছাত্রলীগে নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়স ২৭। কিন্তু বর্তমান কমিটি ইতিমধ্যে ৯ মাস অতিক্রম করে ফেলেছে। তাই আমি চাই কেউ যেন বঞ্চিত না হয়। বয়স এক বছর গ্রেস দিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণে দেরি হওয়ায় মন খারাপ না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ হবে, আমরা মহাকাশ জয় করবো, ইনশাআল্লাহ্। উৎক্ষেপণের মাত্র ৪৬ সেকেন্ড আগে উৎক্ষেপণ বন্ধ হয়ে গেল। এটি খুব সেনসেটিভ বিষয়। আমি জয়কে বলেছিলাম, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আগ মুহূর্তে আমাকে ফোন দিবা। ও উৎক্ষেপণের ১৫ মিনিট আগে আমাকে ফোন দেয়। কাউন্ট-ডাউন শুরু হয়। কিন্তু ঠিক ৪৬ সেকেন্ড আগে বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, যারা বিজ্ঞানের ছাত্র তারা জানবেন, যান্ত্রিক ত্রুটি হতেই পারে। এভাবে অনেক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বন্ধ হয়ে যায়।
আকাশে যদি মেঘ জমে থাকে স্যাটেলাইট যাবে না, বায়ু পরিবর্তন থাকলেও যাবে না। আজ (শুক্রবার) আবারও উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হবে। আগের ঠিক একই সময়ে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে আরও দুই ঘণ্টা সময় আমরা পাবো। আজও যদি সম্ভব না হয় তাহলে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আমাদের আরও একটি স্লট দেবে। সম্মেলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে, ছাত্র রাজনীতি আমরা করবো। কিন্তু শিক্ষাগ্রহণ করাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় এবং সবার আগের কাজ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দু’টি পড়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা যে দলেরই হোক তাদের কেউ ছাড় পাবে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যারাই বিশৃঙ্খলা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ২০১৫-২০১৮ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা। সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে গেছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ পাশে ছিল। মাদক ও জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করার জন্য কাজ করেছি। পাশাপাশি ছাত্রলীগকে সচেতন করার জন্য চেষ্টা করেছি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজনীতি শেখার পাঠশালা হচ্ছে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তিনটি কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা। এই তিনটি কাজ করলে আপনারা পরাজিত হবেন না। সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন বলেছেন, আমি সিলেটের সেই পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি যে পরিবারটি ৭৫-এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারকে হত্যার পর বিদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে ছিল। সে পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী থেকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি বলেন, আমরা নেত্রীর দেয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। জানি না আমরা কতটুকু সফল হয়েছি। আমরা ছাত্রলীগকে গ্রাম-গঞ্জে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা যে কাজ করেছি তার সব কর্তৃত্ব আপনাদের (ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের)। তারপরও যদি কোনো ভুল থাকে তা আমি ও আমার সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ মাথা পেতে নিচ্ছি। এদিকে সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ছিল। সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলে পুরো এলাকা। তাদের প্রত্যাশা যোগ্য নেতার হাতেই উঠবে ছাত্রলীগের ঝাণ্ডা।
No comments