‘সত্য প্রকাশ’ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর টার্গেটে চার রোহিঙ্গা
সদ্য
মিয়ানমার সফরকারী জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে বিপাকে পড়েছেন
রাখাইনে অবস্থানকারী চার রোহিঙ্গা। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সেনাবাহিনী আগেই সেখানকার রোহিঙ্গাদের হুমকি দিয়েছিল,
সফররত প্রতিনিধিদের কাছে যেন সরকার ও সেনাবিরোধী কোনও কথা না বলে
রোহিঙ্গারা। নিষেধ উপেক্ষা করে সেনাবাহিনীর টার্গেটে পরিণত হওয়া চার
রোহিঙ্গা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মিয়ানমারের সেনা-গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা
বাহিনী তাদের হন্যে হয়ে খুঁজছে।
গত আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা বিরোধি পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ অভিযান জোরালো হওয়ার পর গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো সেখানে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়া হয়। ১ মে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা দিনব্যাপী রাখাইন সফর করেন। জাতিগত নিধনের প্রত্যক্ষ আলামত পেতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে সফর করেন তারা। কথা বলতে চান সেখানকার মানুষের সঙ্গে।
স্থানীয় এক রোহিঙ্গা সাংবাদিক গার্ডিয়ানকে বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের রাখাইন সফরের কয়েকদিন আগে মংডু শহর এলাকার আশেপাশের রোহিঙ্গাদের ওই প্রতিনিধের কাছে সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে কিছ না বলতে সতর্ক করে দেয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ওই সাংবাদিক বলেন, ‘এই সতর্কতা অমান্যকারীদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেয় কর্তৃপক্ষ।’ হুমকির পর বেশির ভাগ রোহিঙ্গা জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে নলবোনিয়া গ্রামে তিন কিশোর ও এক মধ্যবয়সী নারী কর্তৃপক্ষের হুমকি উপেক্ষা করে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলটি নলবোনিয়া ত্যাগ করার মিয়ানমারের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা সা রা পা এর এজেন্ট এবং বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা সেখানে পৌঁছায়। খুঁজতে সেই চার রোহিঙ্গাকে। স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এখন নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছে ওই তিন কিশোর ও এক মধ্যবয়সী নারী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা নারী সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলার সময় কয়েকজন গোয়েন্দা এজেন্ট তাদের ভিডিও ধারণ করেন। তিনি বলেন, সা রা পা এজেন্টরা সেই ভিডিও ক্লিপ গ্রাম প্রশাসক ও নলবোনিয়ার অন্য গ্রামবাসীদের দেখিয়ে চার রোহিঙ্গাকে খুঁজতে সহযোগিতা চেয়েছে। এটা পরিষ্কার যে সরকার বা নিরাপত্তা বাহিনীর ভয়েই তারা পালিয়ে গেছেন। আমরা জানি না এখনও তারা মিয়ানমারে আছে নাকি বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে।
বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছেন সৌদি আরবে থাকা রোহিঙ্গা অ্যাকটিভিস্ট কো কো লিন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, গ্রাম প্রশাসক এবং অন্যান্য গ্রামবাসী সেনা সদস্যদের বলেছেন, তারা ওই চার জনকে চেনেন না। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের খোঁজে আশেপাশের গ্রামগুলোতেও তল্লাশি চালাচ্ছে। তিনি বলেন, সত্য বলার ফল ভোগ করছে তারা। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। একই ধরনের ঘটনার কারণে রোহিঙ্গাদের সেনাবাহিনীর রোষানলে পড়তে হয়েছে।
উল্লেখ্য, অতীতেও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্যাতন ও সহিংসতা নিয়ে কথা বলা রোহিঙ্গা গ্রামবাসী মিয়ানমার বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নুর জাহান ও জামালিদা বেগম নামে দুই বিধবা রোহিঙ্গা নারী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের কাছে স্বাক্ষ্য দেওয়া চার রোহিঙ্গা এখনও কারাগারে।
গত আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা বিরোধি পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ অভিযান জোরালো হওয়ার পর গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো সেখানে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়া হয়। ১ মে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা দিনব্যাপী রাখাইন সফর করেন। জাতিগত নিধনের প্রত্যক্ষ আলামত পেতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে সফর করেন তারা। কথা বলতে চান সেখানকার মানুষের সঙ্গে।
স্থানীয় এক রোহিঙ্গা সাংবাদিক গার্ডিয়ানকে বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের রাখাইন সফরের কয়েকদিন আগে মংডু শহর এলাকার আশেপাশের রোহিঙ্গাদের ওই প্রতিনিধের কাছে সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে কিছ না বলতে সতর্ক করে দেয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ওই সাংবাদিক বলেন, ‘এই সতর্কতা অমান্যকারীদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেয় কর্তৃপক্ষ।’ হুমকির পর বেশির ভাগ রোহিঙ্গা জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে নলবোনিয়া গ্রামে তিন কিশোর ও এক মধ্যবয়সী নারী কর্তৃপক্ষের হুমকি উপেক্ষা করে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলটি নলবোনিয়া ত্যাগ করার মিয়ানমারের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা সা রা পা এর এজেন্ট এবং বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা সেখানে পৌঁছায়। খুঁজতে সেই চার রোহিঙ্গাকে। স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এখন নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছে ওই তিন কিশোর ও এক মধ্যবয়সী নারী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা নারী সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলার সময় কয়েকজন গোয়েন্দা এজেন্ট তাদের ভিডিও ধারণ করেন। তিনি বলেন, সা রা পা এজেন্টরা সেই ভিডিও ক্লিপ গ্রাম প্রশাসক ও নলবোনিয়ার অন্য গ্রামবাসীদের দেখিয়ে চার রোহিঙ্গাকে খুঁজতে সহযোগিতা চেয়েছে। এটা পরিষ্কার যে সরকার বা নিরাপত্তা বাহিনীর ভয়েই তারা পালিয়ে গেছেন। আমরা জানি না এখনও তারা মিয়ানমারে আছে নাকি বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে।
বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছেন সৌদি আরবে থাকা রোহিঙ্গা অ্যাকটিভিস্ট কো কো লিন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, গ্রাম প্রশাসক এবং অন্যান্য গ্রামবাসী সেনা সদস্যদের বলেছেন, তারা ওই চার জনকে চেনেন না। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের খোঁজে আশেপাশের গ্রামগুলোতেও তল্লাশি চালাচ্ছে। তিনি বলেন, সত্য বলার ফল ভোগ করছে তারা। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। একই ধরনের ঘটনার কারণে রোহিঙ্গাদের সেনাবাহিনীর রোষানলে পড়তে হয়েছে।
উল্লেখ্য, অতীতেও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্যাতন ও সহিংসতা নিয়ে কথা বলা রোহিঙ্গা গ্রামবাসী মিয়ানমার বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নুর জাহান ও জামালিদা বেগম নামে দুই বিধবা রোহিঙ্গা নারী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের কাছে স্বাক্ষ্য দেওয়া চার রোহিঙ্গা এখনও কারাগারে।
No comments