সরকারি টাকায় নদীর সর্বনাশ by নেয়ামতউল্যাহ
কোনো জরিপ ছাড়াই স্থানীয় প্রশাসনকে না
জানিয়ে ভোলার বেতুয়া নদীর লালমোহন অংশে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের দুটি
প্রকল্প হাতে নিয়েছে মৎস্য বিভাগ। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা এসব
প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছেন।
প্রকল্পগুলো
বাস্তবায়িত হলে আওয়ামী লীগের নেতারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। আর জেলার
তিন উপজেলার আটটি ইউনিয়নের কৃষক, জেলেসহ কয়েক লাখ মানুষ জলাবদ্ধতাসহ নানা
সমস্যার সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বেতুয়া নদীতে মাটির বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের উদ্দেশ্যে দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ভুইয়্যা ও সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পলাশ ভুইয়্যা। ২ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য জাকির হোসেন ভুইয়্যা ও সাধারণ সম্পাদক একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম।
ফরিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তি মহিউদ্দিন ভুঁইয়্যা, তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেনের ভাই গিয়াসউদ্দিন ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান এই প্রকল্পের নেপথ্যে আছেন। তাঁরাই মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি এনেছেন। তবে মহিউদ্দিন ভুঁইয়্যা ও মিজানুর রহমান জানান, তাঁরা এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত নন। তাঁরা শুধু স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তা করছেন।
সূত্র জানায়, বেতুয়া নদী ও তার শাখা খালের পানি ব্যবহার করে তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার ৫০ হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ চলে। জেলা মৎস্য কার্যালয়ের উপপরিচালক প্রীতিশ কুমার মল্লিক ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গৌতম কুমার সাহা জানান, ওপরের চাপে পড়ে এই বেতুয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে মৎস্য খামার নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উপজেলার চর মোল্লাজী গ্রামে গত সোমবার গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের ডাক্তারবাড়ির সামনে বেতুয়া নদীতে বাঁধ দেওয়ার জন্য আড়াআড়ি বাঁশের পাইলিং দিয়ে মাটি ফেলার কাজ চলছে। এ সময় স্থানীয় কৃষকেরা জানান, এখানে বাঁধ দিলে বর্ষায় সৃষ্টি হবে জলাবদ্ধতা, আবার শীতে খাল শুকিয়ে যাবে। জেলেরা আর স্বাধীনভাবে মাছ ধরতে পারবেন না। তাই বাঁধটি নির্মাণ বন্ধে তাঁরা ৪ জুন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দেন। তার পরও কাজ বন্ধ হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী ভূমি কমিশনার জাকির হোসেন জানান, নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ প্রকল্প সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। স্থানীয় জেলে-কৃষকদের আবেদন পেয়ে মৎস্য বিভাগকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বেতুয়া নদীতে মাটির বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের উদ্দেশ্যে দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ভুইয়্যা ও সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পলাশ ভুইয়্যা। ২ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য জাকির হোসেন ভুইয়্যা ও সাধারণ সম্পাদক একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম।
ফরিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তি মহিউদ্দিন ভুঁইয়্যা, তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেনের ভাই গিয়াসউদ্দিন ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান এই প্রকল্পের নেপথ্যে আছেন। তাঁরাই মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি এনেছেন। তবে মহিউদ্দিন ভুঁইয়্যা ও মিজানুর রহমান জানান, তাঁরা এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত নন। তাঁরা শুধু স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তা করছেন।
সূত্র জানায়, বেতুয়া নদী ও তার শাখা খালের পানি ব্যবহার করে তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার ৫০ হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ চলে। জেলা মৎস্য কার্যালয়ের উপপরিচালক প্রীতিশ কুমার মল্লিক ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গৌতম কুমার সাহা জানান, ওপরের চাপে পড়ে এই বেতুয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে মৎস্য খামার নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উপজেলার চর মোল্লাজী গ্রামে গত সোমবার গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের ডাক্তারবাড়ির সামনে বেতুয়া নদীতে বাঁধ দেওয়ার জন্য আড়াআড়ি বাঁশের পাইলিং দিয়ে মাটি ফেলার কাজ চলছে। এ সময় স্থানীয় কৃষকেরা জানান, এখানে বাঁধ দিলে বর্ষায় সৃষ্টি হবে জলাবদ্ধতা, আবার শীতে খাল শুকিয়ে যাবে। জেলেরা আর স্বাধীনভাবে মাছ ধরতে পারবেন না। তাই বাঁধটি নির্মাণ বন্ধে তাঁরা ৪ জুন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দেন। তার পরও কাজ বন্ধ হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী ভূমি কমিশনার জাকির হোসেন জানান, নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ প্রকল্প সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। স্থানীয় জেলে-কৃষকদের আবেদন পেয়ে মৎস্য বিভাগকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments