আ.লীগ ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে মানুষের কল্যাণ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী
নির্বাচনে জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে দেশের অর্থনৈতিক
অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে মানুষের কোনো কল্যাণ হবে
না।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের ৬৪তম
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা
বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
১৯৯৬ সালে ভারতের সঙ্গে পানিচুক্তি এবং এবার মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র বিজয়
হয়েছে। আগামীবার আবার ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিজয় সম্ভব হবে।
২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়ে
তোলা হবে।
দুই দিন বিরতির পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল বিকেলে অধিবেশন শুরু হয়। অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের দুই জ্যেষ্ঠ সাংসদ আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ বক্তৃতা করেন। এ আলোচনায় স্পিকার কাউকে কোনো সময় বেঁধে দেননি। এ সময় বিরোধী দলের সংসদেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘২৩ জুন বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। ঠিক সেই দিন আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল দেশকে নতুন করে স্বাধীন করার জন্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের যা অর্জন, তা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। বাংলাদেশ শব্দটিও প্রথম উচ্চারণ করেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ঘুরে দাঁড়াবে, কেউ ভাবতে পারেনি। কিন্তু যারা দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, সেই পরাজিত শক্তি ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পরবর্তী সরকারগুলো বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে বিদেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে। অনেকে ভেবেছিল, খুনিদের বিচার হবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। একইভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু হয়েছে। এ বিচারের রায়ও কার্যকর হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর আমাকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে আমাকে দেশে আসতে হয়। জেনারেল জিয়া আমাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে মিলাদ পড়তেও দেননি। অনেকে ভেবেছিল, আওয়ামী লীগ আর দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি।’
তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কথা বলে, জনগণের জন্য রাজনীতি করে। কিন্তু নানা সময়ে ষড়যন্ত্রকারীরা এই দলটির কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হতে পারেনি।
দুই দিন বিরতির পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল বিকেলে অধিবেশন শুরু হয়। অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের দুই জ্যেষ্ঠ সাংসদ আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ বক্তৃতা করেন। এ আলোচনায় স্পিকার কাউকে কোনো সময় বেঁধে দেননি। এ সময় বিরোধী দলের সংসদেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘২৩ জুন বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। ঠিক সেই দিন আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল দেশকে নতুন করে স্বাধীন করার জন্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের যা অর্জন, তা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। বাংলাদেশ শব্দটিও প্রথম উচ্চারণ করেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ঘুরে দাঁড়াবে, কেউ ভাবতে পারেনি। কিন্তু যারা দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, সেই পরাজিত শক্তি ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পরবর্তী সরকারগুলো বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে বিদেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে। অনেকে ভেবেছিল, খুনিদের বিচার হবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। একইভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু হয়েছে। এ বিচারের রায়ও কার্যকর হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর আমাকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে আমাকে দেশে আসতে হয়। জেনারেল জিয়া আমাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে মিলাদ পড়তেও দেননি। অনেকে ভেবেছিল, আওয়ামী লীগ আর দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি।’
তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কথা বলে, জনগণের জন্য রাজনীতি করে। কিন্তু নানা সময়ে ষড়যন্ত্রকারীরা এই দলটির কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হতে পারেনি।
No comments