অনলাইন থেকে-তালেবানের সঙ্গে আলোচনা
তালেবানরা দোহায় তাদের রাজনৈতিক কার্যালয়
চালু করেছে গত মঙ্গলবার। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানদের আলোচনার
দুয়ার প্রশস্ত হলো বলে মনে করা যায়। কিন্তু আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট
হামিদ কারজাইয়ের বক্তব্য ইতিবাচক নয়।
যুক্তরাষ্ট্র চাইছে,
সরাসরি তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা করতে। হামিদ কারজাই এতে রাজি নন। হামিদ
কারজাই পাকিস্তানের প্রশাসন সম্পর্কেও ভালো ধারণা পোষণ করেন না। সম্প্রতি
একটি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কারজাই পাকিস্তানের
প্রশাসন সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী
লড়াইয়ে পাকিস্তানের সহযোগিতা ও ত্যাগের কথা স্বীকার করেই তাঁর মন্তব্য
উপস্থাপন করেছেন। পাকিস্তানের প্রশাসনকে তিনি দায়ী করলেও পাকিস্তানের
রাজনৈতিক সরকার ও জনগণকে তিনি এই দায় থেকে মুক্ত রেখেছেন। আসলে তাঁর
বক্তব্যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন এজেন্সির তৎপরতার প্রতি
অসন্তোষই বেরিয়ে এসেছে। তিনি স্বীকার করেছেন, পাকিস্তানের টিআইপি নেতা
মৌলভী ফকির মোহাম্মদ, ফাজলুল্লাহ ও আরো কিছু নেতা আফগানিস্তানের কারাগারে
অন্তরীণ আছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, হাক্কানীর নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র
বিদ্রোহীদের পাকিস্তান সরাসরি সহযোগিতা প্রদান করছে। অথচ টিআইপির
আফগানিস্তানে অবস্থান করে পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোতে আক্রমণ
চালানোর বিষয়টি তিনি চেপে গেছেন। এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে
পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে তিনি যা মন্তব্য করেছেন, তাকেও হতাশাজনকই বলতে
হবে। পাকিস্তান যা করছে, তাকে তিনি অন্তঃসারশূন্য বলে অভিহিত করেছেন।
কিন্তু যে মুহূর্তে মৌলভী ফকির মোহাম্মদের প্রসঙ্গ আসে, তখন তিনি তা এড়িয়ে
যান। একপর্যায়ে তিনি বন্দিবিনিময় চুক্তির কথা বলেন। তিনি জানান, দুই দেশের
মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকার কারণে তিনি টিআইপি নেতা মৌলভী ফকির
মোহাম্মদকে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করতে পারছেন না।
এ মুহূর্তে পাকিস্তানের শান্তি উদ্যোগে অংশগ্রহণে কাবুলের অসম্মতি জ্ঞাপনকে হতাশাজনকই বলতে হবে। তালেবানদের হালকাভাবে দেখার খেসারত কিভাবে দিতে হয়, তা বুঝতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বুঝতে পারছে, তারা বিগত সময় আফগানিস্তানের মাটিতে তালেবানি শক্তিকে হালকাভাবে দেখার কারণে কতটা ভুল করেছে। আজকে সে কারণেই গোটা বিষয়টির সন্মানজনক সমাপ্তির পথ খুঁজছে। হামিদ কারজাইও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি যে আচরণ করেছেন, তাও শান্তির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। সেখানে সরকারি চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও বৈষম্য রয়েছে। বিশেষ করে, আফগানিস্তানের উপজাতিদের মধ্যে তাজিকরা আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী, পুলিশ কিংবা প্রশাসনে যোগ্য স্থান পায় না। কিছু পদে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি লোকদেখানোর কাজটি করেও সেই দোষ থেকে বাঁচতে পারেননি। অন্যদিকে কারজাই পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিষয়টিও ভাবছেন বলে মনে হয় না। এ পরিস্থিতিতে তালেবানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার উদ্যোগকে পাকিস্তান গুরুত্বসহ দেখবে, এটাই স্বাভাবিক।
লেখক : মোহাম্মদ জামিল। লাহোরের সিনিয়র সাংবাদিক।
পাকিস্তান অবজারভার থেকে সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর মোস্তফা হোসেইন
এ মুহূর্তে পাকিস্তানের শান্তি উদ্যোগে অংশগ্রহণে কাবুলের অসম্মতি জ্ঞাপনকে হতাশাজনকই বলতে হবে। তালেবানদের হালকাভাবে দেখার খেসারত কিভাবে দিতে হয়, তা বুঝতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বুঝতে পারছে, তারা বিগত সময় আফগানিস্তানের মাটিতে তালেবানি শক্তিকে হালকাভাবে দেখার কারণে কতটা ভুল করেছে। আজকে সে কারণেই গোটা বিষয়টির সন্মানজনক সমাপ্তির পথ খুঁজছে। হামিদ কারজাইও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি যে আচরণ করেছেন, তাও শান্তির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। সেখানে সরকারি চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও বৈষম্য রয়েছে। বিশেষ করে, আফগানিস্তানের উপজাতিদের মধ্যে তাজিকরা আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী, পুলিশ কিংবা প্রশাসনে যোগ্য স্থান পায় না। কিছু পদে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি লোকদেখানোর কাজটি করেও সেই দোষ থেকে বাঁচতে পারেননি। অন্যদিকে কারজাই পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিষয়টিও ভাবছেন বলে মনে হয় না। এ পরিস্থিতিতে তালেবানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার উদ্যোগকে পাকিস্তান গুরুত্বসহ দেখবে, এটাই স্বাভাবিক।
লেখক : মোহাম্মদ জামিল। লাহোরের সিনিয়র সাংবাদিক।
পাকিস্তান অবজারভার থেকে সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর মোস্তফা হোসেইন
No comments