মৃত্যুপুরী কেদারনাথ-লাশ আর লাশ, সঙ্গে তাড়া তাড়া নোট
প্রকৃতির রুদ্র মূর্তির প্রাথমিক ধাক্কাটা
সামলে গত ১৬ জুন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন কেদারনাথে ভারত সেবাশ্রম
সংঘের কর্মীরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তীর্থ যাত্রীদের আগেই সরিয়ে ফেলা
হয়েছিল।
পানির তোড়ের সঙ্গে বড় বড় পাথর গড়িয়ে এসে রাতভর
কড়া নেড়েছে অতিথি নিবাসে। কেঁপে কেঁপে উঠেছে কংক্রিটের দেয়াল। বৃষ্টি মাথায়
রাত জেগেছেন সবাই। ধীরে ধীরে দিনের আলো ফুটল। আকাশ মেঘলা থাকলেও সবাই ধরে
নিয়েছিল এ যাত্রা বুঝি রেহাই পাওয়া গেল। কিন্তু ঠিক তখনই নেমে এলো
মহাপ্রলয়।
ছয় দিন মৃত্যু উপত্যকায় কাটিয়ে গত শনিবার কোনো মতে নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরা ভারত সেবাশ্রম সংঘের কর্মীরা জানালেন, সারা জীবনই হয়তো ভয়ংকর ওই শব্দ তাদের কানে বাজবে।
কেদারনাথের মন্দির পেরিয়ে যে রাস্তা উঠেছে, মন্দাকিনী হিমবাহ হয়ে তা গেছে চোরাবারি তাল পর্যন্ত। পাহাড় চূড়ার এ হ্রদে মহাত্মা গান্ধীর চিতাভস্ম বিসর্জন দেওয়ার পর থেকে সেটিকে গান্ধী সরোবর বলেও ডাকা হয়। পানি ধারণক্ষমতার মাত্রা ছাড়ানোর পরে হ্রদটি কূল ভেঙে আছড়ে পড়ায় শোনা গিয়েছিল ওই গগনবিদারী শব্দ।
এর পরেই পেছনের আস্ত পাহাড়টা যেন নেমে এসে গিলে ফেলল সব কিছু। ফুট দশেক উঁচু বড় বড় বাড়ি নিমিষে ভিত থেকে উপড়ে এগিয়ে চলল জাহাজের মতো। আতঙ্কে সবাই মন্দিরের মধ্যেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। কতক্ষণ ধরে চলছিল এই তাণ্ডব_তা কেউ ঠিকঠাক বলতে পারলেন না। একজন বললেন ঘণ্টাখানেক, আরেকজনের ধারণা ২০ মিনিট। কিন্তু সেই সময়টায় তাঁরা যে সাক্ষাৎ মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছেন, সে ব্যাপারে দুজনই একমত।
সেবাশ্রম সংঘের এক কর্মী সাহস করে বাইরে বেরিয়ে দেখেন, সবকিছু কেমন যেন অপরিচিত ঠেকছে। কেদারনাথ মন্দিরকে ঘিরে ঘিঞ্জি বাজারটাই হাওয়া। বিড়লা গেস্ট হাউস, ভারত সেবাশ্রম, এর আগে একের পর এক ধর্মশালা। কিছুক্ষণ সবই ছিল। এখন খাঁ খাঁ উপত্যকায় শুধু মাথা তুলে দাঁড়িয়ে কেদারনাথের মন্দির। চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে লাশ আর লাশ। সোমবারের পরে পাঁচ দিন ধরে মৃত্যু উপত্যকা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছেন সংঘের কর্মীরা। কেদারনাথের মন্দিরে আর থাকা যায়নি। অজস আহত যাত্রী সেখানে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। পায়ে পায়ে শুধু লাশের মিছিল। আর মরা মানুষের সঙ্গে আটকে থাকা নোটের বান্ডিল। ভিজে জবজবে সে নোট কোনো কাজে লাগছে না।
কোথা থেকে এলো এত নোট? আগের দিনই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছিল কয়েক কোটি রুপি। ব্যাংকের ভবনটা পানির তোড়ে ভেসে গেছে। ভল্টও চুরমার হয়ে গেছে। মন্দাকিনীর তোড়ে ভেসে গেছে কোটি কোটি রুপি। পরে পানি নেমে যাওয়ায় সেই রুপি আটকে আছে এখানে-সেখানে। সন্ত্রস্ত মানুষ সে সব ধরেও দেখছেন না। সবাই ব্যস্ত উদ্ধারের রাস্তা খুঁজতে। সূত্র : আনন্দবাজার।
ছয় দিন মৃত্যু উপত্যকায় কাটিয়ে গত শনিবার কোনো মতে নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরা ভারত সেবাশ্রম সংঘের কর্মীরা জানালেন, সারা জীবনই হয়তো ভয়ংকর ওই শব্দ তাদের কানে বাজবে।
কেদারনাথের মন্দির পেরিয়ে যে রাস্তা উঠেছে, মন্দাকিনী হিমবাহ হয়ে তা গেছে চোরাবারি তাল পর্যন্ত। পাহাড় চূড়ার এ হ্রদে মহাত্মা গান্ধীর চিতাভস্ম বিসর্জন দেওয়ার পর থেকে সেটিকে গান্ধী সরোবর বলেও ডাকা হয়। পানি ধারণক্ষমতার মাত্রা ছাড়ানোর পরে হ্রদটি কূল ভেঙে আছড়ে পড়ায় শোনা গিয়েছিল ওই গগনবিদারী শব্দ।
এর পরেই পেছনের আস্ত পাহাড়টা যেন নেমে এসে গিলে ফেলল সব কিছু। ফুট দশেক উঁচু বড় বড় বাড়ি নিমিষে ভিত থেকে উপড়ে এগিয়ে চলল জাহাজের মতো। আতঙ্কে সবাই মন্দিরের মধ্যেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। কতক্ষণ ধরে চলছিল এই তাণ্ডব_তা কেউ ঠিকঠাক বলতে পারলেন না। একজন বললেন ঘণ্টাখানেক, আরেকজনের ধারণা ২০ মিনিট। কিন্তু সেই সময়টায় তাঁরা যে সাক্ষাৎ মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছেন, সে ব্যাপারে দুজনই একমত।
সেবাশ্রম সংঘের এক কর্মী সাহস করে বাইরে বেরিয়ে দেখেন, সবকিছু কেমন যেন অপরিচিত ঠেকছে। কেদারনাথ মন্দিরকে ঘিরে ঘিঞ্জি বাজারটাই হাওয়া। বিড়লা গেস্ট হাউস, ভারত সেবাশ্রম, এর আগে একের পর এক ধর্মশালা। কিছুক্ষণ সবই ছিল। এখন খাঁ খাঁ উপত্যকায় শুধু মাথা তুলে দাঁড়িয়ে কেদারনাথের মন্দির। চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে লাশ আর লাশ। সোমবারের পরে পাঁচ দিন ধরে মৃত্যু উপত্যকা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছেন সংঘের কর্মীরা। কেদারনাথের মন্দিরে আর থাকা যায়নি। অজস আহত যাত্রী সেখানে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। পায়ে পায়ে শুধু লাশের মিছিল। আর মরা মানুষের সঙ্গে আটকে থাকা নোটের বান্ডিল। ভিজে জবজবে সে নোট কোনো কাজে লাগছে না।
কোথা থেকে এলো এত নোট? আগের দিনই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছিল কয়েক কোটি রুপি। ব্যাংকের ভবনটা পানির তোড়ে ভেসে গেছে। ভল্টও চুরমার হয়ে গেছে। মন্দাকিনীর তোড়ে ভেসে গেছে কোটি কোটি রুপি। পরে পানি নেমে যাওয়ায় সেই রুপি আটকে আছে এখানে-সেখানে। সন্ত্রস্ত মানুষ সে সব ধরেও দেখছেন না। সবাই ব্যস্ত উদ্ধারের রাস্তা খুঁজতে। সূত্র : আনন্দবাজার।
No comments