সিরীয় বিদ্রোহীদের 'জরুরি সাহায্য' দেবে বিশ্ব সম্প্রদায়
সিরীয় বিদ্রোহীদের জরুরিভিত্তিতে সামরিক
সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে 'ফ্রেন্ডস অব সিরিয়া'।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের বিরোধী হিসেবে পরিচিত আন্তর্জাতিক এ
গোষ্ঠীটি মনে করে, সামরিকভাবে শক্তিশালী হয়ে বিদ্রোহীরা সরকারি বাহিনীর
'বর্বর হামলা'
মোকাবিলাসহ 'সিরীয় জনগণকে রক্ষা' করতে
সমর্থ হবে। তবে আসাদবিরোধীদের এ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণার তীব্র নিন্দা
জানিয়েছে ইরান। সিরিয়ার ব্যাপারে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের নেওয়া সিদ্ধান্ত
মেনে নেওয়া হবে না বলেও সতর্ক করেছে তারা।
গত শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ফ্রেন্ডস অব সিরিয়াভুক্ত ১১ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরীয় বিদ্রোহীদের জরুরিভাবে সামরিক-বেসামরিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এই ১১ দেশের সবাই সামরিক সহায়তা দেবে না বলে জানানো হয়েছে। কোন কোন দেশ বিদ্রোহীদের অস্ত্রের জোগান দেবে, তাও অবশ্য পরিষ্কার করা হয়নি। বৈঠকে অংশ নেওয়া মাত্র দুটি দেশ- জার্মানি ও ইতালি আবারও সতর্ক করে বলেছে, অস্ত্র সহায়তার পরিনামে অন্তর্ঘাত ও রক্তপাত বাড়তে পারে। গত ২৭ মাসের সিরীয় সংঘাতে প্রায় এক লাখ মানুষ মারা গেছে।
বিদ্রোহীদের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ফ্রেন্ডস অব সিরিয়া 'রণাঙ্গনে শক্তির ভারসাম্যহীনতা দূর করতে' বিদ্রোহীদের সহায়তা দিতে একমত হওয়ার পাশাপাশি আসাদ বাহিনীর পক্ষে ইরান ও লেবাননের কট্টরপন্থী শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অংশগ্রহণ বন্ধের দাবি জানায়। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের সহায়তা বাড়ানোর ব্যাপারে 'গোপন পরিকল্পনায়' একমত হওয়ার কথাও জানিয়েছে কাতার।
ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহাইয়ান গতকাল বলেন, যারা সিরিয়ায় অস্ত্র পাঠাচ্ছে, তারা নিরাপরাধদের গণহত্যা ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী। আগের দিন শনিবার দোহা-ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি বলেন, বাইরে থেকে সিরিয়ায় রাজনৈতিক সমাধান চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটি ইরান কখনোই মেনে নেবে না।
এদিকে সিরিয়ার সরকারি কর্মচারী, সেনা কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। দোহার বৈঠক যোগ দেওয়া ১১ দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, সৌদি আরব, তুরস্ক, মিসর, জর্দান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সূত্র : এএফপি।
গত শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ফ্রেন্ডস অব সিরিয়াভুক্ত ১১ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরীয় বিদ্রোহীদের জরুরিভাবে সামরিক-বেসামরিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এই ১১ দেশের সবাই সামরিক সহায়তা দেবে না বলে জানানো হয়েছে। কোন কোন দেশ বিদ্রোহীদের অস্ত্রের জোগান দেবে, তাও অবশ্য পরিষ্কার করা হয়নি। বৈঠকে অংশ নেওয়া মাত্র দুটি দেশ- জার্মানি ও ইতালি আবারও সতর্ক করে বলেছে, অস্ত্র সহায়তার পরিনামে অন্তর্ঘাত ও রক্তপাত বাড়তে পারে। গত ২৭ মাসের সিরীয় সংঘাতে প্রায় এক লাখ মানুষ মারা গেছে।
বিদ্রোহীদের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ফ্রেন্ডস অব সিরিয়া 'রণাঙ্গনে শক্তির ভারসাম্যহীনতা দূর করতে' বিদ্রোহীদের সহায়তা দিতে একমত হওয়ার পাশাপাশি আসাদ বাহিনীর পক্ষে ইরান ও লেবাননের কট্টরপন্থী শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অংশগ্রহণ বন্ধের দাবি জানায়। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের সহায়তা বাড়ানোর ব্যাপারে 'গোপন পরিকল্পনায়' একমত হওয়ার কথাও জানিয়েছে কাতার।
ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহাইয়ান গতকাল বলেন, যারা সিরিয়ায় অস্ত্র পাঠাচ্ছে, তারা নিরাপরাধদের গণহত্যা ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী। আগের দিন শনিবার দোহা-ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি বলেন, বাইরে থেকে সিরিয়ায় রাজনৈতিক সমাধান চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটি ইরান কখনোই মেনে নেবে না।
এদিকে সিরিয়ার সরকারি কর্মচারী, সেনা কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। দোহার বৈঠক যোগ দেওয়া ১১ দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, সৌদি আরব, তুরস্ক, মিসর, জর্দান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সূত্র : এএফপি।
No comments