হংকং থেকে মস্কোতে স্নোডেন-আজ কারাকাস যাবেন

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা- সিআইএর সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন গতকাল রবিবার মস্কো পৌঁছেছেন। রুশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইন্টারনেট ও টেলিফোনে আড়িপাতা-সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোপন কর্মসূচি 'প্রিজমের' কথা ফাঁস করায় জড়িত স্নোডেন কিউবার রাজধানী হাভানা হয়ে ভেনিজুয়েলা যাবেন।
সে অনুযায়ী আজ সোমাবার তাঁর হাভানার উদ্দেশ্যে মস্কো ছাড়ার কথা।
গতকালই হংকং থেকে মস্কো যান স্নোডেন (৩০)। তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গুপ্তচরবৃত্তিসহ কয়েকটি অভিযোগ আনার খবর প্রকাশ হওয়ার পরদিন হংকং ছাড়লেন তিনি। তাঁর গন্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা আছে।
চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকং কর্তৃপক্ষ (এইচকেএসএআর) গতকাল বিবৃতিতে জানায়, 'স্নোডেন স্বেচ্ছায় আইনসঙ্গত ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হংকং ছেড়েছেন।'
বেসরকারি কম্পানি অ্যারোফ্লোটের একটি বিমানে স্নোডেন গতকাল স্থানীয় সময় বিকেলে মস্কোর সারমেতিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। গত ২০ মে থেকে হংকংয়ে ছিলেন তিনি।
বিকল্প ধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস গতকাল বিবৃতিতে জানায়, কয়েকজন কূটনীতিক ও তাঁদের পক্ষ থেকে কয়েকজন উপদেষ্টা স্নোডেনের সঙ্গে আছেন। তবে স্নোডেনের গন্তব্য কোথায়, তা জানানো হয়নি বিবৃতিতে।
মস্কোই স্নোডেনের শেষ গন্তব্য নয় বলে আগেই জানায় হংকংয়ের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট পত্রিকা। এর আগে স্নোডেন তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে আইসল্যান্ডের কথা বলেছিলেন। গত বুধবার উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ জানান, আইসল্যান্ডে স্নোডেনের রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়ে আলোচনা চলছে। স্নোডেনকে আইসল্যান্ডে নিতে বিশেষ বিমানেরও ব্যবস্থা করা হয়। তবে আইসল্যান্ড সরকারের দিক থেকে তখনো পর্যন্ত সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় গত শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়, স্নোডেনের বিরুদ্ধে ভার্জিনিয়ার একটি আদালতে গত ১৪ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরদিন শনিবার হোয়াইট হাউস তাদের কাছে স্নোডেনকে হস্তান্তরের অনুরোধও জানায়।
এ প্রসঙ্গে এইচকেএসএআরর বিবৃতিতে বলা হয়, 'এর আগে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে স্নোডেনের বিরুদ্ধে সাময়িক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ করা হয়েছিল। যেহেতু তাদের পাঠানো তথ্য হংকংয়ের আইনের সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয়, সে জন্য এইচকেএসএআর যুক্তরাষ্ট্রকে আরো তথ্য পাঠাতে অনুরোধ করে।' বিবৃতিতে বলা হয়, 'সাময়িক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য এইচকেএসএআরের হাতে যথেষ্ট তথ্য না থাকায় স্নোডেনকে হংকং ছাড়তে বাধা দেওয়ার আইনি কোনো ভিত্তি নেই।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.