এ যেন ‘বানরের গলায় মুক্তার মালা’ সংসদের নকশায় আঘাত
লুই কানের অবিস্মরণীয় কীর্তি বাংলাদেশের
তাজমহল হিসেবে খ্যাত সংসদ ভবনের নকশায় আবারও আঘাত হানার ঘটনায় অনেকেই
‘বানরের গলায় মুক্তার মালা’র প্রবচনটি ভারাক্রান্ত হূদয়ে স্মরণ করবেন।
কারণ, এই নকশা নষ্ট করার ক্ষেত্রে দুই বড় দলের মধ্যে একধরনের জাতীয় মতৈক্য
আছে বললেও অত্যুক্তি হবে না। বিএনপি আমলে চত্বরে বেআইনিভাবে ভবন তৈরি করা
হয়েছিল আর এবার উত্তর ফটক বন্ধ করে দিয়ে টেলিভিশন কেন্দ্র হচ্ছে। এ ছাড়া
নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে জাতির গর্বের ধন এই বিশ্বনন্দিত শিল্পকর্মের
সৌন্দর্যহানি করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
পরিবেশবাদী ও সচেতন মহল বহু বছর ধরে সংসদ ভবনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টেরও নির্দেশ রয়েছে। সরকারি কর্তাব্যক্তিরাও সভা-সেমিনারে এর সপক্ষে বক্তব্য দেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সংসদনেত্রীকে প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে কি না। কারণ, ২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ সচিবালয়ে বৈঠকে বলেছেন, ‘লুই কানের স্থাপত্য কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না।’ আবার একই সঙ্গে বেপরোয়াভাবে সৌন্দর্যহানি ঘটানো হচ্ছে।
এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বিগত জোট সরকারের আমলে নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ করা হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আদালতে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ হয়। এ কারণে বিএনপি আমলে ওই ভবনে কেউ ওঠেননি। ২০০৪ সালে হাইকোর্টের রায়ে ওই নির্মাণকাজকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়। তখন আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগ-সমর্থক সুশীল সমাজ ও নেতারাও এর নিন্দায় সরব ছিলেন। আশা করা হয়েছিল, ক্ষমতাসীন দল উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু বেদনার সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে যে আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বেআইনিভাবে নির্মিত ভবনে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার উঠে যান। এই নির্মিত ভবনে বসবাসকারী স্পিকার দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, কিন্তু সেই ভবনের ভাগ্য এখনো অনির্ধারিত।
সরকার মুখে বলছে, তারা শিগগিরই সংসদ ভবনকে হেরিটেজ ঘোষণার জন্য ইউনেসকোর কাছে আবেদন করবে। গত সাড়ে চার বছরেও সংসদ ভবন সংরক্ষণের স্বার্থে ইউনেসকোর কাছে আবেদন করতে অপারগ থাকাটাই প্রমাণ দিচ্ছে, তারা এ ব্যাপারে আন্তরিক নয়। অন্যদিকে নকশার বারোটা বাজানোর সব ব্যবস্থাই তাদের হাত দিয়ে ঘটছে। কেবল প্রশ্নের উত্তরে সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা দিয়ে চলেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আমলা ও অমাত্যরা। এর আশু অবসান হোক।
পরিবেশবাদী ও সচেতন মহল বহু বছর ধরে সংসদ ভবনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টেরও নির্দেশ রয়েছে। সরকারি কর্তাব্যক্তিরাও সভা-সেমিনারে এর সপক্ষে বক্তব্য দেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সংসদনেত্রীকে প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে কি না। কারণ, ২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ সচিবালয়ে বৈঠকে বলেছেন, ‘লুই কানের স্থাপত্য কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না।’ আবার একই সঙ্গে বেপরোয়াভাবে সৌন্দর্যহানি ঘটানো হচ্ছে।
এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বিগত জোট সরকারের আমলে নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ করা হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আদালতে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ হয়। এ কারণে বিএনপি আমলে ওই ভবনে কেউ ওঠেননি। ২০০৪ সালে হাইকোর্টের রায়ে ওই নির্মাণকাজকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়। তখন আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগ-সমর্থক সুশীল সমাজ ও নেতারাও এর নিন্দায় সরব ছিলেন। আশা করা হয়েছিল, ক্ষমতাসীন দল উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু বেদনার সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে যে আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বেআইনিভাবে নির্মিত ভবনে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার উঠে যান। এই নির্মিত ভবনে বসবাসকারী স্পিকার দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, কিন্তু সেই ভবনের ভাগ্য এখনো অনির্ধারিত।
সরকার মুখে বলছে, তারা শিগগিরই সংসদ ভবনকে হেরিটেজ ঘোষণার জন্য ইউনেসকোর কাছে আবেদন করবে। গত সাড়ে চার বছরেও সংসদ ভবন সংরক্ষণের স্বার্থে ইউনেসকোর কাছে আবেদন করতে অপারগ থাকাটাই প্রমাণ দিচ্ছে, তারা এ ব্যাপারে আন্তরিক নয়। অন্যদিকে নকশার বারোটা বাজানোর সব ব্যবস্থাই তাদের হাত দিয়ে ঘটছে। কেবল প্রশ্নের উত্তরে সুবিধাবাদী ব্যাখ্যা দিয়ে চলেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আমলা ও অমাত্যরা। এর আশু অবসান হোক।
No comments