রাজনৈতিক সংস্কৃতি-সংসদে কুৎসিত বচন by মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সংসদে এসব হচ্ছেটা কী? সংসদ অধিবেশনের ঘটনাবলি দেখেশুনে দেশবাসী বিতৃষ্ণায় ও ঘৃণায় কুঁকড়ে উঠছে। সেসব কাণ্ডকারখানায় মানুষ হতবাক, হতাশ, ক্ষুব্ধ।
কেউ হয়তো ভাবতে পারেন যে,
আষাঢ় মাসের প্রচণ্ড গরমের তাপদহে সব মানুষেরই জীবন যেভাবে অতিষ্ঠ ও মাথা গরম হয়ে উঠেছে, সেই 'মাথা গরমের' ফলেই সংসদে কুৎসিত গালাগাল ও বক্তৃতায় অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ ঘটছে। কিন্তু ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, সংসদের অধিবেশন কক্ষটি খুব উত্তমরূপে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। তাই এসবের পেছনে কারণ গরমে 'মাথা গরম' হওয়া নয়, নিশ্চয়ই তা গুরুতর অন্য কিছু।
দুর্নীতি, লুটপাট, দলীয়করণ, দুর্বৃত্তায়ন, দেশ বিক্রির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের 'বড় দল' বলে দাবিদার দল দুটি যেভাবে পরস্পরকে টপকে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় মরিয়া, তার জ্বালায় দেশবাসী ইতিমধ্যে যন্ত্রণাকাতর। এসবের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে সংসদে খিস্তিখেউরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বলা হয়ে থাকে যে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদকে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা বাঞ্ছনীয়। সংসদ হলো সার্বভৌম। সংসদই হলো দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা এবং সরকারের কাজকর্মের তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠান, যার কাছে সরকারকে তার কাজকর্মের জবাবদিহি করতে হয়। তাই সংসদ হওয়ার কথা একটি অতি উঁচু মান ও মর্যাদার প্রতিষ্ঠান। 'মহান' বলে বিশেষায়িত সেই সংসদে যেভাবে অশ্লীল বচন ও কুৎসিত গালাগালের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তাতে সবাই যে হতবাক, হতাশ ও ক্ষুব্ধ হবে, সেটা খুবই স্বাভাবিক।
'বড় দল' দুটির সিনিয়র নেতা-নেত্রীরা ইচ্ছা করলে এ রকম হওয়াটা রোধ করতে পারতেন এবং এখনও তা করতে পারেন। কিন্তু তা তারা করেননি এবং সম্ভবত করবেন না। বরঞ্চ অশ্লীল বাক্যবাণ ও ইতর গালাগাল ভূষিত ভাষণ দিতে সাংসদদের তারাই পেছনে থেকে উস্কে দিচ্ছেন। তারা নিজেরাও তাদের বক্তৃতার ভাষা ও বিষয়বস্তু দ্বারা এ ধরনের প্রবণতা তৈরি করে দিচ্ছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, পাল্লা দিয়ে কার চেয়ে কে বেশি গালাগাল করতে পারেন সেটাই দলের 'সুপ্রিমোকে' খুশি করার পথ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
সংসদে যেসব ভাষণ দেওয়া হচ্ছে তা পত্রিকায় পাঠ করার পাশাপাশি টিভি চ্যানেলের সংবাদ পরিবেশনায় এবং সরাসরি সম্প্রচারের বদৌলতে বিস্তারিত ও পূর্ণাঙ্গভাবে দেখাশোনা যাচ্ছে। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি সহকারে সাংসদদের উচ্চস্বরের গালাগালি ও আদিরসাত্মক অশ্লীল কথাবার্তা সবাই যে দেখতে ও শুনতে পাচ্ছে, তা জেনেও যারা এ রকম কাজ করছেন তাদের সাংস্কৃতিক মান, চেতনাবোধ, রুচিবোধ ও শিক্ষা-দীক্ষা যে কত নিচু স্তরের তা বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। এ রকম আচরণ যদি দু'একজনের ক্ষেত্রে ঘটত, তা হলে সেটিকে বিচ্ছিন্ন ও ব্যতিক্রমী বিষয় বলে ভাবা যেত। কিন্তু যখন এ ধরনের কুৎসিত গালাগাল দু'পক্ষের সাংসদদের প্রবল টেবিল চাপড়ানি ও 'হিয়ার-হিয়ার' উল্লাসের মধ্যে উদ্গারিত হয়, তখন সেটিকে বিচ্ছিন্ন বিষয় বলে ভাবা যায় না। বলতে হয় যে, এটিই এখন হয়ে উঠেছে বড় দুটি বুর্জোয়া দলের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক স্বরূপ।
আমাদের দেশে রাজনীতি এখন দুই কিসিমের। একদিকে হালুয়া-রুটির, গদি দখলের, আত্মস্বার্থ প্রতিষ্ঠার রাজনীতি। দেশের জন্য যা সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক তা হলো_ এই কিসিমের রাজনীতিই এখন দেশে একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। অন্যদিকে আছে আদর্শ, আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেমের রাজনীতি। এই কিসিমের রাজনীতি সাময়িকভাবে প্রান্তস্থিত হয়ে পড়েছে। সেটিই পরিতাপের বিষয়। এ রকম অবস্থা সৃষ্টির কারণ বহুবিধ। সুস্থ রাজনীতির ধারাকে রুগ্ণ রাজনীতির হাতে সাময়িকভাবে হলেও পরাজিত হতে হয়েছে। এর পেছনে রাজনীতিতে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলির বিকাশ প্রক্রিয়া বহুলাংশে দায়ী। তাছাড়া সুস্থধারার রাজনীতির অনুসারীদের অনেক ভুল-ত্রুটি, ব্যর্থতা প্রভৃতিও সে জন্য নিঃসন্দেহে কিয়দংশে দায়ী। কিন্তু রাজনীতির এরূপ অধঃপতনের পেছনে মূল কারণ হলো, দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার কলুষিত চরিত্র।
রাজনীতি হলো একটি সমাজের উপরিকাঠামোর অংশ। অর্থনীতি হলো তার মূল ভিত্তি ও অবলম্বন। বলা হয়ে থাকে যে, 'রাজনীতি হলো অর্থনীতির ঘনীভূত প্রকাশ।' আমাদের দেশের প্রচলিত রাজনীতির কলুষতার জন্মদাতা হলো দেশের রুগ্ণ ধারার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, তথা লুটপাটতন্ত্র।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর খুব স্বল্প সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারাকে ভিত্তি করে অর্থনীতি পরিচালনার চেষ্টা হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে যৌথতা, সমতা, জাতীয় আত্মনির্ভরতার পথে অর্থনীতি পরিচালনার চেষ্টা হয়েছিল। স্বেচ্ছাশ্রমের সংস্কৃতি গড়ে তোলার চেষ্টা হয়েছিল। সমাজতন্ত্র অভিমুখীনতা ছিল ঘোষিত লক্ষ্য। কিন্তু '৭৫-এর আগেই সেই পথকে দুর্বল করা শুরু হয়। '৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে ও পরে তাজউদ্দীন আহমদসহ চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ধারা পরিত্যাগ করে পাকিস্তানি ধারা ফিরিয়ে আনা হয়। অনুসৃত অর্থনৈতিক দর্শনেও আনা হয় উল্টোমুখী পরিবর্তন। যৌথতা, সমতা, জাতীয় আত্মনির্ভরতার পথ ছেড়ে ব্যক্তিমালিকানা-নির্ভরতা, ব্যক্তি পুঁজির অবাধ বিস্তারের স্বার্থে মুষ্টিমেয়র লুটপাটের ব্যবস্থা, সাম্রাজ্যবাদ-নির্ভরতার ধারায় লুটেরা পুঁজিবাদের পথ গ্রহণ করা হয়। সমাজতন্ত্র অভিমুখীনতার বদলে অবাধ পুঁজিবাদী বাজার-অর্থনীতির পথ অনুসরণ করা শুরু হয়।
বাজার-অর্থনীতির পথ ধরে সর্বব্যাপী হয়ে ওঠে বাণিজ্যিকীকরণের ধারা। বাজার-অর্থনীতি অবশ্যম্ভাবীভাবে জন্ম দেয় বাজার-রাজনীতির। রাজনীতিবিদরা ঢুকে পড়েন ব্যবসায় আর জাত ব্যবসায়ীরা রাতারাতি রাজনীতিবিদ হয়ে উঠতে শুরু করেন। টাকার বিনিময়ে নমিনেশন বা দলীয় (এবং এমনকি অঙ্গ সংগঠনের) পদ কেনার ধারা শুরু হয়ে যায়। নির্বাচিত সংস্থায় বা দলের (বা অঙ্গ সংগঠনের) জায়গা পাওয়াটা হয়ে ওঠে রাতারাতি বিপুল অর্থবিত্তের মালিক বনে যাওয়ার একটি সহজ উপায়। রাজনীতি বহুলাংশে একটি বিনিয়োগ ও লাভ-লোকসানের কারবারে পরিণত হয়। এর ফলে চলতি রাজনীতির চেহারা ও পথ-পন্থায় প্রবেশ করে নতুন রঙ ও ঢঙ। প্রদর্শনবাদ, প্রমোটার-সংস্কৃতি, ইভেন্ট-ম্যানেজমেন্ট, ক্রাউড-ক্যাটারিং_ এসবই হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক সংস্কৃতির চলতি ধারা। এসব কাজের জন্য গভীর রাজনৈতিক জ্ঞান অথবা প্রজ্ঞার প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় মানি পাওয়ার, মাসেল পাওয়ার, চাপাবাজির দক্ষতা ও প্রতারণা-ভেলকিবাজিতে পারদর্শিতা। পাকা ব্যবসায়ীদের মতো এসব 'পণ্যের' দক্ষ ফেরিওয়ালা হতে পারার ওপরই রাজনৈতিক সাফল্যকে নির্ভরশীল করে তোলা হয়েছে।
দেশে দুটি বুর্জোয়া দলকে কেন্দ্র করে যে দ্বিমেরুভিত্তিক রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, তাতে মৌলিক নীতি-আদর্শ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ খুব সামান্যই আছে। দু'পক্ষের আসল দ্বন্দ্ব হলো প্রধানত লুটপাটের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে। তাই এই দুই দলের একচ্ছত্র আধিপত্যসম্পন্ন সংসদে নীতি-আদর্শ-কর্মসূচি নিয়ে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ বিতর্ক খুব একটা হয় না। বিতর্ক যা হয় তা মূলত দলবাজির প্রয়োজনীয়তা থেকে। সেক্ষেত্রে জ্ঞানগর্ভ ও বিশ্লেষণমূলক কথাবার্তা, মৌলিক নীতিগত বিষয়ে আলোচনা, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে বিতর্ক ইত্যাদির স্থান গৌণ। সবচেয়ে যা গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়তা হলো চেঁচিয়ে ও বাক্যবাণে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করা। সিনিয়ররা তা করে তুলনামূলক পরিশালিত ভাষায় তির্যক বিভিন্ন ইঙ্গিতমূলক কথার মাধ্যমে। আর 'তরুণ তুর্কর্ি'দের লাগাম খুলে ছেড়ে দেওয়া হয় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ফ্রি স্টাইলে আর্টিলারি আক্রমণ চালানোর জন্য। শুরু হয়ে যায় বক্তৃতায় কুৎসিত গালাগালের বিষ উদ্গিরণের প্রতিযোগিতা।
দুটি বুর্জোয়া দলের অভ্যন্তরীণ কার্যপদ্ধতিই হলো ব্যক্তিকেন্দ্রিক। দলের মধ্যে যৌথতার কোনো প্রয়োগ বা গণতন্ত্রের অনুশীলন প্রায় নেই বললেই চলে। দলের নেতা, নেতার বংশধর, তস্য বংশধর_ তাদের গুণাবলি ও দোষ-ত্রুটি নিয়েই যেন পরস্পরের মধ্যে সব দ্বন্দ্ব-বিরোধ-বিতর্ক। নিজেদের নেতাকে 'অতিমানব' প্রমাণ করা ও প্রতিপক্ষের নেতাকে 'দানব' প্রমাণ করতে পারার ওপর যেন রাজনৈতিক বিজয় নির্ভরশীল। তাই রাজপথে '...অমুক তুমি এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে' স্লোগান ও মূল নেতার নামে জিগির করা ছাড়া রাজনৈতিক কোনো স্লোগান তাদের সভা-মিছিলে খুব কমই শুনতে পাওয়া যায়। নিজেরা কেন ভালো তা ব্যাখ্যা করার চেয়ে প্রতিপক্ষ কত খারাপ তা প্রমাণের চেষ্টাই বক্তৃতা-বিবৃতিতে প্রাধান্য পায়। সংসদে তাদের বক্তৃতাও হয় সেরূপ। দশ মিনিটের বক্তৃতায় দুই মিনিট নেতার বন্দনা, সাত মিনিট প্রতিপক্ষকে গালাগাল ও টেনেটুনে অবশিষ্ট দু'এক মিনিট নির্বাচনী এলাকার মানুষকে খুশি করার জন্য কিছু মন ভোলানো কথা। বক্তৃতার বিষয়ে এই উদ্দেশ্য ও কাঠামোর মধ্যে অবস্থান করে স্রেফ গালাগালের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়া ছাড়া সাংসদদের আর কিইবা বলার ও করার থাকবে? বেশিরভাগ সাংসদের নজর হলো মেয়াদকালের মধ্যে যে কোনোভাবে নমিনেশন কেনার ও নির্বাচনী ব্যয়ের টাকা কয়েকগুণ পরিমাণে উঠিয়ে নেওয়ার প্রতি। তা নিয়েই তারা ব্যস্ত বেশি। সংসদ অধিবেশন বর্জন বা অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকার কারণে সৃষ্ট কোরাম সংকট নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথাও নেই। অনেকেই এদের হাইব্রিড ও ওয়ান টাইম এমপি বলে আখ্যায়িত করেছেন।
গালাগাল ও কাদা ছোড়াছুড়ির এই কাজটি করার জন্য একজন মানুষকে চিন্তাশীল, অভিজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান ও উন্নত রুচিসম্পন্ন হওয়ার প্রয়োজন হয় না। গালাগালে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে এসব বরঞ্চ বাধারূপে কাজ করে। এসবের জন্য প্রয়োজন তোষামোদিতে ওস্তাদ, লাজ-শরমহীনভাবে কটুবাক্য প্রয়োগে পটু, স্বল্প আইকিউসম্পন্ন, গলাবাজিতে ওস্তাদ ব্যক্তিবর্গ। অর্থ নিয়ে নমিনেশন বেচলে এমন লোক সংগ্রহ করাটা তেমন সমস্যার হয় না। হয়ওনি।
সমাজ বাস্তবতার কতগুলো বিশেষ দিকও সাংসদদের বক্তৃতাকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। এখন চলছে ভোগবাদের যুগ। পশ্চিমা চটুল সংস্কৃতির আগ্রাসন মানুষের মানসিকতা ও সাংস্কৃতিক বোধের পাশাপাশি তার ভাষার ব্যবহার ধারাকে বদলে দিচ্ছে। ফেসবুকে অশ্লীল কথাবার্তার ছড়াছড়ি। সিনেমায় ভায়োলেন্স, যৌনতার প্রদর্শন। সেসব নাটকীয়তা জায়গা করে নিচ্ছে সাংসদদের জিহ্বায়, তাদের বক্তৃতায়। ভালো 'সংসদীয় ওরেটর' এখনও যে নেই তা নয়। তবে তাদের এখন আর তেমন সমাদর নেই। মাথায় তুলে নাচা হয় তাদের নিয়ে, যারা সবচেয়ে কুৎসিত ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে প্রতিপক্ষকে কাবু করতে ওস্তাদ।
এই সমস্যার গোড়া কিন্তু সংশ্লিষ্ট সাংসদের রুগ্ণ হয়ে পড়া জিহ্বাটি নয়। জিহ্বায় যে দূষিত রক্ত প্রবাহিত রোগের উৎপত্তি হলো সেই বিষাক্ত রক্ত থেকে। বিদ্যমান লুটেরা পুঁজিবাদী সমাজ বাস্তবতা সেই রক্তপ্রবাহকে সম্পূর্ণভাবে দূষিত করে ফেলেছে। সেই দূষিত রক্তকে সম্পূর্ণ রিসাইকেল করতে না পারলে জিহ্বা থেকে উৎসারিত দুর্গন্ধময় কুৎসিত বাক্যবাণের প্রবাহ দূর হবে না। এক জিহ্বার অধিকারীকে সরিয়ে ফেললে তার জায়গায় শত শত নতুনভাবে রুগ্ণ হওয়া জিহ্বা জায়গা করে নেবে। রুগ্ণ সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা উপসর্গগুলোর রোগের জন্ম দিয়ে চলেছে। সমাজ বিপ্লবের চেয়ে কম কোনো কিছু দিয়ে রোগের এই উৎস উৎপাটন করা যাবে বলে মনে হয় না।
selimcpb@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.