নববধূকে পিটিয়ে হত্যা-অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করুন
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি,
রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা অস্বাভাবিক পর্যায়ে
পৌঁছে গেছে। প্রায়ই লক্ষ করা যাচ্ছে, এক শ্রেণীর মানুষ আইন হাতে তুলে নিয়ে
এমন নিষ্ঠুর ও নির্মম ঘটনার জন্ম দিচ্ছে, যা কোনো সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া
যায় না।
শনিবার তেমনি এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা
দেশের মানুষের বুক কাঁপিয়ে দিয়েছে। রাজধানীর নিকুঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেণীর
২০ বছর বয়সী ছাত্রী মনিরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন একই কলেজের ছাত্র
নাসিরকে প্রণয়সূত্রে পারস্পরিক সম্মতিক্রমেই। কিন্তু এ বিয়ে মেনে নিতে
পারেনি অপেক্ষাকৃত সচ্ছল নাসিরের পরিবার। পরিবারকে বুঝিয়ে নাসির নববধূকে
ঘরে তুলতে চাইলে পরিবার ও আত্মীয়রা সম্মতি দেয়। নববধূ স্বভাবতই খুশি হয়ে
শ্বশুরবাড়িতে আসার পর তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করে নাসিরের পরিবারের
সদস্যরা। এ সময় নাসিরকেও মারধর করে আটকে রাখা হয় বলে পত্রিকার খবরে জানা
গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ তদন্তের স্বার্থে নাসির ও তাঁর এক
চাচাকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য,
মনিরার ঘটনাটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রায়ই প্রেমঘটিত কারণে
তরুণী-যুবতীর অপমৃত্যু দেশবাসীর চোখে পড়ছে।
ছিনতাই, রাহাজানি করতে গিয়ে হত্যার পাশাপাশি পারিবারিক মতবিরোধের জের ধরে হত্যার প্রবণতাও বাড়ছে। এ ধরনের অপরাধের পেছনে মূলত কাজ করে থাকে মূল্যবোধের অবক্ষয়, আইনের প্রতি অবজ্ঞা ও অসচেতনতা, যথাযথ আইন প্রয়োগের অভাব এবং দিনে দিনে মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পাওয়া। সেই সঙ্গে সামাজিক বন্ধন ক্ষয়িষ্ণু বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমরা মনে করি, মনিরার এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের জন্য যারা দায়ী তাদের অচিরে গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শাস্তি নিশ্চত করতে হবে। একটি সমাজে যখন যেকোনো ধরনের অপরাধের বিচার সুনিশ্চিত করা হয়, তখন সমাজে বসবাসকারী অন্যদের মধ্যে সেই অপরাধের প্রবণতা কমে আসে। আর যদি যথাযথ বিচারের সম্মুখীন না করা হয় তথা বিচার না হয়, তাহলে ওই অপরাধের ব্যাপারে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি হয় না। সুতরাং দেশের তরুণ সম্প্রদায়, বিশেষ করে, কোমলমতি তরুণীদের জীবন নিরাপদ করতে এ নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের বিচার করা আবশ্যক। বিচারপ্রার্থী মনিরার বাবার বিচার চাওয়ার অধিকার যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, বিঘ্নিত না হয়, সেদিকটায় বিশেষ দৃষ্টি রাখাও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব।
ছিনতাই, রাহাজানি করতে গিয়ে হত্যার পাশাপাশি পারিবারিক মতবিরোধের জের ধরে হত্যার প্রবণতাও বাড়ছে। এ ধরনের অপরাধের পেছনে মূলত কাজ করে থাকে মূল্যবোধের অবক্ষয়, আইনের প্রতি অবজ্ঞা ও অসচেতনতা, যথাযথ আইন প্রয়োগের অভাব এবং দিনে দিনে মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পাওয়া। সেই সঙ্গে সামাজিক বন্ধন ক্ষয়িষ্ণু বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমরা মনে করি, মনিরার এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের জন্য যারা দায়ী তাদের অচিরে গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শাস্তি নিশ্চত করতে হবে। একটি সমাজে যখন যেকোনো ধরনের অপরাধের বিচার সুনিশ্চিত করা হয়, তখন সমাজে বসবাসকারী অন্যদের মধ্যে সেই অপরাধের প্রবণতা কমে আসে। আর যদি যথাযথ বিচারের সম্মুখীন না করা হয় তথা বিচার না হয়, তাহলে ওই অপরাধের ব্যাপারে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি হয় না। সুতরাং দেশের তরুণ সম্প্রদায়, বিশেষ করে, কোমলমতি তরুণীদের জীবন নিরাপদ করতে এ নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের বিচার করা আবশ্যক। বিচারপ্রার্থী মনিরার বাবার বিচার চাওয়ার অধিকার যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, বিঘ্নিত না হয়, সেদিকটায় বিশেষ দৃষ্টি রাখাও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব।
No comments