ভারতে বন্যা-ভূমিধসবৃষ্টিতে উদ্ধারকাজ স্থগিত দুর্গতদের দুর্ভোগ চরমে
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে বন্যা-ভূমিধসে
মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণা গত
শনিবার বলেন, 'দিনে বৃষ্টি, রাতে ঠাণ্ডা ও খাদ্যাভাবে এক হাজারের বেশি
মানুষ মারা যেতে পারে।'
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য
অনুযায়ী, গতকাল রবিবার পর্যন্ত ৭০ হাজার পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এখনো আটকা পড়ে আছে ২২ হাজার মানুষ। এরই মধ্যে গতকাল সকাল থেকে প্রচণ্ড
বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাই বেশির ভাগ এলাকায় উদ্ধারকাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।
বহুগুণা স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে বলেন, 'এ পর্যন্ত সাড়ে সাত শরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া, খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাবে আরো মানুষ মারা যেতে পারে।' নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
দুর্গতদের উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ কার্যক্রমে ৪০টির বেশি হেলিকপ্টার এবং সামরিক-আধাসামরিক বাহিনীর ১০ হাজারের বেশি সদস্য কাজ করছে। সেনা কর্মকর্তা বিক্রম সিং জানান, তাঁরা উদ্ধার করা লোকজনকে খাদ্য, ওষুধসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের হাতে সময় কম। আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের সেরা সুযোগ ছিল রবিবার। কিন্তু ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিপত্তি দেখা দিয়েছে। দুর্গতদের কাছে খাবার ও ওষুধ পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়বে।' তাঁর আশঙ্কা, আজ সোমবারও আবহাওয়া খারাপ থাকতে পারে।
গতকাল সকালে ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দেরাদুন ও জোশিমাথ এলাকার উদ্ধার অভিযান শুরু হয় ঘণ্টাখানেক দেরিতে। তবে রাজ্যের অন্যান্য স্থানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সেখানে উদ্ধার অভিযান এবং দুর্গতদের ত্রাণ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। হারসিল ও ধারাসু এলাকায় এখনো চার হাজার মানুষ আটকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবাহিনীর মুখপাত্র প্রিয়া জোশি। তিনি এএফপিকে বলেন, 'পাঁচ দিন ধরেই এসব লোকজন খাদ্য ও পানি ছাড়া রয়েছে। রাতের তাপমাত্রা অনেক কমে গেলেও আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।'
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, কেদারনাথ মন্দিরের আশপাশ থেকে গতকাল দেড় শ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মন্দির চত্বর থেকে সব তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন বদ্রিনাথ মন্দিরে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ মন্দিরে এখনো সাত থেকে আট হাজার পুণ্যার্থী আটকা পড়ে আছে। আটকে পড়া মানুষের কাছে পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
কেদারনাথ মন্দির থেকে উদ্ধার হওয়া নিশি শ্রীবাস্তব বলেন, 'চারপাশে শুধুই লাশ আর লাশ। এটা ছিল দঃস্বপ্নের চেয়েও ভয়ংকর কিছু। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম।' উদ্ধার হওয়া অনেকে অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় অনেক মুনাফালোভীর কারণে তাঁদের আরো বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
৫০ বছরের শ্রী পুরুষোত্তম বলেন, 'ক্ষুধা-তৃষ্ণায় আমার ১০ বছরের ছেলেটি মারা যায়। তাকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমি স্থানীয় লোকজনের সাহায্য চাইলাম। সাহায্যের বিনিময়ে তারা আমার কাছে ৩৫ হাজার রুপি দাবি করে।'
উদ্ধার পাওয়া লোকজন ইতিমধ্যেই আশ্রয় শিবির ছাড়তে শুরু করেছে। দেরাদুন, হরিদুয়ারা ও ঋষিকেশের আশ্রয় শিবিরে থাকা লোকজন তাদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
সূত্র : পিটিআই, হিন্দুস্তান টাইমস।
বহুগুণা স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে বলেন, 'এ পর্যন্ত সাড়ে সাত শরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া, খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাবে আরো মানুষ মারা যেতে পারে।' নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
দুর্গতদের উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ কার্যক্রমে ৪০টির বেশি হেলিকপ্টার এবং সামরিক-আধাসামরিক বাহিনীর ১০ হাজারের বেশি সদস্য কাজ করছে। সেনা কর্মকর্তা বিক্রম সিং জানান, তাঁরা উদ্ধার করা লোকজনকে খাদ্য, ওষুধসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, 'আমাদের হাতে সময় কম। আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের সেরা সুযোগ ছিল রবিবার। কিন্তু ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিপত্তি দেখা দিয়েছে। দুর্গতদের কাছে খাবার ও ওষুধ পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়বে।' তাঁর আশঙ্কা, আজ সোমবারও আবহাওয়া খারাপ থাকতে পারে।
গতকাল সকালে ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দেরাদুন ও জোশিমাথ এলাকার উদ্ধার অভিযান শুরু হয় ঘণ্টাখানেক দেরিতে। তবে রাজ্যের অন্যান্য স্থানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সেখানে উদ্ধার অভিযান এবং দুর্গতদের ত্রাণ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। হারসিল ও ধারাসু এলাকায় এখনো চার হাজার মানুষ আটকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবাহিনীর মুখপাত্র প্রিয়া জোশি। তিনি এএফপিকে বলেন, 'পাঁচ দিন ধরেই এসব লোকজন খাদ্য ও পানি ছাড়া রয়েছে। রাতের তাপমাত্রা অনেক কমে গেলেও আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।'
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, কেদারনাথ মন্দিরের আশপাশ থেকে গতকাল দেড় শ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মন্দির চত্বর থেকে সব তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন বদ্রিনাথ মন্দিরে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ মন্দিরে এখনো সাত থেকে আট হাজার পুণ্যার্থী আটকা পড়ে আছে। আটকে পড়া মানুষের কাছে পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
কেদারনাথ মন্দির থেকে উদ্ধার হওয়া নিশি শ্রীবাস্তব বলেন, 'চারপাশে শুধুই লাশ আর লাশ। এটা ছিল দঃস্বপ্নের চেয়েও ভয়ংকর কিছু। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম।' উদ্ধার হওয়া অনেকে অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় অনেক মুনাফালোভীর কারণে তাঁদের আরো বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
৫০ বছরের শ্রী পুরুষোত্তম বলেন, 'ক্ষুধা-তৃষ্ণায় আমার ১০ বছরের ছেলেটি মারা যায়। তাকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমি স্থানীয় লোকজনের সাহায্য চাইলাম। সাহায্যের বিনিময়ে তারা আমার কাছে ৩৫ হাজার রুপি দাবি করে।'
উদ্ধার পাওয়া লোকজন ইতিমধ্যেই আশ্রয় শিবির ছাড়তে শুরু করেছে। দেরাদুন, হরিদুয়ারা ও ঋষিকেশের আশ্রয় শিবিরে থাকা লোকজন তাদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
সূত্র : পিটিআই, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments