স্বামীর দোষে স্ত্রীর শাস্তি! by আশরাফ-উল-আলম
স্বামীর কৃতকর্মের ফলে শাস্তি পেলেন
স্ত্রী। এই স্বামী একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। বর্তমানে জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত রয়েছেন। গত বছর তাঁকে ওএসডি করা হয়। ওই কর্মকর্তার নাম
মো. মঞ্জুর মোর্শেদ সোহেল।
ওএসডি করার আগে মঞ্জুর
মোর্শেদ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত
ছিলেন। ওই সময় তিনি অনেককে প্লট দেবেন বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পরে প্লট
দিতে না পেরে নিজে ও স্ত্রীকে দিয়ে দেনা পরিশোধের লক্ষ্যে বিভিন্ন জনকে চেক
দেন। নিজের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসেবে টাকা না থাকা সত্ত্বেও এসব চেক দিয়ে
মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন মঞ্জুর মোর্শেদ।
এ ঘটনায় মঞ্জুর মোর্শেদের স্ত্রী মাসুদা ফারহানা ওরফে ফারহানা মঞ্জুরকে শাস্তি দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। চেক প্রতারণার মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে। গতকাল রবিবার ঢাকা সপ্তম মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ সোহেল আহম্মেদ এ রায় দেন। একই সঙ্গে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আসামি গতকাল আদালতে হাজির হননি। তাঁর অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বা আদালতে আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৮ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। গুলশান এলাকার ব্যবসায়ী এস এইচ চঞ্চল আহম্মেদ মামলার বাদী। পরে মামলাটি বিচারের জন্য দায়রা আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
বাদী মামলায় অভিযোগ করেন, আসামি ফারহানা মঞ্জুরের স্বামী মঞ্জুর মোর্শেদ বাদীকে উত্তরার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় একটি প্লট দেবেন বলে গুলশানে বাদীর ব্যবসায়িক কার্যালয় থেকে নগদ ১৫ লাখ টাকা নেন। কিন্তু ওই প্লট আর দিতে পারেননি। পরে স্ত্রীর জনতা ব্যাংকের অনুকূলে ১৫ লাখ টাকার চেক বাদীকে দেন। চেকটি আসামির ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, আসামির ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা নেই। পরে চেকটি বাদীকে ফেরত দেওয়া হয়। এর বাদী মামলা করতে বাধ্য হন।
আরো মামলা : আসামির বিরুদ্ধে শুধু এ মামলাই নয়। একই আদালতে আরো চেক প্রতারণার মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ আসামির স্বামীর বিরুদ্ধে ঢাকার ষষ্ঠ মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে ৯০ লাখ টাকার চেক প্রতারণার মামলা বিচারাধীন। অন্য আদালতেও একই ধরনের মামলা রয়েছে। জমি বা প্লট দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার পর এসব চেক দেওয়া হয় বলে বিভিন্ন মামলা সূত্রে জানা গেছে।
যেভাবে চেক দেওয়া হয় : মঞ্জুর মোর্শেদ সোহেল সহকারী কমিশনার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি ঢাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে প্লট দেবেন বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। প্লট দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে যাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তাঁদের ব্যাংক চেক দেন। নিজের চেক ছাড়াও স্ত্রীর ব্যাংক চেকও দেন। মঞ্জুর মোর্শেদের কারণে তাঁর স্ত্রীও মামলায় ফেঁসে যান।
প্রভাবশালী কর্মকর্তা : বিভিন্ন কারণে রাজউক থেকে এ ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রত্যাহার করার পর তিনি এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি হিসেবে রয়েছেন। এর পরও তিনি রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পরিচয় দেন। ঢাকার অনেক বিচারকের দপ্তরে তাঁর ভিজিটিং কার্ড রয়েছে। এতে তাঁর পরিচয় রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেই রয়েছে।
এ ঘটনায় মঞ্জুর মোর্শেদের স্ত্রী মাসুদা ফারহানা ওরফে ফারহানা মঞ্জুরকে শাস্তি দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। চেক প্রতারণার মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে। গতকাল রবিবার ঢাকা সপ্তম মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ সোহেল আহম্মেদ এ রায় দেন। একই সঙ্গে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আসামি গতকাল আদালতে হাজির হননি। তাঁর অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বা আদালতে আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৮ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। গুলশান এলাকার ব্যবসায়ী এস এইচ চঞ্চল আহম্মেদ মামলার বাদী। পরে মামলাটি বিচারের জন্য দায়রা আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
বাদী মামলায় অভিযোগ করেন, আসামি ফারহানা মঞ্জুরের স্বামী মঞ্জুর মোর্শেদ বাদীকে উত্তরার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় একটি প্লট দেবেন বলে গুলশানে বাদীর ব্যবসায়িক কার্যালয় থেকে নগদ ১৫ লাখ টাকা নেন। কিন্তু ওই প্লট আর দিতে পারেননি। পরে স্ত্রীর জনতা ব্যাংকের অনুকূলে ১৫ লাখ টাকার চেক বাদীকে দেন। চেকটি আসামির ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, আসামির ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা নেই। পরে চেকটি বাদীকে ফেরত দেওয়া হয়। এর বাদী মামলা করতে বাধ্য হন।
আরো মামলা : আসামির বিরুদ্ধে শুধু এ মামলাই নয়। একই আদালতে আরো চেক প্রতারণার মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ আসামির স্বামীর বিরুদ্ধে ঢাকার ষষ্ঠ মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে ৯০ লাখ টাকার চেক প্রতারণার মামলা বিচারাধীন। অন্য আদালতেও একই ধরনের মামলা রয়েছে। জমি বা প্লট দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার পর এসব চেক দেওয়া হয় বলে বিভিন্ন মামলা সূত্রে জানা গেছে।
যেভাবে চেক দেওয়া হয় : মঞ্জুর মোর্শেদ সোহেল সহকারী কমিশনার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি ঢাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে প্লট দেবেন বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। প্লট দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে যাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তাঁদের ব্যাংক চেক দেন। নিজের চেক ছাড়াও স্ত্রীর ব্যাংক চেকও দেন। মঞ্জুর মোর্শেদের কারণে তাঁর স্ত্রীও মামলায় ফেঁসে যান।
প্রভাবশালী কর্মকর্তা : বিভিন্ন কারণে রাজউক থেকে এ ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রত্যাহার করার পর তিনি এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি হিসেবে রয়েছেন। এর পরও তিনি রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পরিচয় দেন। ঢাকার অনেক বিচারকের দপ্তরে তাঁর ভিজিটিং কার্ড রয়েছে। এতে তাঁর পরিচয় রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেই রয়েছে।
No comments