পরিচালনা পর্ষদ গ্রামীণ ব্যাংক টুকরা করার বিপক্ষে
গ্রামীণ ব্যাংককে টুকরা করার সুপারিশ
প্রত্যাখ্যান করেছে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। গতকাল রবিবার পর্ষদের
বৈঠকে গ্রামীণ কমিশনের এ ধরনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করার পক্ষে মত দেন
সবাই।
সরকার নিযুক্ত গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান
খোন্দকার মোজাম্মেল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, তিনি নিজেও কমিশনের এ সুপারিশ
বাস্তবায়নের পক্ষে নন।
গতকাল গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে উপস্থিত পরিচালকরা কমিশনের এ সুপারিশের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বলে জানা গেছে। সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিলে ক্ষুদ্রঋণ দাতা বিশ্বখ্যাত এ প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। সভায় চেয়ারম্যান খোন্দকার মোজাম্মেল হক সভাপতিত্ব করেন। ৯ নারী পরিচালকসহ ১৪ পরিচালক এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সভায় পরিচালকরা গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার তীব্র বিরোধিতা করলে খোন্দকার মোজাম্মেল হক বলেন, নারী পরিচালকদের পরামর্শ ব্যতিরেকে কমিশনের কোনো সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে না। কেননা তাঁরাই এ প্রতিষ্ঠানের মূল মালিক। তাহলে গ্রামীণ কমিশন কেন এমন সুপারিশ করেছে- এ প্রশ্ন তুললে চেয়ারম্যান বলেন, এটা সরকারের ব্যাপার। এখানে পর্ষদের কিছু করার নেই। তবে এসব বিষয় অনুমোদনের জন্য বোর্ডে এলে তা প্রত্যাখ্যান করা হবে। নারী পরিচালক তাহসিনা খাতুন বলেন, বোর্ড সভায় কমিশনের সব সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে খ্যাতি অর্জনকারী এ প্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সভায় আরেক নারী পরিচালক বলেন, 'সরকারের গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন ব্যাংকটিকে বিকেন্দ্রীকরণের নামে এর কাঠামো ভেঙে টুকরা টুকরা করার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে এর স্বাধীন ও স্বতন্ত্র অস্তিত্ব অস্বীকার করে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্তৃত্ব সরকারের হাতে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছে কমিশন। আমরা সরকারের এই অনৈতিক, অবাস্তব ও গণবিরোধী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। যে প্রতিষ্ঠানটি এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারের বিরল সম্মান বয়ে এনেছে, সেই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার এখতিয়ার সরকারের নেই। সরকারের উচিত এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা।'
উল্লেখ্য, গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন এ ব্যাংককে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মতো ১৯ বা ততোধিক ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব করেছে। সেই সঙ্গে প্রধান কার্যালয়কে শুধু তদারকি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে বলা হয়েছে।
গতকাল গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে উপস্থিত পরিচালকরা কমিশনের এ সুপারিশের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বলে জানা গেছে। সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিলে ক্ষুদ্রঋণ দাতা বিশ্বখ্যাত এ প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। সভায় চেয়ারম্যান খোন্দকার মোজাম্মেল হক সভাপতিত্ব করেন। ৯ নারী পরিচালকসহ ১৪ পরিচালক এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সভায় পরিচালকরা গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার তীব্র বিরোধিতা করলে খোন্দকার মোজাম্মেল হক বলেন, নারী পরিচালকদের পরামর্শ ব্যতিরেকে কমিশনের কোনো সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে না। কেননা তাঁরাই এ প্রতিষ্ঠানের মূল মালিক। তাহলে গ্রামীণ কমিশন কেন এমন সুপারিশ করেছে- এ প্রশ্ন তুললে চেয়ারম্যান বলেন, এটা সরকারের ব্যাপার। এখানে পর্ষদের কিছু করার নেই। তবে এসব বিষয় অনুমোদনের জন্য বোর্ডে এলে তা প্রত্যাখ্যান করা হবে। নারী পরিচালক তাহসিনা খাতুন বলেন, বোর্ড সভায় কমিশনের সব সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে খ্যাতি অর্জনকারী এ প্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সভায় আরেক নারী পরিচালক বলেন, 'সরকারের গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন ব্যাংকটিকে বিকেন্দ্রীকরণের নামে এর কাঠামো ভেঙে টুকরা টুকরা করার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে এর স্বাধীন ও স্বতন্ত্র অস্তিত্ব অস্বীকার করে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্তৃত্ব সরকারের হাতে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছে কমিশন। আমরা সরকারের এই অনৈতিক, অবাস্তব ও গণবিরোধী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। যে প্রতিষ্ঠানটি এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারের বিরল সম্মান বয়ে এনেছে, সেই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার এখতিয়ার সরকারের নেই। সরকারের উচিত এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা।'
উল্লেখ্য, গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন এ ব্যাংককে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মতো ১৯ বা ততোধিক ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব করেছে। সেই সঙ্গে প্রধান কার্যালয়কে শুধু তদারকি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে বলা হয়েছে।
No comments